খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি আমার রুমের দিকে রওনা দিমাম ঘুমানোর জন্য
–কথায় যাচ্ছিস?(রিয়া)
–আমার রুমে। ঘুম ধরছে খুব(আমি)
–হা হা হা
–এতে আবার হাসির কি হলো
–তোর রুমে মামা তালা দিয়ে রেখেছে
.
বুঝতে পারলাম বাবা একটু বেশিই রেগেছে।আজকে এত রাত করে বাড়ি ফেরা উচিত হয়নি।কালকে সকালে কিযে করবে কে জানে।কালকের টা কালকে দেখা যানে কিন্তু এখন ঘুমাবো কথায়?
–ওই রিয়া তাহলে আমি এখন ঘুমাবো কথায়?(আমি)
–আজকে রাতটা নাহয় এখানেই শুয়ে পর(রিয়া)
–আহাহাহা শক কত?আমার মতো একটা হেনসাম ছেলে তোর রুমে ঘুমালে তুই নিজেকে সামলাতে পারবি না
–তোর মতো গরুর জন্য আমি নিজেকে সামলাতে পারবো না হাসালি রে।আমাদের মাঝে কোলবালিশ থাকবে ওকে?
–আজকে পরিস্থিতি এরকম বলে কিছু বললাম না নইলে তোরে কি যে করতাম আল্ল খোদাই জানে
–হইছে কিছু করার লাগবে না ঘুমা
.
রিয়া ঘুমিয়ে গেলো কিন্তু আমার ঘুম আসছে না।পাশে একটা সুন্দরী মেয়ে থাকলে কি করে ঘুমাবো বলেন?
একটু পর ড্রিম লাইটের আলোয় দেখলাম রিয়া নরা চরা করছে।রিয়াও কি আমার মতো ঘুমাতে পারছেনা নাকি কে জানে।হতে পারে আমার মতো পরো একই অবস্থা। আরো একটু পর খেয়াল করলাম রিয়া আমাদের মাঝ খানে থাকা কোলবালিশটা বিছানা থেকে ফেলে দিলো।আমি শুধু দেখতে থাকলাম রিয়ার কান্ডগুলো।ড্রিম লাইটের আলোয় দেখলাম রিয়া আমার কাছে আসছে তাই আমি আমার চোখ দুটো বন্ধ করলাম আর খেয়াল করতে লাগলাম কি করছে রিয়া।আমি অনুভবে বুঝতে পারলাম রিয়া আমার কাছে চলে এসেছে।আগে যেখানে কোলবালিশ ছিলো ঠিক সে জায়গায় রিয়া এখন।আমিতো চোখ বন্ধ করেই আছি।রিয়া আস্তে আস্তে আমাকে জরিয়ে ধরলো।আমি বিদুৎতিক শক খেলাম এরকমটা মনে হলো।রিয়া আস্তে আস্তে আমার এতটাই কাছে এলো যে তার পতিটা শ্বাস পশ্বাস আমি টের পাচ্ছি।আমি যেহেতু ওর দিকে ঘুরে শুইয়েছিলাম তাই রিয়া আমাকে জরিয়ে ধরাতে সুবিধা হচ্ছিল এটা আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম।তো সে আমার এতোটাই কাছে আসছিলো যে ওর না আর আমার নাক একসাথে লেগে গেছে।মাঝে মাঝে ওর ঠোঁট আমার ঠোঁটে আমতো করে স্পর্শ হচ্ছে। আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।এদিকে এসি থাকা সত্যেও আমার শরির ঘামতে শুরু করেছে।এই অবস্থায় কোনো পুরুষ নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবে না।আমিও পারলাম না তাই দিলাম চার ঠোঁট আর দুই জিহবা এক করে দিলাম।আমি কিছ করার সাথে সাথেই সে রেসপন্স দিতে শুরু করলো।আমিতো অবাক আমার কেনো জানি মনে হলো সেও চাইছিলো আমি যেনো তাকে কিছ করি।
আমরা দুজনেই এমনভাবে ঠোঁট আর জিহবা চুসতেছি একেবারে ছোটো বাচ্চারা যেভাবে ললিপপ চুসে ঠিক সেই ভাবে।একে অপরকে ছারার কোনো নাম গন্ধও নাই।আমিতো শুধুমাত্র শুরু করছিলাম কিন্তু শেষটা মনে হয় রিয়াই করবে।রিয়া এমনভাবে কিছ করছে যে আমাকে একটু শ্বাসও নিতে দিচ্ছে না ওযে কিভাবে এতক্ষণ শ্বাস না নিয়ে আছে কে জানে।রিয়া এবার আমার বুকের উপর উঠে কিছ করতে তাকলো।আমি ছেলে মানুষ হয়ে নিচে থাকবো ভাবা যায় বলেন।তাই আমি তাকে আমার নিচে ফেলে দিয়ে উরাধুরা কিছ করতে লাগলাম কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারলাম না সে আবার আমার উপরে উঠে কিছ করতে লাগলো।
পুরো ২০মিনিট হয়ে গেলো কিন্তু আমার ঠোঁট দুটোকে ছারার কোনো নাম গন্ধও নাই।আমার ঠোঁট দুটো লাল করে ফেলেছে চুসতে চুসতে।ওরো ঠোটের একই অবস্থা কিন্তু তার পরো ছারছে না।
দির্ঘ ২৫ মিনিট পর আমাকে ছারলো।আমরা দুজন স্বাভাবিক হতে এক মিনিট লাগলো।
.
হঠাৎ রিয়া আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানা থেকে মাটিতে ফেলে দিলো।আমি খুব বেথা পেলাম।ঘাটের উপর থেকে পরলে কিরকম বেথা লাগে সেটা যে খাটের উপর থেকে পরেছে সেই ভালো করে জানে।রিয়া বিছানা থেকে উঠে আমার সামনে আসলো।আমি মনে করছিলাম রিয়া হয়তো আমাকে তুলতে এসেছে কিন্তু না।হঠাৎ ঠাস ঠাস ঠাস তিনটা থাপ্পড়ের শব্দ পেলাম।কি ভাবছেন আমার গালে পড়েছে থাপ্পড় গুলো?হ্যা ঠিকই ভাবছেন থাপ্পড় গুলো আমার গালেই পরেছে।
এমনিতেই আমি বিছানার উপর থেকে পরে বেথা পেয়েছি তার উপর আবার তিন তিনটা থাপ্পড়। আমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছিলো। তার থেকে বেশি বেথা পাচ্ছি।
–ওই নির্লজ্জ,অমানুষ, শয়তান তুই আমাকে কুন সাহসে চুমু খেয়েছিস?(রিয়া)
–আমি একাই চুমু খেয়েছি?তুই খাসনি?(আমি)
–ওই শয়তানের বাচ্চা শয়তান তুই আগে কেনো আমাকে কিছ করেছিস?(রিয়া)
এবার আমার রাগ চরম মাত্রায় উঠে গেলো।আমার বাবা মাকে নিয়ে কেউ কিছু বললে তা আমি শয্য করতে পারি না।(এটা আমি নয় প্রায় সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে)ইচ্ছে করছে দুই গালে দুইটা থাপ্পড় বসিয়ে দেই কিন্তু সেটা আমি পারবোনা কারন আমার প্রিয়জনদের উপর আমি হাত তুলতে পারি না।এটা আমার ছোটোবেলার অভ্যাস।কিন্তু রাগ হচ্ছিল খুব তাই তার কথার উত্তর না দিয়েই ছাদে চলে আসলাম।আমার রাগ হলে আমি ছাদে আসি।(আপনারাও ট্রাই করতে পারেন)ছাদে এসে বেস্থ শহরটাকে দেখছি।এখন প্রায় রাত একটা তবুও রাস্তায় মানুষ আর গাড়ির কমতি নেই।আমি পকেটে হাত দিয়ে দেখলাম পকেটে একটা সিগারেটের পাকেট।এই একমাত্র সিগারেটই ছেলেদের কষ্ট দূর করতে পারে।ছাদের এক কোনায় দারিয়ে সিগারেটের ধোয়া উরাচ্ছি আর ভাবছি একটু আগের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো।আমার বড্ড অভিমান হচ্ছে রিয়ার উপর। দোষ কি আমার একার ছিলো?তারতো দোষ ছিলো।তাহলে কেন শুধু শুধু আমাকে মারলো।কই আমিতো কখনো ওর উপর হাত তুলিনি।রিয়াকে শাস্তি দেওয়া উচিত।অনেক ভেবে বের করলাম রিয়ার সাথে কথা বলবো না।এটাই ওর সবথেকে বরো শাস্তি। প্রিয়জন কাছে থেকেও কথা না বলাটা কতটা কষ্টের তা কেবলমাত্র যারা প্রেম করে তারাই জানে।
.
সকালে,
ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখলাম রিয়া আমাকে ধাক্কা দিয়ে তুলার চেষ্টা করছে।আমি আরেকটু ভালোভাবে তাকিয়ে দেখলাম আমার ডানহাতে অর্ধেক খাওয়া সিগারেটটা এখনো আছে।রিয়া রাগি শুরে বলতে শুরু করলো,,,,
–আরমান কখন থেকে ডাকছি তোকে উঠ আর তোর হাতে সিগারেট কেন?তোকে না বলেছি তুই কোনোদিন সিগারেট খাবি না?(রিয়া)
আমি রাতের শাস্তি কথা অনুযায়ী রিয়ার সাথে কথা বলছিনা।
–কিরে কথা বলছিস না কেনো?বোবা হলি নাকি?
আমি কোনো কথাই বলছি না।অর্ধেক খাওয়া সিগারেটটা তখনো আমার হাতেই ছিলো।আমি অর্ধেক খাওয়া সিগারেটটা আবার পেকেটে ডুকিয়ে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম যে তার কথা শুনতে আমি বাধ্য নই।নিছে চলে আসলাম।আসার সময় পিছনে তাকিয়ে দেখলাম রিয়া আমার দিকে করুন দিষ্টিতে তাকিয়ে আছে।হয়তো রাতের জন্য সরি বলতে চাচ্ছে। নিচে চলে আসলাম।এসে দেখি বাবা আমার দিকে রাগান্বিত দিষ্টিতে তাকিয়ে আছে।আমি সোজা গিয়ে বাবার পা দুটো জরিয়ে ধরলাম।
–আমাকে মাফ করে দেও আব্বু এরকম আর করবো না(আমি)
–আমার দূর্বল দিগটা খুব ভালো করে জানিস তাইনা?আমি যখনি রাগ করে কিছু বলতে যাবো তখনি তুই আমার পা দুটো জরিয়ে ধরিস(আব্বু)
–আর তখন তুমি আমাকে মাফ করে দেও(আমি)
–হুম কি করবো বল তুর উপর আমি যে বেশিক্ষণ রাগ করে থাকতে পারি না।কালকে থেকে আর এরকম করবি না।রাত দশটার আগে বাসায় ফিরবি ঠিকআছে।(আব্বু)
–ওকে আব্বু ঠিকআছে(আমি)
–চল এখন নাস্তা করে নেই(আব্বু)
–হুম চলো(আমি)
নাস্তা করার সময় রিয়াই আমাদের নাস্তা বেরে দিচ্ছিলো।তো আমাকে জিজ্ঞেস করলো
–আরমান তোকে আরো রুটি দেবো(আমি)
আমি তার প্রশ্নের উত্তরে কিছুই বললাম না।তাই এবার মা জিজ্ঞেস করলো
–কিরে তোর রুটি লাগবে?(আম্মু)
–না মা আর খাবোনা(আমি)
এই বলে আমি উঠে চোলে আসলাম।
কলেজ যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছি তখনি কে যেনো আমার রুমের মধ্যে প্রবেশ করলো।ভালোভাবে তাকিয়ে দেখলাম রিয়া।রিয়া আমার রুমের মধ্যে ডুকে দরজা লাগিয়ে দিলো।আমিতো অবাক….
.
চলবে……
.
.
খালাতো বোন যখন রোমান্টিক বউ পর্ব_০২
