ইতি- হে অর্থী তোমার মেয়ে?!
আমি- অর্থী আমার মেয়ে মানে অর্থী আমার কুলে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বাপাই বাপাই বলে ডাকতেছে?!আমার ও মায়া লাগতাছে,,এতো সুন্দর একটা কিউট মেয়ে,,,সে কি না আমার মেয়ে আর সে কিনা আমি জানিনা 😉😘!
আমি- আমার মেয়ে মানে?!!
ইতি- তো কি অন্য কারোর মেয়ে নাকি,, তুমি যখন চলে গেছিলা তখন আমি কান্না করে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলি,, মাথা ঘুরে পরে যাই তখন আব্বু আমাকে ডাঃ কাছে নিয়ে আসে তখন বলে,,আমি নাকি প্রেগন্যান্ট তোমার সন্তান আমার মধ্যে ভেড়ে উঠতেছে তখন জানো আমার কত খুশি লাগতেছিলো,এতো খুশির সময় কষ্ট হয়ছিল যে তোমাকে জানাইতে পারছি না যে আমাদের আশার আলো আসছে তাই তো তোমার ঠিক করা নাম অর্থী রাখছি তোমার বাসার সামনে এসে বসে থাকতাম তোমার জন্য(কান্না করে বল্লো কথা গুলা ইতি)😭
আমি- মামনি এই তো তোমার বাপাই হুম আমি তোমার বাপাই আমি ?!!
অর্থী- তুমি অনেক পচা আমাকে ছেড়ে চলে গেছিলে কেনো,,জানো তোমাকে আমি প্রতি রাতে কত মিস করছি(Bcz থুতলামি কথা not allow)!
আমি- আমি তো আমার মামনিকে অনেক miss করছি,, মামনি আমাকে যে তোমার কাজ থেকে দূরে সরিয়ে দিছে এতোটা বছর আমি তাকে কখনো ক্ষমা করবো না,,তোমার জন্য আবার একটা নতুন মামনি নিয়ে আসবো, চলো উপরে গিয়ে গল্প করবো?!(ওর গালে মুখে চুমু দিয়ে)!
এই বলে উপরে আমার রুমে চলে আসতে লাগলাম তাকিয়ে দেখি ইতির মুখে হাল্কা হাসি বাট থাকবে না হাসি টা কিছুক্ষণের মধ্যে!
আমি তো ভাবছি এটা যে,,, মেয়ের মা’র উপরে আমি যে ভাবে ফিদা হয়েছিলাম,, না জানি আমার মেয়ে বড় হলে কত ছেলে আমার মেয়ের জন্য ফিদা হয়ে থাকে আর লাইন থাকে আল্লাহ জানে!
ওই দিকে!
ইতি- যাক আমার মেয়েকে তো মেনে নিলো এতেই আমি খুশি,, আর মানবে না কেন অর্থী তো ওর মেয়েই এখন বোঝবে কেমন লাগে মেয়েটা পুরা ওর বাবার মতো হয়ছে অনেক দুষ্টু আর ফাজিল,, শুধু আমাকে কষ্ট দিবে আর ঝালাইবে এখন বাবা কে গিয়ে ঝালাও আরমান এখন বোঝবা যে তোমার মেয়ে কত টা ফাজিল,, যাই আমি বরং গিয়ে বাপ মেয়ের খাবারের ব্যবস্তা করি!!
ইতি আরমানের যত পছন্দের খাবার আছে সব গুলা নিজের হাতে রান্না করতে গেছে!
এমনি,
আম্মু- একি মা তুমি এতো কিছু রান্না করতে পারবে দাও আমি তোমাকে সাহায্য করি?!!
ইতি- না আম্মু আপনি গিয়ে বসেন আমি একাই পারবো?!!
আম্মু- তা কি করে হয় তুমি পারবে মা দাও আমাকে?!
ইতি- আম্মু আমি পারবো তো,, আপনি অযথা কষ্ট করতে যাইবেন কেন আমি পারবো?!!
আম্মু- হুম জানি তো পারবে কিন্তু মা আমার বসে থাকতে ভালো লাগছে না দাও আমি করি?!
ইতি- আচ্ছা আম্মু নেন!!
আপু- ওমা তোমরা ২শাশুড়ি বউ কি করছো এই খানে কি কথা বলছো হুম?!
ইতি- এইতো আপু রান্না করতেছি আর কি,, আম্মুকে মানা করতেছি আসতে তারপর নাকি ওনী করবেন?!!
আপু- তা কি রান্না করছো?!
ইতি- এইতো আপনাদের পছন্দের খাবার?!
আপু- বাহ তাইলে অনেক ভালো,, আর তুমার
দুলাভাই ও আসতেছে তোমার হাতের রান্না খাওয়ার জন্য?!
ইতি- তাই নাকি সত্যি?!
আপু- হুম!
ইতি- কখন আসবে দুলাভাই?!
আপু- এইতো আসতেছে, দাড়াও আমি ও তোমাকে সাহায্য করছি?!!
ইতি- আচ্ছা আসেন!
তারপর ইতি ওদের সাথে রান্না করার পাশাপাশি গল্পেতে মেতে পরলো,,আজ ওর মন টা অনেক ভাল ওদের সবাইকে কাছে পেয়ে আর আরমানের আম্মুকে একটু বেশি ভালবাসে কারণ ইতির আম্মু নাই বলে সে নিজের মা কে ওনার মাঝে খুঁজে বেড়াই আর ওনী ও নিজের মেয়ের মতোই ইতি ভালবাসে!
যাইহোক রান্না শেষ করে ইতি উপরে যাই,,,ওর রুমে গিয়ে দেখে অর্থী আরমানের বুকের উপর ওকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে,,,একদম শান্তশিষ্ট ভাবে, বাবা কে পেয়ে জেনো সব দুষ্টুমি আর ফাজলামি শেষ আরমান অর্থীকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে অর্থীর সাথে দুষ্টুমি করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ছে বলতে পারে না!
ইতি আরমানের পাশে বসে এক নজরে অপলক ভাবে আরমানের দিকে ছেয়ে সে আরমানকে অনেক ভালবাসে শুধু সন্দেহর কারণে এতোটা দূরত্ব,,তাদের মাঝে তার অনেক ইচ্ছা করছে আরমানকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকতে তার কপালে আলতু করে একটা চুমু দিতে,, আর এক পর্যায়ে আরমানের কপালে একটা আলতু করে চুমু 😘দিয়ে দিলো,, আর তার ঠোঁটের ভেজা স্পর্শ পাওয়ার সাথে সাথে আরমানের ঘুম ভেঙে গেলো কারণ সে যে অনেক বছর পর তার প্রিয় মানুষ টার স্পর্শ পেলো ইতি আরমানের চোখের দিকে চেয়ে আছে আরমান ও ইতির চোখের মধ্যে চেয়ে আছে দেখতে পারছে ভালবাসার রং ধনু ওর চোখ গুলাতে,,হঠাৎ তার মাথার মধ্যে চলে আসলো সেই কাহিনী গুলা।
আমি- এই কি তুমি আমাকে কিস করলে কেন?!!
ইতি- একশবার করবো আমার সম্পদ এটা তাই করবো?!😆
আমি- তোমার সম্পদ মানে কিসের সম্পদ আমি কারো সম্পদ বা খেলনার জিনিশ নয় যে যখন ইচ্ছা খেলবে যখন ছুরে ফেলে দিবে আর mind it কিস করার সাহস পেলে কোথায়?!!
ইতি- দেখো যা হয়ছে তার জন্য প্লীজ তুমি আমাকে মাফ করে দাও আমাকে একটা সুযোগ দাও?!
আমি- এতে সুযোগ দেওয়ার কি আছে আমি তোমাকে ভালবাসি না ব্যাস শুধু ঘৃণ্যা আর কিছুই না?!
ইতি- দেখো তুমি এমন করছো কেন কষ্ট কি শুধু তোমার একা হয়ছে আমার হয়নাই এই বছর গুলা জানো আমার কত কষ্টোতে কাটছে আর আমি তোমাকে কত জায়গা খুজছি?!
আমি- অযোগ্য মানুষ কে আপনি কেন খুঁজছেন আর আমি আপনাকে বিশ্বাস ও করি না বিন্দু মাত্র ভালবাসি না?!
ইতি- তুমি জানো একটা মেয়ের স্বপ্ন কি যে তার স্বামী তার পাশে থাকবে তার প্রেগন্যান্ট অবস্তাই তার অনেক কেয়ার করবে,,একটা মেয়ের প্রেগন্যান্ট অবস্তাই তার প্রিয় মানুষ টি তার কত টুকু প্রয়জন ছিল তুমি জানো,,সে তখন তার প্রিয় মানুষ টাকে কত টুকু পাশে চাই সারাক্ষণ শুধু তোমার কথা মনে পড়ছে,,তোমাকে পাশে চাইছি আর কান্না করছি(কান্না করে😭)!
