খালাতো বোন যখন রোমান্টিক বউ পর্ব_০৪


.
আমার কথা শুনে রিয়া আর বসে
থাকতে পারলো না।
সোজা এসে আমার কোলের উপর
বসে চার ঠোঁট এক করে দিলো।
সোফার উপর বসে ছিলাম রিয়া
আমাকে কিস করতে করতে একেবারে
শুইয়ে দিছে।
রিয়ার বান্ধবী গুলো হা করে মুখে হাত
দিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
সবার সামনে রিয়া আমাকে চুমু খাচ্ছে
আমিতো লজ্জায় লাল হয়ে গেছি।
অন্য দিকে দেখছি রিয়ার বান্ধবী গুলো
হাসাহাসি করছে।
.
–এই চল সবাই। এদের এখন রোমাঞ্চ
করার সময় (রিয়ার বান্ধবী)
.
বলে সবাই হাসতে হাসতে বাড়ি থেকে চলে গেলো।
কিন্তু এদিকে রিয়ার ছারার কোনো
নামই নেই।কিছুক্ষন পর ছারলো।
রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলাম
রাগে এখনো চোখ মুখ লাল হয়ে আছে।
আমিতো রিয়ার এইরকম চেহারা দেখে
ভয়ে চুপসে গেছি।রিয়া কান্না করতে করতে বললো
.
–আমাকে কষ্ট দিতে তোর
খুব মজা লাগে তাইনা?
তাহলে এবার দেখ প্রিয়জনেরা
অবহেলা করলে কিরকম কষ্ট
লাগে(রিয়া)
.
রিয়া কান্না করতে করতে
কথাগুলো বলছিলো।
কান্না করতে করতে চোখের
পানি আর মুখের পানি এক
করে ফেলেছে।রিয়ার কান্না
দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
নিজেকে অপরাধি মনে হচ্ছে।
ইচ্ছে করছে ওর হাতটা ধরে
বলি, আর কখনো
তোকে কষ্ট দিবো না।
কিন্তু তার আগেই রিয়া কাদতে
কাততে রুমে চলে গেছে।
আমি আবুলের মতো ওখানেই
দারিয়ে আছি।মেয়েটাকে
অনেক কষ্ট দিছি,একবার
সরি বলা দরকার।
এখন কি তার রুমে যাবো
সরি বলতে?? না থাক রিয়া
এখন কাদতেছে এখন যাওয়া
যাবেনা। পরে সরি বলে দিবো।
.
বাড়িতে আর ভালো লাগছিলো
না তাই বন্ধুদের সাথে আড্ডায়
যোগ দিলাম।
.
বিকালে ভাবলাম রিয়াকে সরি
বলার এটাই উপযুক্ত সময়।
তাই দেরি না করে তার
রুমের দিকে গেলাম।দেখলাম
রিয়া শুয়ে শুয়ে বই পড়ছে।
আমাকে রুমে ডুকতে দেখে রিয়া
বিছানা থেকে উঠে ছাদে
চলে গেলো।যে মেয়ে নানা রকম
তাল-বাহানা করে আমার রুমে
আসতো আর আজ আমি নিজেই
তার রুমে এসেছি বলে সে রুম
থেকে বেরিয়ে গেলো কি আজব
তাইনা।
.
আমি রিয়ার পিছু পিছু ছাদে গেলাম।
ছাদে গিয়ে দেখলাম রিয়া ছাদের
এক কোনে দারিয়ে আছে।
আমি রিয়ার পেছনে গিয়ে দারালাম।
আমার উপস্থিতি টের পেয়ে
আমার পাশ কাটিয়ে চলে যেতে
লাগলো।তখনি আমি রিয়ার হাতটা টেনে ধরলাম
.
–রিয়া আর এইরকম করবো
না।আই এম সরি তোমাকে কষ্ট
দেওয়ার জন্য।প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেও
(আমি দারিয়ে আছি।চোখ দিয়ে
পড়তে চাইছে কিন্তু পরছে না।
নিজের মধ্যে অপরাধ বোধ কাজ
করছে।
.
