অফিসের বস যখন রোমান্টিক বউ পর্ব-১৬


আমি আবারো দৌড়ে অফিসে ঢুকলাম, ওর কেবিনে গিয়ে দরজাটা হাল্কা খুলে দেখছি ও খুব কান্না করছে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে। ওর কষ্টতে আমার বুকটাও কেমন থরথর করে কেঁপে উঠছে।
আমি এবার দরজায় টোকা মেরে…..
আমি- আসতে পারি।
সাথে সাথে ও দুচোখ মুছে…..
রিদি:- জ্বি আসো।
আমি রিদির সামনে যেতেই রিদি দুচোখ নামিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি এবার…..
আমি- যে মেয়ে আমার সাথে সারাক্ষন ঝগড়া করে আজ সে আমার সামনে চুপ, কি ব্যাপার?

_রিদি কোনো জবাব না দিয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরে দাঁড়িয়ে আছে। আমি ওর কাঁধে হাত দিয়ে…..
আমি- আমায় ভালোবাসো?
রিদি:- জ্বি না, আর ফান করার এখন আর মুড নাই
আমি- আমার দিকে তাকাও।
রিদি না তাকিয়েই…..
রিদি: তুমি চলে যাও এখান থেকে।
আমি- গেলে তোমায় সাথে নিয়ে যাবো।
রিদি:- কেন?
আমি- তুমি যে আমার রানী তাই।
রিদি:- ফান করো না প্লিজ নাঈম, আমার ভালো লাগছে না।
আমি- আমি সিরিয়াসলি বলছি আই লাভ ইউক।
রিদি:- জ্বি মুভিটা অনেকবার দেখেছি। আর কিছু…

__আমি এবার ওর কাঁধ থেকে হাতটা নামিয়ে ওর সামনে গিয়ে…..
আমি- এমন করছো কেন?
রিদি: জানিনা…..
আমি- জানিনা মানে….
রিদি:- নাঈমমম প্লিজ তুমি এখান থেকে চলে যাও।
আমি- আমি তোমাকে ভালোবাসি রিদি।
রিদি:- আমি আর তোমায় ভালোবাসি না, যে ভালোবাসার মানুষকে সহ্য কর‍তে পারে না তাকে কিভাবে ভালোবাসা যাই শুনি?

_ও আচ্ছা মহারানীর বুঝি এই নিয়ে রাগ অভিমান হয়েছে।
আমি ওর দুটো হাত ধরে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে…
আমি- তোমার মন খারাপে আমার শহরে বৃষ্টি নামতে পারে।
রিদি:- বুঝলাম না,
আমি- তুমি যে মন খারাপ করে আছো তাতে আমার দুচোখ এবার ভিজতে পারে।
রিদি রাগ দেখিয়ে……
রিদি- ভিজুক তাতে আমার কি?
আমি- তোমার কি মানে তুমি না আমায় ভালোবাসো।
রিদি: জ্বি বাসতাম এখন আর না।
আমি ওর হাতদুটো আরো চেপে ধরে….
আমি- আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে পারবা…..
সাথে সাথে আমার বুকে ঝাঁপিয়ে……
রিদি:- না পারবো না।
আমি- তাহলে বললে কেন?
রিদি:- আমার বুঝি রাগ হয় না….
আমি- জ্বি তোমার এতোটাই রাগ যে ফায়ার গাড়িকে এবার ডাক দেওয়া লাগতো।
রিদি:- হিহিহি, ওই কুত্তা প্রোপোজ কর, আর কতোদিন এভাবে আমায় কষ্ট দিবি।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে….
আমি- উহু প্রপোজ তো আমি কর‍তে পারি না।
রিদি:- জানি তো ফ্লাট করতে পারো তুমি শুধু।
আমি- হিহিহি।
রিদি:- ওই করো আমায় প্রপোজ।

_এতো শালা ভারী বিপদে পড়ে গেলাম, এই মেয়ে তো আজ আমায় মেরেই ফেলবে,,,,,

_টেবিলে কিছু প্লাস্টিক গোলাপ ফুল ছিলো তার মধ্যে থেকে একটা গোলাপ নিয়ে ওর সামনে হাঁটু মুড়ে,,,,,,,
আমি- ওহে ললনা তোমার ওই পটল চেঁড়া দুটো চোখ, কুঁদরির মতো নাক, টমেটোর মতো গাল, গাজরের মতো ঠোঁট, আর তোমার কুমড়োর মতো শরীর দেখিয়া এই নাঈম পাগল হয়ে ভালোবেসে ফেলেছে যদি তুমি চাও আমরা কি বিয়ে কর‍তে পারি?

ভাইরে রিদি হোহো হাসছে মুখে হাত চাপা দিয়ে আর ঘাড় নেড়ে…
রিদি:- জ্বি আমিও এই বাঁশ কঞ্চিটাকে ভালোবেসে ফেলেছি তাই আমিও বিয়ে কর‍তে চাই।
আমি- I Love you
রিদি:- I Love you tooo পিচ্চি পণ্ডিত।

__এটা বলে আমাফ হাত থেকে গোলাপটা নিলো।
আর আমার দিকে তাকিয়ে খুব হাসছে।
রিদি:- ওই তুমি এতো হাসাও কেন?
আমি- তোমার হাসিমুখটা দেখলে যে আমার মনটা ভরে যায়।
রিদি:- হাহাহা তাই। আমার পাগলটা।
আমি- জ্বি তারজন্যই তো আমায় এতো কথা শোনালে।
রিদি:- তুমি তাহলে আমায় ওভাবে রাগ দেখালে কেন? তোমায় ওভাবে দেখলে যে আমার কষ্ট হয়।
আমি- তাই।
(পাঠক ভাই বোনেরা আপনারা আমার গল্প করেন ভালো কথা কিন্তু গল্পের পোষ্টের মধ্যে লাইক কমেন্ট করেন না আপনারা যদি আমার পোষ্টের মধ্যে লাইক কমেন্ট করেন তাহলে আপনাদের মাঝে আমি উৎসাহ পায় আর এই পর্বের মধ্যে যদি 300+ লাইক কমেন্ট না আসে তাহলে আমি পরের পর্বটা আপলোড করবো না)
রিদি এবার আমার কপালে কিস দেওয়ার ট্রাই কর‍তে লাগলো বাট পারছে না ওর আমার কাঁধ পর্যন্ত আসছে।
আমি হিহিহি করে হাসছি ওকে দেখে।
ও রেগে আমার পেটে একটা কনুইয়ে করে গুতিয়ে দিলো আমি পেটে হাত দিয়ে…..
আমি- উফ বাবাগো মেরে ফেললো,,,,,,,

_এটা বলেই আমি মাথা নিচু করলাম আর সাথে সাথে আমায় গলা জড়িয়ে ধরে কপালে কিস করে দিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো। শালা কি টেকনিক মাইরি কিস নেওয়ার, আমার নিঞ্জা টেকনিকও দেখি এর কাছে হার মানবে,,,,,,,,,,

হিহিহি।

_বাসায় পৌছাতেই আরেক কান্ড আমায় নিয়ে, শালা জীবনডা পুরাই এবার দেখি তেজপাতা বানিয়ে ছাড়বে। পাত্রীপক্ষ আমায় নাকি দেখতে এসেছে।
(পাঠক-পাঠকীরা আপনাদের উদ্দেশ্য করে একটা কথা বলি, আপনাদের সবার জন্য একটা মেসেঞ্জার গ্রুপ খোলা হয়েছে, এই গ্রুপে শুধু আমার নতুন কোনো গল্প এর লিংক বের হলে, ওই গ্রুপে লিংক দেওয়া হবে তাহলে আপনাদের জন্য সুবিধা হবে, সো জারা জারা এই গ্রুপে এড হতে চান তারা আমাকে ইনবক্সে নক করুন অথবা কমেন্ট করুন, গ্রুপ নাম: NR Story)
আমি রুমে সোজা চলে এলাম।
তাড়াতাড়ি আম্মু রুমে এসে বলতে লাগলো,,,,,,
আম্মু: তুই ফ্রেশ হয়ে নে জলদি তোকে দেখতে এসেছে।
আমি আম্মুর দিকে রাগী লুক দিয়ে…..
আমি: আমি কি মিউজিয়ামের কোনো জিনিস নাকি যে আমায় দেখতে আসবে।
আম্মু:- উফ তুই বেশি না বকে তাড়াতাড়ি বাইরে আয়।
আমি- পারবো না, আমি এখন এই বিয়ে টিয়ে করতে চাই না।

আম্মু এবার আমার দিকে কড়াচোখে তাকিয়ে….
আম্মু:- তা কেন পারবি, ওদিকে ওই মেয়েটার সাথে টো টো করে ঘুরে বেড়াতে পারবি তাই না। জলদি আয় বাইরে।

এটা বলেই আম্মু বাইরে চলে গেলো। উফ এদের জ্বালায় শালা আমার এখন দেখি বাসায় ঠাঁই হবে না,,,,,,,,,,

এবার শুনতে পাচ্ছি আব্বু ডাক দিচ্ছে মধুর কোকিল ডাকে, আহা শুনে পুরো দিল খুশ হয়ে যাচ্ছে,,,,,,,,,

দুঃখিত এই পর্ব টা ছোট করে দেওয়ার জন্য, আজকে বাসায় মেহমান ছিল তাই পর্ব টা ছোট করে লিখলাম কিছু মনে করবেন না,,,,,,,,

লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,,,,,,,

————–চলবে না দৌড়াবে————–

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *