রাগী বস যখন রোমান্টিক বউ পর্ব_০৮

জীবন থেকে যখন প্রিয় মানুষগুলো চলে যায় বা হারিয়ে যায় অথবা জীবন থেকে কেউ কেরে নেয়,সেই কষ্টেটা খুবই গভীর হয়।আবার কেউ হয়তো নতুন আনন্দে অতীত আনন্দ ভুলে যায়, ভুলে যায় অতীতের পথচলা মানুষটাক। হৃদয় থেকে মুছে নেয় প্রিয় মানুষটার দুষ্টমিগুলো, তার কেয়ার গুলো।চোখে তৈরি করে নেয় নুতন কোনো মানুষের প্রতিবিম্ব। ধীরে, ধীরে ভুলে যায় অতীতের সেই প্রিয় মানুষটাকে। আনন্দে ডুবে থাকে নুতন কোনো মানুষের মাঝে।আর অন্য দিকে অতীতের মানুষটা তাকে কোনো ভাবে ভুলতে পারে না।তার মায়াভরা মুখখানা দেখার জন্য সেই ছেলেটা বা মেয়েটা হাজারো সেকেন্ডে অপেক্ষা করে তার জন্য। কিন্তু সেই মানুষটা তাকে ঠিকই ভুলে সুখে আছে। কিন্তু অতীতের মানুষটাই সেটা মানতে চায় না। মানুষের দুই ধরনের ক্ষুধা অনুভব করে থাকে একটা হলো মনের ক্ষুধা আরেকটা হলো পেটের ক্ষুধা।তাই যেটা পাবার পর নয় সেটে নিয়ে ভেবে লাভ নয়।কারন না পাওয়ার থেকে পাওয়ার আধিক্য আপনার হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করে দিবে,,,,,,,,,,, ড্রাইভার গভীর রাতে মিরাদের বাসায় সামনে নামিয়ে দেয়।আগে থেকেই গেট খুলা ছিল।ঘুটি ঘুটি পায়ে বাসায় ঢুকে আংকেল কে সোফায় বসতে দেখি। আংকেল ডাক্তার কল দিসেন।বাবা এতো রাতে ডাক্তার আসবে না। তুমি আমার মেয়ের কাছে যাও। ধীরে, ধীরেপায়ে সিরি বেয়ে ওপরে রূমে গিয়ে দেখি আন্টি মিরার পাশে বসে আছে। আন্টি আমাকে দেখে,কেমন‌ আছো ইমন। ভালো আছি। আপনি?? ভালো নেই মেয়টা জরে ভুগতেছে। আন্টি আর কিছু না বলে রূম থেকে চলে যায়। আমি মিরারা পাশে গিয়ে বসলাম। দেখলাম মিরা ঘুমাচ্ছে। ঘুমন্ত মায়াবী চেহারার দিকে নিঃপলক ভাবে তাকিয়ে রইলাম। কপালে একটা চুমু দিতে ওঠে বসলাম। চোখের সামনে হাত নারিয়ে দেখলাম ঘুমিয়ে আছে তো, নাকি আবার বেগ ধরে আছে।দেখে বুঝলাম না ঘুমিয়ে আছে।তাই ধীরে ধীরে কপালে একটা চুমু দিয়ে ওঠে আস্তে ছিলাম হঠাৎ মিরা হাত দিয়ে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে। আমার ভয়ে হৃদপিন্ড ধুক, ধুক শুরু করে।মিরা আমার দিকে তাকিয়ে চুরি করে আদর করা হচ্ছে। আমি না মানে ইয়ে।থাক আর মানে,মানে করতে হবে না।মিরা বুকে হাত দিয়ে আরে তোমার বুকে এতো ধুক,ধুক কেন করছে।মিরা কেউ দেখে ফেলবে।ছাড়ো আমাকে।এতো ভয় কেন‌ পাইতাছো।কেউ দেখলে কিচ্ছু হবে না।ছাড়ো আমাকে।ছেড়ে দিবো তার আগে,আঙ্গুল দিয়ে ঠোট দেখিয়ে বুঝালো চুমু দিতে। আমি পারবো না আর তোমার না শরীর খারাপ, এসব এখন না আগে সুস্থ হয়। তুমি আমার পাশে থাকলে আমি এমনেতেই ভালো হয়ে যাব।