পরের দিন সকালে
–ওই আরমান উঠ,অনেক বেলা হয়েছে
উঠ।কলেজের সময় পার হয়ে যাচ্ছে
উঠ তারাতারি।(আম্মু)
–উঠছি,এত ধাক্কা ধাক্কি করছিস
কেন।দেখতো কয়টা বেজেছে
রিয়া।(আমি)
–ওই আমি রিয়া নই।আমি তোর আম্মু।(আম্মু)
.
আমি ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠলাম
–আম্মু তুমি?রিয়া কই?রিয়াইতো
আমাকে প্রতিদিন ডেকে তুলে
আজকে তুমি আসলে যে?
–রিয়াকে আসতে বললাম
তোকে ডাকার জন্য কিন্ত
রিয়া মুখটা ভার করে আমাকেই
যেতে বললো।হেরে তোর আর রিয়ার মাঝেকি কিছু হইছে?(আম্মু)
.
আমি আম্মুকে এইসব বেপারে
জরাতে চাইছিলাম না,তাই বললাম
–না আম্মু তেমন কিছু না(আমি)
–আচ্ছা তারাতারি ফ্রেস হয়ে নাস্তার টেবিলে আয়(আম্মু)
–আচ্ছা আমি যাচ্ছি, তুমি যাও (আমি)
.
ফ্রেস হয়ে নাস্তার টেবিলে গেলাম।
নাস্তার টেবিলে রিয়াকে দেখছি
না তাই আম্মুকে জিজ্ঞেস করলাম
.
–আম্মু রিয়া কই?(আমি)
–রিয়াতো নাস্তা করে তোর
আগেই কলেজে চলে গেছে (আম্মু)
.
আমি অনেকটা অবাক হলাম।
যে মেয়ে আমাকে ছাড়া কলেজ
যেতো না সে আজকে একাই
চলে গেছে।
নাস্তা শেষ করে কলেজে চলে
আসলাম।কলেজে আমার চোখ জোরা রিয়াকে খুজছে।
হঠাৎ আমার চোখ গেলো বকুল
তলায়।

আমি যা দেখছি তাতে আমি
হা করে তাকিয়ে আছি।
রিয়া একটা ছেলের সাথে গা ঘেঁষা
ঘেঁষি করে বসে আছে আর হেসে
হেসে কথা বলছে।আমি নিজের
চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না।
যে মেয়ে আমি ছাড়া অন্য কোনো
ছেলেকে সহ্য করতে পারতো না
আজ সে গা ঘেঁষা ঘেঁষি করে
কথা বলছে।আমি দুই হাত
দিয়ে দুটো চোখ ভালোভাবে ডলা
দিলাম তবুও সামনে থাকা দৃশ্য
পাল্টালো না তার মানে আমি
এতক্ষণ থেকে যা দেখছি সবই ঠিক।
আর দারিয়ে থাকতে পারলাম
না। দৌড়ে গেলাম রিয়া আর
ছেলেটার সামনে।আমাকে দেখে
রিয়া আর তার সাথে থাকা ছেলেটা
বিন্দু মাত্র রিয়াক্ট করলো না
আমি ভাবছিলাম আমাকে দেখে
রিয়া চমকে যাবে কিন্তু না সে আগে
যেভাবে ছিলো তার
থেকে আরো বেশি ক্লোজ হলো
এবার আমি বলা শুরু করলাম
.
–রিয়া এসব কি হচ্ছে (আমি)
–কই কি হচ্ছে (রিয়া)
–তুই ওই ছেলেটির সাথে চাপাচাপি
করে বসে আছিস কেনো?(আমি)
–আমার দেহ আমি যার সাথে
ইচ্ছা ঘেঁষা ঘেঁষি করবো তাতে
তোর কি।(রিয়া)
–আমি তোর কেও না?(আমি)
–খালাতো ভাই হইস খালাতো
ভাইর মতো থাকবি নিজের ভাই
হওয়ার চেষ্টা করবি না।এখন
যা এখান থেকে আমাদের প্রেম
করতে সমস্যা হচ্ছে।(রিয়া)
.
আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি।কিছু
বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
আমার মাথা গুরছে নিজের শরির
কে ঠিক রাখতে পারছি না।মনে
হচ্ছে মাথা গুরে পরে যাবো।কেনইবা
মাথা ঘুরবেনা বলেন,নিজের
হবু বউকে
এভাবে অন্য একটা ছেলের
সাথে দেখলে কারবা মাথা ঠিক
থাকবে বলেন।
আর এক মূহুর্ত কলেজে থাকতে
ইচ্ছা করছে না।বাড়ির উদ্দেশ্যে
রওনা দিলাম।পথের মর্ধে একজনের
কাছে সিগারেট ধরানের
জন্য
শালাই চাইলাম কিন্তু বললো
নাই।দিলাম চারটা চর বসিয়ে।
এভাবে হয়তো আগে কাউকে
মারিনি।আমার চর দেখে অন্য
আরেকজন শালাই নিয়ে এসে
সিগারেটে আগুন ধরিয়ে মুখের
মধ্যে দিলো।হয়তো এরা আমাকে
মাস্তান ভাবছে।আমি কি থেকে
কি করছি নিজেও জানিনা।আমি
আউট অফ কন্ট্রোল হয়ে গেছি।
বাড়িতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে এক
পেকেট সিগারেট শেষ। তবুও
কেনো জানি নেসা মিটছে না।
বাড়িতে প্রবেস করতেই মা জিজ্ঞেস
করলো.
–কিরে একটু আগেইতো গেলি
এখন আবার চলে আসলি যে?
শরিল খারাপ করেছে বাবা?
(আম্মু)
–কিছু হয়নাই আম্মু।(আমি)
–কি কিছু হয়নাই?তোকে দেখে
সাভাবিক মনে হচ্ছেনা।বলনা
বাবা কি হয়েছে?ডাক্তার ডাকবো?
(আম্মু)
–বললাম তে কিছু হয়নাই।তুমি
এক্ষনি বাবাকে বাড়িতে আসতে
বল।আমার কিছু কথা বলার
আছে।(আম্মু)
.
আম্মু, আব্বুকে ফোন করলো।
কই গো তেমার ছেলে কেমন
জানি করছে এক্ষনি বাড়িতে
চলে আসো তারাতাড়ি।
আম্মুর
কথা শুনে আব্বু তারাতাড়ি বাড়িতে
চলে আসলো।
.
— কি হয়েছে আরমান তুমি এমন
উত্তেজিত কেনো?(আব্বু)
–আজকে তোমাকে একটা কঠিন
সিদ্ধান্ত নিতে হবে(আব্বু)
–কি সিদ্ধান্ত আরমান?(আবু)
–আমি রিয়াকে আজকেই বিয়ে
করতে চাই(আমি)
–কি বলছিস এসব?তোর মাথা
ঠিক আছে তো?তোর সাথে রিয়ার
বিয়ের কাবিন নামা করা আছে।
আরো এক বছর পর তোদের
বিয়ে আর তুই আজকেই বিয়ে
করতে চাচ্ছিস?(আব্বু)
–হ্যা হয় আজকে বিয়ে হবে নয়তো
কখনো নয়।যদি বিয়ে দিতে চাও
তাহলে আজকেই দিতে হবে।(আমি)
অন্যদিন হলে বাবাকে এইসব
কথা বলতে পারতাম কিন্তু আজকে
কেমন জানি মূখ দিয়ে আপনা
আপনি বের হচ্ছে। হয়তো ভয়ের
কারনে বলছি।রিয়াকে হারানোর ভয়।
–আচ্ছা ঠিক আছে আজকেই
তোদের বিয়ে দিবো। কিন্তু একটা শত্য
আছে

চলবে…….

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *