ওদের কথাগুলো শোনে আমি আমার নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না,,,,, আমি এটা কি করলাম,,, আমি রিয়াকে চিনতে পারলাম না,,,আমার সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ টাকে চিনতে পারলাম না, না না আমি একদম ঠিক করি নি,,,,আর মুহুর্তের জন্যও দেরি না করে রিয়ার কাছে চলে গেলাম,,,, কিন্তু দুর্ভাগ্য বসত আমি রিয়ার কাছে পৌছানোর সাথে সাথেই ক্লাসে স্যার প্রবেশ করলেন,,,, রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি ও চুপচাপ হয়ে বসে আছে,,,,
ক্লাস চলছে…..
আমি রিয়ার দিকে বার বার তাকাচ্ছি,,, ওর সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি,,,কিন্তু কোনো ভাবেই পেরে উঠছি না,,,
এমতো অবস্থায় কিছুক্ষণ চলার পর ক্লাসের স্যার বিষয় টা লক্ষ্য করে,,
স্যারঃ আরমান! কি? সমস্যা কি তোমার?
আমিঃ না কিছু না
স্যারঃ তাহলে ওকে বার বার ডিস্টার্ব করছো কেনো?
আমিঃ সরি স্যার
স্যারঃ হুম,,, বসো,,,,
যাক বাবা ক্লাস টা শেষ হয়েছে,,, এখন রিয়ার সাথে কথা বলা যাবে,,,,
আমিঃ(রিয়ার কাছে গিয়ে) রিয়া আমার ভুল হয়ে গেছে,,, প্লিজ এবারের মতো আমাকে ক্ষমা করে দে,,,,
রিয়াঃ….
আমিঃ রিয়া প্লিজ,,, চুপ করে থাকিস না৷ কিছুতো বল৷
তারপর রিয়া তার বেগ নিয়ে ক্লাস রুম থেকে বেড়িয়ে যেতে লাগলো,,,,
আমিও ওর পিছন পিছন বেড়িয়ে পরলাম,,,
রিয়া কলেজ থেকে বেরিয়েই একটা রিক্সায় উঠে পরলো৷
আমিঃ রিয়া, ,, প্লিজ দাড়া,,,, শুধু একটা বার আমার সাথে কথা বল৷
রিয়াঃ( রিক্সা চালক কে উদ্দেশ্য করে) মামা আপনি যান,,,,
রিক্সা চলতে শুরু করলো,,,
আর আমি অসহায়ের মতো দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছি,,,
প্রায় ১৫ মিনিট যাবত দাড়িয়ে আছি কোনো রিক্সাও পাচ্ছি না,,, তারপর বাদ্য হয়েই হাটা ধরলাম,,,,
কিছুদুর যাওয়ার পর একটা রিক্সা পেলাম,,,,
তারপর বাসায় পৌছেই,,,, রিয়ার আম্মুকে জিজ্ঞেস করলামঃ বড় আম্মু রিয়া কোথায় ?
রিয়ার আম্মুঃ রিয়া তো কলেজ থেকেই এখনও ফিরে নি,,,,
আমিঃ কি বলছেন,,, রিয়া তো আমার অনেক আগেই কলেজ থেকে বেরিয়ে গেছে,,,
রিয়ার আম্মুঃ কি বলো এসব,,,,
আমিঃ রিয়াকে একটা কল দেন তো,,,
তারপর রিয়ার আম্মু রিয়াকে কল দিলো,,,
কল রিসিভ করে
রিয়াঃ হুম আম্মু,,,
রিয়ার আম্মুঃ রিয়া মা তুই কোথায়?
রিয়াঃ আম্মু,, আমি তো একটু শপিং এ আসছিলাম,,,
রিয়ার আম্মুঃ অহ,,,, আচ্ছা তারাতাড়ি বাসায় চলে আসিস,,,
রিয়াঃ আচ্ছা আম্মু,,,
আমিঃ ও একা একা শপিং এ গেছে!
রিয়ার আম্মুঃ সেকি একা যাবে কেনো,,,, হয়তো ফ্রেন্ড এর মধ্যেই কাওকে নিয়ে গেছে,,,
আমিঃ হুম,, হয়তো,,, ( উনাকে কিছু বুজতে দিলাম না)
তারপর আমি ওয়াশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে, ছাদে চলে গেলাম,,
একা একা বসে আছি,,,, আর ভাবছি,,, রিয়া আমার সাথে কথা কেনো বলতেছে না,,,
প্রায় আধা ঘন্টা পর রিয়া ছাদে এসে,,,
রিয়াঃ কিরে,,,, কলেজে এমন করছিলি কেন ?
আমিঃ তুই আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিছিস কেন ?
রিয়াঃ না,,, আমি তোর সাথে কথা বললে তো তুই বিরক্ত হছ,,,, আমি আর কাউকে বিরক্ত করতে চায় না,,,
আমিঃ এইই আমি কখন বলছি,,,,যে তুই আমার সাথে কথা বললে আমি বিরক্ত হই,,,,
রিয়াঃ আচ্ছা ওসব কথা বাদ দে,,,, এখন বল তুই কলেজে কি বলতে চাইছিলি,,,
আমিঃ ১ মিনিট দাড়া আমি আসতেছি
রিয়াঃ কই যাস,,,,
আমিঃ আসতেছি একটু wait কর….
তারপর ছাদের গোলাপ গাছ থেকে একটা গোলাপ ফুল নিয়ে,,, রিয়ার কাছে এসে,,,, হাটু গেরে বসে,,,, ওকে বলতে লাগলামঃ
রিয়া,,, আমি এতো দিন শুনেছি,,, কেউ বড়ো ধরনের কোনো পন্য করলে,,,,তার প্রতিদান নাকি উপরওয়ালা এই পৃথীবিতেই দিয়ে দেয়,,,,, কিন্তু আমি জানি না,,, আমি কোন পন্যের বিনিময়ে তোর মতো একটা মেয়েকে আমার জীবনে পেয়েছি,,,,, রিয়া তুই যখন আমার সাথে সারাক্ষণই কথা বলতি ঝগড়া করতি, তখন আমার খুব বিরক্ত লাগতো,,,, কিন্তু তুই যখন আমার সাথে কথা বলা, ঝগড়া করা বন্ধ করে দিলি,,,, তুই নিজেও জানিস না,,, আমি তোর সেই বিরক্তি গুলা কতটা মিস করেছি,,,, রিয়া তুই ছাড়া এই আরমান,,, অসম্পূর্ণ ,,, তুই কি এই ছেলেটাকে সম্পুর্ন করবি,,,,
Riya,,, I love you,,,,
Do you love me?
রিয়া কিছুক্ষণ চুপ থেকে তারপর ছাদ থেকে চলে যেতে লাগলো,,,,
(আমি রিয়ার হাত ধরে আমার একেবারে কছে টেনে নিয়ে) ,,,,, রিয়া প্লিজ তুই আর রাগ করে থাকিস না,,, আমি বলছি তো,, আমার ভুল হয়ে গেছে,,,, প্লিজ তুই আমায় মেনে নে,,,
রিয়াঃ সেটা আর সম্ভব না,,,,
আমিঃ রিয়াআ,,,তুই কেনো এতো জেদ ধরছিস,,, আমি বলছি তো আমার ভুল হয়ে গেছে,,,,
রিয়াঃ আরমান,,,, আমার রিলেশন আছে,,
( রিয়ার মুখে এই কথাটা শুনারা সাথে সাথেই মনে হলো,,, , আমার বুকের বাম পাশটাই কেউ জেনো ধারালো কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করলো,,,, শরীরের প্রত্যেকটা অংগ প্রতংগগুলো,,, অবশ হয়ে যেতে লাগলো,,,)
বল আমি নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে রিয়াকে বললামঃ রিয়া তুত তুই মিথ্যা বলতেছিস,,,,
রিয়াঃ না,,, আমি যা বলছি সত্যিই বলছি,,, আমি যে দিন তোকে প্রপোজ করেছিলাম,,,তার ২ দিন আগে রুহান আমাকে প্রপোজ করে,,,, কিন্তু আমি উনাকে না বলে দিয়েছিলাম,,, পরের দিন উনি আমাদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠান,,,, কিন্তু আমি তখনও অদেরকে না বলে দেই,,,, পরে আমার আর তোর আব্বু রোহানের প্রস্তাব না বলে দেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করেন,,,,, আর আমিও তখন তাদের মুখের উপর বলে দিয়েছিলাম,,, যে আমি তোকে ভালোবাসি,,, আর বিয়ে করলে তোকেই করবো,,,, আর তখন তোর আব্বু বলছিলো যে আমি যে তোকে ভালোবাসি সেটা তুই জানিস কিনা,,, কিন্তু তুই তো জানতি না,,,,, আমি ওটাও উনাদেরকে বলে দিছিলাম,,, পরে তোর আব্বু বললো,,,, তোকে জানানোর জন্য,,,, আর তুই যদি রাজি থাকিস তাহলে,, তোর কাছে আমাকে বিয়ে দিয়ে দিবে,,,, ( কান্না করে দিয়ে) কিন্তু তুই তো রাজি ছিলি না,,,,, ,,,, তারপরও আমি উনাদেকে অনেকবার বুঝাইছি যে আমি তোকে ছাড়া ভালো থাকতে পারবো না ,,, কিন্তু উনারা আমার কোনো কথাই শোনেন নি,,,,, রোহানের সাথে আমার বিয়ের পাকা কথা দিয়ে দিছে ,,,
আমিঃ তোর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে,,, তোকে বর পক্ষ দেখতে আসলো অথচ আমি কিছুই জানি না,,,,
রিয়াঃ বর পক্ষ যখন এসেছিলো ,,, তখন তুই বাসায় ছিলি না,,,,, আর পরে তুই বললি যে তুই আমাকে ভালোবাসিস না,,, তাই আমিই সবাইকে মানা করেছিলাম,, যেনো আমার বিয়ের কথাটা তোকে কেউ না জানায়,,,,( কান্না করে) আরমান,,,আরমান তুই আমাকে ভুলে যা,,,,
কথাটা বলেই রিয়া কান্না করতে করতে,,,ছাদ থেকে নিচে নেমে গেলো,,,, আর আমি,,,, ছাদেই ধপাস করে বসে পরলাম……এটা আমার সাথে কই হয়ে গেলো আল্লাহ…..
রিয়াঃ আরমান,,,,আরমান তুই আমাকে ভুলে যা,,,,
কথাটা বলেই রিয়া কান্না করতে করতে,,,ছাদ থেকে নিচে নেমে গেলো,,,, আর আমি,,,, ছাদেই ধপাস করে বসে পরলাম,,,
মনের অজান্তেই অনবরত দু চোখের জল ঝড়তে লাগলো,,,
এতদিন শুনতাম,,, ভালোবাসার মানুষটা হারিয়ে গেলে নাকি খুব বেশি কষ্ট হয়,,,, কিন্তু কখনো ভাবিনি কষ্টটা যে সত্যিই এতো বেশি হয়,,,, নিতে পারছিলাম না,,,,,
অন্যদিকে রিয়া…
নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে,,,,সবার আড়ালে লুকিয়ে,, ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে লাগলো,,,,
প্রায় ২ঘন্টা পর নিজেকে কিছুটা সাভাবিক করে,, ছাদ থেকে নেমে আসলাম,,
বিকেলের দিকে রুমে শুয়ে আছি,, এমন সময় রুবেলের কল,,,
আমিঃ( রিসিভ করে) হুম বল,,,
রুবেলঃ বলবো মানে,,,, কয়টা এখনও আড্ডা খানায় আসিস নি কেনো?
আমিঃ তোরা আড্ডা দে রে,,, আমার ভালো লাগছে না৷
রুবেলঃ কি বেপার! তোর শরীর খারাপ? তোর কন্ঠ এমন লাগছে কেনো?
আমিঃ না,, তেমন কিছু না,,,,
রুবেলঃ আচ্ছা,,, আমি তোর বাসায় আসতেছি,,,,
আমিঃ আচ্ছা, আয়…
১০ মিনিট পর..
রুবেলঃ ( আমার রুমে এসে) কিরে এই অবেলায় শুয়ে আছিস,,,, ( আমার কাছে এসে আমার কপালে হাত দিয়ে) তোর তো জর ও নেই,,,,, কিরে রিয়ার সাথে কি হইছে,,,
আমিঃ.,,,,,,,,
রুবেলঃ কি বেপার! কিছু বলছিস না কেনো ?
আমিঃ রিয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে
আমার কথাটা শোনার সাথে সাথেই রুবেল যেনো আকাশ থেকে পড়লো,,,,
রুবেলঃ ( কাপা কাপা সুরে) তুত তুই কি বলছিস!
আমিঃ হুম যা শুনেছিস,,, তাই হচ্ছে,,, আগামী সপ্তাহেই রিয়ার বিয়ে,,,
রুবেলঃ তা তুই বসে আছিস কেনো,,,, তুই রিয়াকে বলছিস,,, যে তুই রিয়াকে ভালোবাসিস,,,,
আমিঃ হুম,,, বলছি,,,, কিন্তু এখন আর ওর পক্ষে কিছু করা সম্ভব না,,,
রুবেলঃ আচ্ছা,, আমি আংকেল আন্টিকে বুঝায়া বলতেছি,,,
আমিঃ না,,,,, উনারা তো আমাকে রিয়ার মাধ্যমে আগেই জিজ্ঞেস করেছে,,, আমি রিয়াকে পছন্দ করি কিনা,,, কিন্তু আমি তো তখন রাজি ছিলাম না,,,,
রুবেলঃ কিন্তু তুই তো এখন রাজি আছিস,,,, আমি আংকেল আন্টিকে বলে দিচ্ছি
কথাটা বলেই আব্বু আম্মু কে কথাটা জানানো উদ্দেশ্য,,, রুবেল উঠে গেলো,,,
আমি রুবেলের হাত ধরে ওকে আটকিয়ে,,,,, রুবেল প্লিজ,,, তুই এই বেপারে আব্বু আম্মুকে কিছু বলবি না,,, আমি আর কাউকে কষ্ট দিতে চাই না,,,
রুবেলঃ তো,,, তুই নিজে যে কষ্ট পাচ্ছিস!
আমিঃ কষ্টের কারন টা তো আমি নিজেই,,,,
কথাটা বলার পরপরই রুবেল আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না করে দেয়,,,,, আর বলতে থাকে,,, আরমান তুই কেন এমন করছিস,
আমিঃ আরে বোকা এসব কিছু না,,,, কয়েক দিন হয়তো একটু কষ্ট হবে,,,, তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,
রুবেলঃ আচ্ছা চল,,,, বাইরে থেকে একটু বেরিয়ে আসি,,, তোর ভালো লাগবে,,
আমিঃ হুম,,, চল,,,
অন্য দিকে রিয়ার সাথে যা ঘটছে……
রাত ৯: ৩০
রিয়ার ফোনে, রোহানের কল,,,
রিয়া ১ম বার কল রিসিভ করে নি,,,
রোহান আবার কল করলো,,,,
রিয়া এবার কল রিসিভ করেঃ হ্যালো,,
রোহানঃ কি বেপার বিজি নাকি?
রিয়াঃ না,,
রোহানঃ অহ, কেমন আছো ?
রিয়াঃ ভালো,, আপনি?
রোহানঃ হুম ভালো,,,, আচ্ছা যে জন্য তোমাকে কল দিছি,,,, আসলে কালকে আমার অফিসের কাজে একটু কিশোরগঞ্জের বাইরে যেতে হবে,,,, তুমি এক কাজ করো,,, আমার আম্মু আর তোমার আম্মুকে নিয়ে শপিং টা সেরে ফেলো,,,, আর আমি তো আসতে পারবো না,,, তুমি তোমার আরমান ভাইয়াকে( আমি) সাথে নিয়ে যেও,,,,
রিয়াঃ কিন্তু,,, আপনি আসলে তো ভালো হতো,,,,প্রয়োজন হলে আমারা কালকের পরের দিন শপিং করি ?
রোহানঃ না,,, কালকেই করে ফেলো,,,
রিয়াঃ আচ্ছা,,, আমি রাখছি /
তারপর রুবেলের সাথে অনেক্ষণ ঘুরলাম, আড্ডা দিলাম,,,, প্রায় রাত ১১ টায় রুবেলকে বিদায় দিয়ে,,, একটা ফার্মিসি তে গিয়ে কিছু ঘুমের ঔষধ মিয়ে বাসায় ফিরলাম,,,
বাসায় ফিরতেই দেখি, আব্বু, আম্মু দুজনেই এখনও আমার অপেক্ষাই বসে আছেন, ,,,
আম্মুঃ( আমার কাছে এসে) এইই আরমান তুই কি আর শুধরাবি না৷ কটা খেয়াল আছে,,,, এখন তোর বাসায় আসার সময় হলো,,,,
আব্বুঃ আহ,,, থামতো,,,ওকে খাবার দাও,,
আমিঃ আমার খুদা নেই,, কথাটা বলেই আমি আমার রুমে চল আসলাম,,,
বিছানায় শুয়ে আছি,,,,, ঘড়ির কাটায়, রাত আড়াইটা বাজে,,,, এখনও ঘুম আসছে না ,,,,
বিছানা থেকে উঠে,,, টেবিলে রাখা ঘুমের ঔষধ গুলো সব এক সাথে খেয়ে ফেললাম,,, ২ মিনিট পরেই প্রচন্ড মাথা ব্যাথা শুরু হলো,,, সহ্য করতে পারছিলাম না,,,,,মনে হচ্ছিলো আমার মাথায় কেউ বিসাক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করছে,,,, কোনোমতে উঠে ওয়াশ রুমে গিয়ে চোখে মুখে পানি দিলাম,,, ব্যাথাটা যেনো ক্রমশ বেড়েই চলেছে,,,,, হঠাৎ করেই আমার মুখ দিয়ে অনবরত বমি আসা শুরু করলো,,,,, প্রচন্ড ক্লান্তিতে কখন যে ওয়াশ রুমের ফ্লোরে পরেই ঘমুয়ে গেছি,,, তা আর খেয়াল নেই,,,
সকালে কারও ঝাকোনিতে,,,, চোখ খুললাম,,,,, দেখি, আম্মু,,,,
আর আম্মুর পাশেই আব্বু, রিয়ার আব্বু, আম্মু,, দাড়িয়ে আছে,,,,,
আর রিয়া দরজার “সামনে হেলান দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে দাড়িয়ে আছে,,,, চোখের কোনে ১ ফোটা জল আসতেই,, সাথে সাথে ওর হাত দিয়ে মুছে ফেললো,,,
আম্মুঃ কি বেপার আরমান! তুই এইখানে কেনো?
আমিঃ,,,,,,
আম্মুঃ কি বেপার কিছু বলছিস না কেনো?
আমিঃ আমি জানি না,,,, রাতে মাথা ব্যাথা উঠেছিলো,, পরে চোখে মুখে পানি দেওয়ার জন্য ওয়াশ রুমে এসেছিলাম,,,, তারপর আমার আর কিছু খেয়াল নেই,,,,
আম্মুঃ আচ্ছা, বাবা গোসল করে নে,,,,
আমিঃ আচ্ছা,,,,
তারপর গোসল সেরে,, নাস্তা করে আমার রুমে এসে ফেসবুকে ঘাটাঘাটি করছিলাম,,,, এমন সময়, আমার রুমে রিয়া প্রবেশ করলো,,,,
আমিঃ কিছু বলবি ?
রিয়াঃ হুম,,
আমিঃ তো বল,,,,
রিয়াঃ আমার সাথে একটু শপিংয়ে যেতে পারবি,,,,?
আমিঃ কেনো,,, রোহান ভাইয়া যাবে না,,,
রিয়াঃ না,,,,
আমিঃ আচ্ছা,,,, তুই যা,,, আমি রেডি হয়ে আসছি,,,
রিয়া কেমন ভাবে যেনো আমার দিকে তাকিয়ে বললঃ হুম,,,,
তারপর ও আমার রুম ত্যাগ করলো,,,
বিকালে
ড্রাইভারের পাশের সীট এ আমি,,, আর রিয়া,, রিয়ার আম্মু আর আমার আম্মু পিছনে গিয়ে বসলেন,,,,
রিয়ার আম্মুঃ আরমান,,,, পিছনে তো সীট আছে,,,, তুমি আমাদের সাথে চলে আসো,,,
আমিঃ না না,, বড়ো আম্মু,,, আমি এখানেই ঠিক আছি,,,,
তারপর গাড়ি স্টার্ট করলো,,,,
শপিংমলে পৌছে,,,তাদের কথা মতো আগে শাড়ীর দোকানে প্রবেশ করলাম,,,
রিয়ার আম্মু আর আমার আম্মু শাড়ী পছন্দ করতে লাগলেন,,, আর রিয়া বারবারই আমার দিকে তাকাচ্ছে,,,,
আমি বিষয়টা বুঝেও এরিয়ে গেলাম,,,
ঠিক তখনই রিয়া বড়ো আম্মু আর আম্মুকে বললোঃ তোমারা শাড়ী পছন্দ করো,,,, আমি আরমানকে নিয়ে একটু গহনার দোকানে যাচ্ছি,,
আম্মুঃ আচ্ছা যা,,,
তারপর রিয়া আমাকে নিয়ে গহনার দোকানের সামনে দিয়ে বাইরে চলে যাচ্ছে
ঠিক তখনই আমিঃ রিয়া কই যাচ্ছি,,,
রিয়াঃ চুপচাপ আমার সাথে চল,,,, কোনো কথা বলবি না…………
রিয়াঃ তুই কাল……..
.
.
চলবে…….
.