আগে বলো দিবে কিনা??আগে তোমার চোখ দুটো বন্ধ করো,আমি ওর গোলাপী ঠোঁট দুটো সাথে নিজের ঠোঁট দুটো এক করে দিলাম। কিছু সময় পর ছড়ে দিলাম। কিছুক্ষন ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম। এভাড় তো ছাড়ো।আর কখন থেকে তোমার আগুনের মতো গরম শরীরে শুয়ে আছি।ছাড়ো আমাকে (হালকা ধমকের সুরে) কিছুক্ষন তাকিয়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল। তার কিছুক্ষন পর আন্টি এসে দুটো পাত্রে সুপ দিয়ে গেল।ইমন মিরাকে সুপ খাইয়ে দাও তো।ওকে। এইযে ওঠেন?মিরা উঠতে চেষ্টা করেও, আবার ধপ করে শুয়ে পরে।মনে হয় জড়ের কারনে শরীল দুর্বল হয়ে গেছে। আমি পিঠে হাত দিয়ে টেনে তুললাম। তারপর সুপ খাইয়ে দিতে থাকি।মিরাকে চামুচ দিয়ে মুখে সুপ দিচ্ছি, সে আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে সুপ খাচ্ছে। আন্টি এসে কিছু ওষুধের টেবলট দিয়ে গেল। মিরাকে ওষুধ গুলো খেতে সাহায্য করলাম।ওর পাশে বসে কপালে আলতো ভাবে টিপে দিচ্ছি আর একটা কথা চিন্তা করতেছি,মনে ধীর জিদ নিয়েছিলাম মিরাকে কখনো ভালোবাসাব না অথচ এতো অভিমান এতো ঘৃণা,ওর মায়াবী চেহারার দিকে তাকালে কিছুই মনে থাকে না। আসলে আমারা পুরুষ লোকের মন গুলো অন্যরকম। প্রিয় মানুষটার সাথে হাজারো রাগ,অভিমান,ঝগড়া- একটা চুমু বা মায়া লাগানো চেহারা অথবা মায়া লাগানো একটা কথাই যথেষ্ট সব অভিমান ভেঙ্গে দিতে💙। এসব ভাবতে,ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেছি মনে নাই। ঘুম থেকে উঠে দেখি সকাল হয়ে, গেছে। বোনটা আবার আমায় না দেখলে মন খারাপ করবে।মিরার ঘুমন্ত চেহারায় কপালে একটা চুমু দিয়ে, আংকেল, আন্টি কে বলে বাইরে চলে আসলাম।বাইরে এসে একটা রিকশা, বাঁ সিএনজি জন্য একটু সামনে হেঁটে গেলাম। সামনে যেতেই দেখলাম কয়েকটা ছেলে একটা মেয়েকে টিজ করতেছে। ভাবলাম যাবো না
কিন্তু বিবেগে বাঁধা দিলো। ছেলে সামনে গিয়ে ভাই মেয়েটাকে কেন বিরক্ত করছেন।সেটা তকে বলতে হবে।এখন সামনে থেকে সর।ভাই এটা যদি আপনার বোন হতো।তোরে কইছি গেন দিতি।মাইর খেতে চাস নাকি।ওরা তিনজন ছিল,জানি মারামারি করে পারবো না।একটু দাঁড়ান দুইটা কথা শুনে চলে যাইয়েন। লোকগুলো বিরক্ত মুখে তাকালো।ডিরেক বললাম আপনাদের জন্মের ঠিক নাই।লোক গুলো রেগে আমাকে মারতে আসলো। আমি ভাই দাঁড়ান আপনাদের সাথে আমি মারামারি করে পারবো না, চাইলেই মারতে পারেন। সামনে থেকে ছেলেটা আমি কি পতিতা মাঘী মেয়েদের থেকে জন্ম নিয়েছি নাকি তুই আমাকে জন্মের ঠিক নাই বললি কেন।ধরেন আপনার মা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে আমি উনার বুকের দিকে, পাছার দিকে নজর দিলাম এবং ওনাকে টিজ করতে থাকলাম।আপনি তখন কি করবেন,?? নিশ্চুই আমার ভাষাটা আমাকে উপহার দিবেন সাথে মেরে হাসপাতালে পাঠাবেন। রাস্তা ঘাটে আপনাদের চোখে সেক্সি মেয়ে যায় কিন্তু কারো কাছে কলিজার বোন জায়, কারো মা যায়। আপনাদের দেখে আশে পাশে লোক গুলো কেন প্রতিবাদ করে না জানেন, কারন টা হলো হিংস্র হায়না মনে করে আপনাদের। লোক গুলো কিন্তু আপনাকে গালি দেয় না ঠিকই। আপনার মা,বাপ কে ঠিকই গালি দেয়। নারীর পেট থেকেই আপনার জন্ম, আপনার অসুস্থতায় প্রধান সেবক নারী। সম্মানের চোখে দেখেন তাদের।জানি আমার কথায় আপনার দের মন পাল্টাবে না কারন কুত্তার লেজ কখনো সোজা হয় না।বলেই চলে আসতে থাকি। আমি একটা রিকশা করে, বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে রূমে গিয়ে বোনকে ডাকি।বোনটা মনে হয় টিভি দেখছে।বোন দরজা খুলে ভাইয়া এরা কারা আসছে। আমি পেছনে ফিরে,ভাই আমার অন্যয় হয়ে গেছে (কানে ধরে)।আপনেরা আমার বাসা পর্যন্ত এসে গেছেন আমাকে মাড়তে।একটা ছেলে কাছে এসে জরিয়ে ধরে ভাই আমাদের বুঝানোর জন্য ধন্যবাদ।আর আপনাকে চাইলে রাস্তায় মারতে পারতাম বাড়িতে এসে মাড়বো কেন।যেই পেছন ফিরে চলে যাবে। আমার বোন সবাই কে মিন করে, ভাইয়ারা কিছু খেয়ে তো যাবা।সবাই পেছন ফিরে আমার বোনকে দেখে একটা হাসি দিয়ে আপু আরেকদিন এসে খাবো। আজকে খেয়ে যাবা( গাল ফুলিয়ে কোমরে হাত দিয়ে রাগী চোখে তাকিয়ে)।সবাই আমার বোনের কাছে এসে কোলে নিয়ে আপু চলো আমারা তোমাকে নিয়ে ঘুরবো, খাবো, অনেক মজা করবো। আমি শুধু দাঁড়িয়ে তাদের দেখছি। ছেলে গুলো কাছে এসে ভাই আপনার মেয়েকে একটু নিয়ে যেতে পারি।ভাই শুনেন এটা আমার কলিজার বোন একে বাদে আমার কেউ নাই।ওর কিছু হয়ে গেলে আমি বাঁচবো না। আপনাদের আমি বিশ্বাস করতে পারছি না।আরে ভাই আমরা অনেক বড়লোক ফেমেলির ছেলে একটা কার্ড দেখিয়ে। আপনার বোনকে নিয়ে একটু ঘুরবো, আর কি।না ভাই দিতে পারবো না।একে বাদে আমার কেউ নাই (কাঁদো কাঁদো কন্ঠে)। ছেলেগুলো আপু আমারা তোমায় আরেক দিন নিয়ে ঘুরবো। আচ্ছা ভাইয়া একটা কপালে চুমু দিয়ে। ছেলেগুলো বোন কে আমার কুলে দিয়ে মন খারাপ করে চলে গেল। আমি বোনকে খাইয়ে অফিসে চলে গেলাম। অফিস গিয়ে কাজ শেষে,আশার সময় আংকেল এসে ইমন তোমার বোনকে নিয়ে সন্ধ্যা পর বাড়িতে চলে আইসো। তোমার বোন কে অনেক দিন হলো দেখি না। আচ্ছা আংকেল।মিরা অসুস্থতায় আংকেল অফিসে এসেছে। বাড়িতে এসে ফ্রেস হয়ে।বোন কে রেডি করতেছি ভাইয়া আমরা কই যাবো। তোমার আংকেল বাসায়।বোনটা খুশি হলো। তারপর রিকশা করে মিরাদের বাসায় চলে আসলাম।বোন আংকেল কে দেখে দৌড়ে কুলে গিয়ে উঠলো। আমি মিরাকে দেখার জন্য ওপরে গেলাম। গিয়ে দেখি দরজা খোলা,আমি রূমে ঢুকে কোথাও মিরাকে দেখছি না, খাটের নিচে দেখার জন্য নুতেই পেছন থেকে,এই তুমি খাটের নিচে কি দেখো। আমি না মানে ইয়ে, তোমাকে খুঁজতে ছিলাম।মিরা হেসে দিলো। আমি খাটের নিচে কেন যাবো বাচ্চা নাকি আমি।না কোথাও আপনাকে দেখছি না তাই খাটের নিচে দেখলাম। আমি তোমার বয়সে ছোট হবো আমি তোমাকে আপনি বলি না অথচ তুমি বলে যাচ্ছো।আর রে আপনি হলেন অফিসে বস।‌অফিসে বস থেকে তো এখন বউ হবো এসব বলা চলবে না। তুমি করে বলবা। আমি লজ্জায় মাথায় নিচু করে ফেললাম।আরে আমার বাবু টা দেখি লজ্জা পাচ্ছে। আমি তাকিয়ে খেয়াল করলাম,গোসল করে ভেজা চুল নিয়ে আমার সাথে কথা বলতেছে। আমি রুম থেকে বের হওয়ার জন্য যেই বের হবো,মিরা শার্টের কলার পিছন থেকে টান দিয়ে নিয়ে এসে দরজা আটকে দেয়। আমি ভয়ে ঢুগ গিললাম। আপনি দরজা কেন দিচ্ছেন। রোমান্স করবো তোমার সাথে।দেখেন বিয়ের আগে এসব করা ভালো না।বিয়ে তো আমি তোমাকেই করবো।মিরা কাছে এসে শার্টের বোতাম গুলো খুলতে থাকে। ছেলে মানুষ ভয়ে চিৎকার দিলে পুরূষ সমাজের মানসম্মান চলে যাবে।তাই চুপটি মেরে চুপ থেকে সব সয্য করে যাচ্ছি।মিরা শার্ট খুলে প্রসস্থ বুকের লোম গুলো দিকে তাকিয়ে রয়েছে।আলতো ভাবে বুকের তিলটাতে চুমু দিলো। মিরা ছারো আমাকে খারাপ কিছু হয়ে যাবে।হক খারাপ কিছু। আমি ওর হাতের ছোঁয়া আর চুমুতে নিজেকে কন্ট্রোল রাখতে পারলাম না,। পাগলের মতো চুমু খেতে থাকি।দেয়াল থেকে সরে গিয়ে বিছানায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেই।উপরে উঠে গলায়,মুখে চুমু দিতে থাকি। মিরা মাথার চুল গুলোতে চেপে ধরে আছে,সাথে জোরে,জোরে নিঃশ্বাস ফেলছে।এমন সময় বোনের ডাক দিয়ে ভাইয়া আংকেল খেতে ডাকতেছে। আমি তারাহুরা করে শার্ট পরে মাথার চুল গুলো একহাতে ঠিক করে রূম থেকে চলে যাই। মিরা: বিরক্ত একটা ভাব নিয়ে উয়াস রূমে চলে যায়।খাবার টেবিলে বসে মিরার দিকে লজ্জায় তাকাতে পারছি না।মিরা আমার পায়ে আঙ্গুল দিয়ে গুঁতো দিচ্ছে। আমি চোখ বড়, বড় করে তাকাতে পা সরিয়ে নেয়। কোনো রকম কিছু খেয়ে ওঠে গেলাম। আংকেল আমার বোনকে খাইয়ে দিচ্ছে। কিছুদিন পর অফিস থেকে এসে রাতে শৌয়ে আছি। হঠাৎ মোবাইল মেসেজ সাথে একটা পিক আসে।পিকটা দেখে শরীরে রাগে আগুন জ্বলে গেলো।পিকটাতে মিরা একটা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে আছে,ছেলটা চেহারা পিছন দিকে। ভেবে নিলাম -থাকবো না এই শহরের ফেক মানুষের মাঝে।অনেক ক্ষন বসে, বসে কান্না করলাম।মিরার জীবনে আমি আর থাকবো না চলে যাবো ওর থেকে দূরে।এই শহরের মানুষ সামনে থেকে এক রূপ কিন্তু ভিতর থেকে আরেক রূপ।গ্ৰামের গিয়ে চাষবাস করে বেঁচে থাকবো। বিছানা থেকে উঠে গিয়ে, মুগবল আংকেল কাছে গেলাম। আংকেল আমি কাল গ্ৰামে চলে যাবো। কিন্তু কেন। আংকেল গ্ৰামে গিয়ে চাষবাস করে জীবন চালোবো।আন্টি আমার কথা শুনে কাঁদতে শুরু করে। তাদের কোনো রকম বুঝিয়ে বোনকে খুলে নিয়ে রুমে চলে আসলাম। সকালে হয়ে আসতে,গ্ৰামে যাওয়া জন্য বাইরে বের হচ্ছি বোনকে কুলে নিয়ে। আংকেল মিরা আসলে বলবেন না ,আমি কই গেছি।ইমন আবার শহরে আসলে নির্ধিদায় আমার বাসায় চলে আসবা। আচ্ছা আংকেল। এরপর বাস করে রওনা দেই গ্ৰামের উদ্দেশ্য,। এদিকে মিরা অফিসে এসে আমাকে খুঁজতে ছে।আজকে ইমন কেন আসলো না।অনেক বার মোবাইল ফোন দিতে চাইলো কিন্তু বল্ক দেখায়। মিরা চিন্তিত হয়ে যায়। দুপুরে পরে ইমনের বাসায় গিয়ে দেখে রুম তালা। আংকেল ইমন কই? আজকে,অফিসেও গেল না যে।ইমন শহর ছেরে চলে গেছে।কই গেছে ??মা আমি জানি না কই গেছে।মিরা কাঁদতে, কাঁদতে বাসায় চলে আসে।এসে দরজা দিয়ে শুয়ে কাঁদতেছে। আমার থেকে পালিয়ে ইমন কই গেলো।মিরা বাবা,মা মিরা কে দরজা খুলার জন্য ডাকতছে‌।সেই দুপুর থেকে এখনো দরজা দিয়ে আছো।কি হয়েছে আমাদের বলবা তো।মামুনী দরজা খুলো।মিরা দরজা খুলে মা,বাবা কে জরিয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।এভাবে কাঁদতে দেখে আংকেল,আন্টি কিছু বুঝে উঠতে পারছিল না। সকালেই তো মেয়েটা কতো হাসিখুশি ছিল।মিরা ইমনের সাথে ঝগড়া হইছে?বাবা ইমন আমাকে ছেড়ে চলে গেছে (কাঁদতে কাঁদতে)।কেন চলে গেছে? আমি জানি না বাবা। আন্টি: ইমন গেলে আর কই যাবে গ্ৰামে যাবে।মিরা চোখের পানি মুছে বাবা,আমি এখনই গ্ৰামে যাবো।মামুনী এখন অনেক রাত হয়েগেছে।কাল সকালে তোমার মাকে নিয়ে যাবে।মিরা কিছু না বলে রূমে চলে যায়।এদিকে আমি বাসে বসে বোন কে নিয়ে গ্ৰামে যাচ্ছি। ভাইয়া আমারা কই যাচ্ছি।আমরা গ্ৰামে যাচ্ছি সেখানে থাকবো।বোনকে কুলে নিয়ে‌। আমি গ্ৰামের বাড়িতে এসে দেখি,বাড়ি ছোট, ছোট গাছ আর বন লতা দিয়ে ঢেকে আছে।বোনকে পাশের বাসার কাকি, কাছে দিতে গেলাম।সেখানে যেতেই ছোট, ছোট বাচ্চা আরো কয়েকজন কিশোরী মেয়ে,ছেলে ঘীরে দেখতেছে।আসলে শহর থেকে সাদা চামড়ার মানুষ গেলে গ্ৰামের মানুষ তাকে কৌতুহল নিয়ে দেখতে আসে।কাকি আমাকে দেখে আরে ইমন ভালা আছ নি। আন্টি আল্লাহ রহমতে ভালো আছি।বোন কোল থেকে নেমে গ্ৰামের বাচ্চাদের সাথে খেলতে থাকে।কাকি আমার বোনকে দেইখা রাইখেন।কাকি তার ছোট মেয়েকে ঢাক দিলেন কাকুলি,কাকুলি।কিতা হইছে।ঐ যে ছোট মেয়টা তুমি ওর সাথে খেল আর দেইখা রাইখো। আমি বাড়িতে এসে রিফাত কে ফোন দিয়ে দূস গ্ৰামে বাড়ি এসে গেছি তুই একটু আয় না।খারা দুই মিনিটে ভিতরে আসছি,রিফাত এসেই কিরে ইমন শহরের চাকরি ছেড়ে গ্ৰামে কেন।সে অনেক কাহিনী,পরে বলবো নি। তুই এখন বাড়িটা পরিষ্কার করতে সাহায্য কর। দুই বন্ধু মিলে বাড়ি পরিষ্কার করতে থাকলাম। বাড়ির মাচাটা ভেঙ্গে পরে আছে।ঘরে ঢুকে দেখি ঘর থেকে উৎকট গন্ধ আসছে। এদিকে মিরা আর আন্টি সকাল,সকাল প্রাইভেট কার করে গ্ৰামের বাসার দিকে আসছে।তার মনে শুধু একটাই প্রশ্ন ইমন কেন তাকে ছেড়ে চলে এসেছে একবারও বলে আসলো না কেন। আমি আর বন্ধু বাড়িটা অনেক কষ্টে করে পরিষ্কার করলাম।আর মাচাটা নুতন করে বাঁশ আর কাট দিয়ে শক্ত করে বাধলাম।কাকি থেকে কিছু কাথা আর দুইটা বালিশ এনে বিছানাটা গোছালাম। বন্ধু কে টাকা দিতে চাইলাম উল্টো দুইটা লাথি একটা থাপ্পর, ঘুষি ফ্রিতে পেলাম 😫। টিউবল চেপে বোন,আমি গোসল দিলাম। এরপর কাকি গো বাড়ি থেকে খাবার এনে দুইবোন খেলাম। মাটির চুলা তে রান্না করতে হবে আগের কিছুটা অভিঙ্গতা ছিল। রান্না করার জন্য বাজার করে পাশের বাসা কাকি থেকে লাকরি আনলাম। আমি আবার ফকিন্নি না কয়েক বার গিছি অনেক কিছু পাইছি তাই বলে আবার জাবো না তা মানা যায় নাকি। আমার একাউন্টে যথেষ্ঠ টাকা আছে আপনাদের বলবো না হিংসা করবেন, তাই। মাটির চুলা রান্না করতে ছিলাম ঘেমে শরীর একাকার আর বোন আমার গ্ৰামের বাচ্চা দের সাথে ভালোই আছে‌। হঠাৎ কারো কোমল হাতের ছোঁয়া কেঁপে উঠলাম শরীরের পারফিউম গন্ধটা বুঝিয়ে দিল মিরা। আপনি আমাকে স্পর্ষ কেন করলেন।পেছনে ঘুরতেই মিরা আমাকে দেখে হাসতে শুরু করলো। আমি কি হইছে আমাকে কি জুকার মনে হয় । কোনো কথাই কানে নিচ্ছে না।আমি এবার রেগে হাসতে ছো কেন?আর এখানে কেন আসলা।মিরা হাসতে হাসতে বেগ থেকে ছোট আয়না বের করে আমার মুখে ধরলো। দেখালাম কালি মেখে ভূত হয়ে আছি। নিজের চেহারা নিজেই দেখে ফিক করে হেসে দিলাম। আমি রান্না করছি আর বলছি আপনার প্রতি আমার ঘৃনা আমার কাছে আসবে না। কিন্তু কেন বলবা তো।বলতে পারবো না। .
.
.
.
.
চলবে……..

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *