আম্ম:-নাঈম,,,,এই নাঈম,, তাড়াতাড়ি নিচে আই,,
আমি মোবাইলে গেইম খেলতেছি তখনি আম্মুর ডাক পড়ল,,ধুর ডাকার আর টাইম পেল না,,
আমি খেলা বন্ধ করে নিচে গেলাম,,
আমি–কি হইছে,,? এইভাবে চিল্লাও কেন,,?
আম্মু–নে ধর বাজার থেকে এইগুলো নিয়ে আই,,(হাতে একটা লিস্ট দিয়ে)
আমি–এ এএ আমি পারবো না,, আমি কোন দিন বাজার করছি নাকি,,
আম্মু–করস নাই,,এখন করবি,,
আমি–আমার মত পিচ্ছি পুলারে তুমি বাজারে পাঠাচ্ছ, আমাকে যদি রাস্তায় কেও ধরে টাকাগুলো কেড়ে নেই,,না না মুই পারোম না,,
আম্মু–তা বল্লেন হবেনা,,তুকেই যেতে হবে,,
আমি–না আমি পারবো না,, আমার ভয় করে না বুঝি,,
আম্মু–তুর ভয়ের গুষ্টি উদ্ধার করব,,যা বলছি,,(চোখ গরম করে)
__আমি তো ভয়ে কাচুমাচু হয়ে গেছি,,,,,
কি আর করার বাদ্য হয়ে যেতে হল,,
আমি–আচ্ছা টাকা দাও,,
আম্মু–এই নে ধর,,
আমি–আম্মু আমাকে কিছু দিবে না!
আম্মু–তুকে কেন দিব,,
আমি–এমা আমি কষ্ট করে বাজারে যাব,, আমার বেতন দিতে হবে না,,(ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে)
আম্মু–ঝাড়ু টা কই,,দারা তুর বেতন বের করছি,,
আমি আর ওখানে দাঁড়ালাম না,,
এক দৌড়ে রাস্তায়,,
আর মনে মনে ভাবছি টাকা যখন দিল না,,
তাহলে বাজার থেকে মেরে দিব,,,(আবার আপনারা আমার আম্মু কে বলে দিয়েন না,, আমি আপনাদের আপন ভেবে বললাম)
যেতে যেতে পরিচয় সেরে ফেলি,,
আমি নাঈম,,বাবা মার একমাত্র পোলা,,ক্লাস টেনে পড়ি,, বাবা বিদেশে থাকে,,মা গৃহিণী,,এই নিয়ে আমার হেপি পরিবার—
পরিচয় দিতে দিতে বাজারে চলে আসলাম,,
এসে লিস্ট দেখতে লাগলাম,,
দেখি শুরু তে পেঁয়াজ লেখা আছে,,২কেজি,,
আমি–ও চাচা পেঁয়াজের কেজি কত,,
দোকানদার–২৬০ টাকা,,
আমি–মজা করেন কেন,, পেঁয়াজ তো কেজি ২৬ টাকা,,
দোকানদার–মজা করব কেন,, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে,,আচ্ছা আপনার জন্য ২৫০ টাকা,,
আমি–চাচা ২৫ টাকা হবে,, হলে ২ কেজি দেন,,
দোকানদার–আরে যান তো,, আপনি পেঁয়াজ কিনতে আসেন নাই,, পেঁয়াজের খোসা কিনতে এসেছেন,,
__আমি মনে হয় এখন মঙ্গল গ্রহে আছি,,
আম্মু কে দিলাম ফোন,, কিছুক্ষণ রিং হওয়ার পর ধরল,,
আম্মু–কি বলবি বল,,
আমি–অম্মু তোমার জন্য একটা গুট নিউজ আছে,,
আম্মু–বল,
আমি–বলছি কি পেঁয়াজ কিনতে তো সব টাকা চলে যাবে,,
আম্মু–কেন পেঁয়াজ তো সস্তা আছে,,
আমি–আম্মু পেঁয়াজ এর কেজি এখন ২৬০ টাকা,,
আম্মু–দেখ টাকা মারার ধান্দা করবি না,,
আমি–আম্মু আমি সত্যি বলছি,, তোমার মাথায় হাত দিয়ে বলছি,,
আম্মু—তো কি করবি এখন,
আমি–তুমি কি পিঁয়াজ ছাড়া রান্না করতে পারবে,,?যে টাকা দিয়ে পিয়াজ কিনব সে টাকা দিয়ে একটা বড় থেকে রুই মাছ পাব,,
আম্মু–পিয়াজ ছাড়া রান্না তুর মাথা দিয়ে করব,,,?
কি আর করার ১ কেজি নিয়ে আয়,,
আমি–ওকে বলে কেটে দিলাম,
ইসরে আজ তো আর ধান্দা হবেনা,,
সবকিছুর জন্য শালার পেঁয়াজ দায়ী,,
আমি–চাচা এক কেজি পেঁয়াজ দেন তো,,
দোকানদার–এই নাও,,,,,
___তারপর একে একে সব বাজার শেষ করে,, বাসার দিকে হাঁটা ধরলাম,,
মাঝপথে দাঁড়িয়ে টাকা গুনে দেখি শুধু আর ২০০ টাকা আছে,,যাক কপালে যা আছে,,তাই পকেটে ঢুকায় আগে,,
বাসার কাছাকাছি যখন আসলাম তখন একটা বোরকা পরা মেয়ের দিকে আমার চোখ আটকে গেল,, আমি চোখ সরাতেই পারছি না,, হা করে তাকিয়ে আছি,,কি মায়াবি চোখ জুড়া,,যে কেউ তার চোখের মায়ায় পড়ে যাবে,,, আমি এক ধ্যান এ তাকাই আছি,, আমি খেয়াল ও করিনাই,,মেয়েটি আমার সামনে চলে এসেছে,,
মেয়েটি–কি মিস্টার এইভাবে থাকাই আছেন কেন,,,?(হাতের থুড়ি বাজিয়ে)
মেয়েটির কথাই আমার ধ্যান ভাঙল,,এবং
সাথে সাথে লজ্জা ও লাগল,, আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললাম,,
__মেয়েটি আমাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে গেল,,
যাওয়ার সময় পিছনে ফিরে আমার দিকে কেমন করে জানি তাকিয়ে আবার হাটা ধরল,,
সত্যি বলতে আমি ওর চোখের মায়ায় পড়ে গেছি,,,
আমি ও বাসার চলে এলাম,,
আমি—my dear আম্মু,,কই তুমি,,
আম্মু–ধর তোমার বাজার,,
আম্মু–দে,,
(এই বলে আমার হাত থেকে নিয়ে নিল,,) যা ফ্রেস হয়ে আয় আমি খাবার দিচ্ছি,,
আমি–ওকে
এই বলে ফ্রেস হতে চলে গেলাম,,
ফ্রেস হয়ে খেতে বসলাম,, আম্মু ও বসল,,
আমি–আম্মু আব্বু কে বল,, বিদেশে আর থাকতে হবেনা, দেশে চলে আসতে বলে,,
আম্মু–এসে কি করবে,,
আমি–কি করবে মানে,,,বাবা ছেলে মিলে পেঁয়াজ এর ব্যাবসা করব,,আর টাকার পাহাড় বানাব,,
আমম্মূ–বকবক না করে খা,,
আর কিছু না বলে খাওয়া শুরু করলাম,,
খাওয়া শেষে যখনি উঠতে যাব তখনি
আম্মু–শুন তুর জন্য প্রাইভেট ঠিক করছি,,
আমি–কোথায়,,
আম্মু–তুদের শাইলা মেডামের কাছে,,
আমি–কি,,?ঐ বজ্জাত মহিলার কাছে আমি পড়ব না,,(আসলে ম্যাম একটু রাগী তো তাই)
আম্মু–আমি যেতে যখন বলছি, তুই যাবি ব্যাস,,
আমি আবার আম্মু কে ভয় পাই তাই
আমি–হ্যা
এই বলে রুমে চলে আসলাম,,এসে শুয়ে শুয়ে ফেসবুকিং করছি,,এমা দেখি গোটা ফেসবুকে শুধু পেঁয়াজ আর পেঁয়াজ,,
প্রাইভেট এর টাইম হলে বই খাতা নিয়ে মেডামের বাসায় চলে এলাম,,
মেডামের বাসায় আমাদের এলাকায় তাই আস্তে বেশিক্ষণ লাগে না,,
কলিং বেল চাপ দিতেই কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে দিতেই
আমিতো
.
.
.
————চলবে নাকি দৌড়াবে————