আমি- আমি তো ইচ্ছা করে সরে যাই নাই সে নিজে থেকে তার কাজ থেকে আমাকে সরিয়ে দিছে,, তাতে আমার দোষ কোথায় আমি তো চাইতাম যে আমার বউয়ের এই অবস্তায় তাকে আমি নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াবো,,,তার কেয়ার করবো অনেক কারণ তার কুলে বেড়ে উঠছে আমার সন্তান কিন্তু সে তা না করে উলটা আমার মেয়ের কাজ থেকে দূরে সরিয়ে দিছে,, আমার মেয়েকে তার বাবার ভালবাসা থেকে এতোদিন বঞ্চিত রাখছে তাকে তো আমি কোনো দিন ও ক্ষমা করবোনা😏!
এই বলে আমি সোজা রুম থেকে বাহির হয়ে গেলাম আর ইতি বসে বসে কান্না করতে লাগলো!
বাহিরে গিয়ে অনেক পুরানো বন্ধু বান্ধুবের সাথে কথা বলে ওদের সাথে আড্ডা দিয়ে রাতে বাসাতে ফিরলাম!
আম্মু- কিরে সারাদিন কোথায় ছিলি?!
আমি- এইতো ফ্রেন্ডের সাথে!
তখনি,
অর্থী- বাপা তুমি আমাকে রেখে কোথায় চলে গেছিলে তুমি অনেক পচা,তোমাকে কত জায়গাতে খুজতেছি?!(ইতির কুল থেকে আমার কুলে এসে)!
আমি- এইতো তোমার জন্য চকলেট নিয়ে আসতে গেছিলাম নাও অনেক চকলেট আর এই গোলাপ ফুল টা আমার মামনির মাথাই বেধে দিলাম( একটা গোলাপ নিয়ে আসলাম ফুল টা দেখে ইতির মুখে অনেক হাসি)!
দুলাভাই- বাহ দুই বাপ মেয়ের কি কথা হচ্ছে হুম মেয়েতো মাশাল্লা পুরা বাপের মতো হয়ছে?!!
আমি- হুম মেয়ে টা কার দেখতে হবে আমার মেয়ে বলে কথা😅?!!
দুলাভাই- হুম তা দেখতে পাচ্ছি!😂
আমি- তা আপনি কখন আসলেন?!
দুলাভাই- এইতো একটু আগে!
আমি- আচ্ছা!
আপু- তোমরা সবাই বসে পরো খাবার দিচ্ছি?!
তারপর সবাই বসলাম অর্থীকে আমার কুলের মধ্যে বসিয়ে ওকে খাইয়ে দিতে লাগলাম!
ইতি- তুমি খাও ওকে আমার কুলে দাও আমি খাইয়ে দিতেছি?!
আমি- না থাক?!!
আপু- হুম ভাই ইতির কুলে দেনা ওকে ইতি খাইয়ে দেখ তুই খেয়ে ফেল আজ ইতি তোর জন্য সব কিছু অনেক কষ্ট করে রান্না করছে?!
আমি আর কোনো কথা বল্লাম অর্থীকে খাওয়াইতে লাগলাম তারপর ওকে খাইয়ে কুলে নিয়ে উঠে রুমে চলে যাইতে লাগলাম!
আম্মু- এই কি তুই খাইবিনা?!
আমি- না?!
আপু- কেন?!খাবিনা মেয়েটা তোর জন্য এতো কষ্ট করে রান্না করছে?!!
আমি-এমনি খাবোনা বাহির থেকে আমি খেয়ে আসছি?!
ইতি- প্লীজ তুমি আমার উপর রাগ করে খাবার না খেয়ে যেয়োনা প্লীজ খেয়ে নাও(আমার হাত ধরে)!
আমি- বল্লাম তো খাবোনা আর আমি কারোর উপর রাগ করি নাই খেয়ে আসছি তাই খিদা নেই খাবোনা?!(রাগে)!
ওই দিকে ইতির মুখ মলিন আর কালো দেখে আম্মু আর আপু বলতে লাগলো -চিন্তা করিস না মা সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে?!
ইতি- হুম!
এই বলে আমি উপরে চলে আসলাম এসে শুয়ে অর্থীর সাথে গল্প করতে লাগলাম কিছুক্ষণ পর ইতি ও রুমে আসলো!
আমি- মামনি তোমার নতুন আম্মু চাই?!
অর্থী- হুম,!
আমি- আচ্ছা তাইলে এখন ঘুমিয়ে পড়ো কিছুদিনের ভিতর নতুন আম্মু নিয়ে আসবো😅( ইতি দেখে)!
অর্থী- সত্যি বাপাই?!
আমি- হুম এখন ঘুমাও তাইলে এখন!
ইতি দরজা বন্ধ করতেছে!!
আমি- এই কি দরজা বন্ধ করছো কেন?!!
ইতি- দরজা খুলে ঘুমাবা নাকি?!
আমি- তুমি এই খানে আসছো কেন?!
ইতি- তাইলে আমি কয় থাকবো?!!
আমি- কি জানি কোথায় থাকবা?!বাট এই খানে থাকতে পারবানা?!
ইতি- দেখো প্লীজ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও তোমার অবহেলা ইগনোর গুলা আমি নিতে পারছি না,,আর আমি আমার মেয়েকে ছাড়া থাকতে পারবোনা(মাটিতে বসে পা ধরে কান্না করছে)!!
আমি- কয় আমি তো কাওকে ইগনোর করছি আর আমার ইগনোর করাতে কার কি যাই আসে?!
ইতি- সত্যি আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি ৫টা বছর অনেক কষ্ট পাইছি আর কষ্ট দিওনা আমাকে তোমার পাশে থাকতে দাও একটু তোমার মেয়ের আর সেবা করতে দাও?!
আমি- লাগবেনা কারো সেবা,, সেবার জন্য লোক আছে আর আমি তোমাকে ভালবাসি না একটুও,আর কখনো বাসবো না( তোমার প্রতি আমার ভালবাসা যে নিস্তেজ হয়ে গেছে তোমার ইগনোর আর অপমান গুলার জন্য আমি ও যে তোমাকে অনেক ভালবাসতাম মনে মনে কথা গুলা বল্লাম)!
ইতি- আমি আর পারছি না আর পারছিনা(কান্না করে)!
আমি- আস্তে আস্তে হাসে পারে মুরগি পারে তুমি পারবানা কেন?!(জান পাখি)
ইতি-কি বল্লা তুমি?!!
আমি- কিছু না ন্যাকামো কান্না রেখে রুম থেকে বাহির হয়ে যাও?!!😒
ইতি- না আমি আমার মেয়েকে রেখে কোথাও যাইতে পারবোনা প্লীজ তুমি আমাকে আমার মেয়ের কাছে থাকার জন্য শুধু একটু জায়গা দাও(কান্না করে)!😭
তারপর আরমান কি যেনো ভেবে ইতিকে অর্থীর সাথে থাকার জন্য বল্লো!
আমি- ঠিক আছে এসে শুয়ে পরো আমি তো অন্য কারোর মতো এতো স্বার্থপর নয় যে মানা করবো এতো টা?!( ভাব নিয়ে😏😏)!
তারপর আর কোনো কথা না বলে চোখের জল মুছে শুয়ে পরলো!
ইতিই- আমি কি তোমাকে?!!
আমি- ওই চুপ বেশি বক বক করবিনা ভুলেও যদি আমার কাছে আসার চেষ্টা করিস তাইলে আমার থেকে খারাপ আর কেও হবে না?!
ইতি – তুমি আমাকে?!
আমি- বক বক করলে এখন আমি রুম থেকে বাহির হয়ে যাবো বলে দিলাম?!
তারপর ইতি আর কথা না বলে বালিশের নিচে মাথা দিয়ে কান্না করতেছে,, করুক তাতে আমার কি আমার যে কষ্ট হচ্ছে না তা না,,ওর কান্নাতে দেখে আমার কষ্ট হচ্ছে কিন্তু ওই কুত্তী আমার একটা কথা ও রাখে নাই,,আমার কথার কোনো মূল্য দেয় নাই শুধু ইগনোর করছে আমাকে সে তার নিজের মতো করে চলে আর চলছে এখন কান্না করুক আমার মুড ওর উপর এতোটা খারাপ হয়ে আছে যে !
যাইহোক সকালে ফজরের আজানে ঘুম ভাঙলো উঠে দেখি ইতি এখনো ঘুমিয়ে আছে ওর মায়াবতী চেহারা দেখে যে কেও ক্রাশ খাবে যেমন সকাল সকাল আমি খাই,,আর ফিদা হয়ে যাই ওর উপর আর নিজের প্রিয় মানুষ সুন্দর আর স্মার্ট হওয়া লাগে না যোগ্যতা ও লাগেনা সে যেমন ওই হোক আমার কাছে ক্রাশ আর আমার ফিদা হওয়ার কারণ সে আমার জান সে আমার প্রাণ সে আমার ভালবাসা! 😍😍
এমনি,অর্থী আমার গেঞ্জি ধরে টানতেছে!
আমি-এই কি মামনি আমার princes ঘুম থেকে উঠে গেছো?!
অর্থী – হুম মাথা নাড়িয়ে?!
আমি- তুমি শুয়ে থাকো আব্বু ফ্রেশ হয়ে আসছি তারপর এক সাথে বাহিরে যাবো কেমন?!
অর্থী -হুম!
আমি- তোমার আম্মুকে একদম ডিস্টার্ব করবানা ডাক দিবানা আব্বু না আসা পর্যন্ত ওকে?!
অর্থী- হুম!
আমি- এইতো আমার লক্ষী princes!😍
তারপর ফ্রেশ হতে গেলাম সারারাত শুধু মেয়েটা কান্না করছে তাই ওকে এখন ঘুম তুলে বিরক্ত না করাই ভালো চুখমুখ ফুলা দেখাই যাই!
তারপর ফ্রেশ হয়ে অর্থীকে সাথে নিয়ে বাহির হয়ে গেলাম ওকে নিয়ে সকাল সকাল অনেক জায়গাতে ঘুরে বাসাতে ফিরলাম!!
আম্মু- দুই বাপ মেয়ে সকাল সকাল কোথাই যাওয়া হলো?!!
অর্থী – বাবাই আমাকে নিয়ে ঘুরতে গেছিলো আর অনেক চকলেট কিনে দিছে তোমার জন্য কিছু আনি নাই কি মজা?!
আম্মু- ওরে আমার গুলু গুলুরে তোমার সব গুলা চকলেট আমি নিয়ে যাবো?!
অর্থী- না আমি তোমাকে দিবোনা আমার বাবাই আমার জন্য নিয়ে আসছে তোমার বাবাই তোমার জন্য কিছু নিয়ে আসে না 😲?!
আম্মু- না ওটা আমার বাবাই তোমার না?!
অর্থী- না,,বাবাই তুমি শুধু আমার না(কান্না করে)!
আমি- হুম আমি শুধু তোমার বাবাই!
আম্মু- আই নাস্তা খাইবি?!
আমি- না খাবোনা?
আম্মু- আরে আমি নিজের হাতে করছি আই?!
আমি- তাইলে খাইতে পারি?!
তারপর সবাই বসলাম খাইতে আর ইতি ভেড়ে দিতাছে খাবার গুলা খাওয়া শেষ করে আমি উপরে যাইতে লাগলাম,, তখনি আম্মু বলতাছে তুই খাবি না তোর বাপ খাবে আমার বউমার হাতের রান্না এতো স্বাদ আর বলে কিনা খাবে না,,এখন কি খাইলি এই বলে সবাই হাসতেছে ইতিও হাসতেছে,, (এতো বড় চিট আমার ও সময় আসবো বাট খাবার গুলাতো সেই টেস্ট বলতে হবে!)
যাইহোক কিছুক্ষণ পরে নিছে গেলাম!
ইতি- কি গো শুনছো?!
আমি- (মনে মনে বাহ কি গো আহারে)! কি?!(রাগি ভাবে বল্লাম)
ইতি- আমার না কিছু শপিং করার ছিল আর অর্থীর ও কিছু জামা কাপড় লাগবো তুমি আমার সাথে শপিং যাবা?!😊(করুন ভাবে)
আমি- না আমি যেতে পারবোনা?!
ইতি- প্লীজ চলোনা তুমি এমন করছো কেন?!
আমি- বল্লাম যেতে পারবোনা তুমি অন্য কাওকে নিয়ে যাও আমি টাকা দিয়ে দিচ্ছি?!
ইতি- না আমি অন্য কারো সাথে যাবো না আর আমার টাকা লাগবে আমার তোমাকে লাগবে তুমি যাবে ব্যাস,, মেয়ের জন্য শপিং করার জন্য তোমাকে যাওয়া লাগবে?!
আমি- বল্লাম তো আমি যাবো না যত টাকা লাগে নিয়ে যাও,, তোমার কাছে তো টাকাই important ছিল তাই না?!
ইতি- আমার টাকা লাগবো না (এই বলে কান্না করতে করতে দৌড়ে চলে গেলো)!
আম্মু- দিলি তো মেয়েটার মন খারাপ করে যা তুই ওকে নিয়ে শপিং করতে?!
আমি- আমি পারবোনা?!
আপু- তোকে পারতে হবে কেন মেয়েটাকে এই ভাবে কষ্ট দিচ্ছিস,, ভুল তো মানুষ করতেই পারে আর যে ভুল করে তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছে আর ও কিন্তু এক হিসাবে ভুল করে নাই তোর সাহায্য করছে ও এমন না করলে হয়তো আজ তুই প্রতিষ্ঠিত না ও থাকতি আর তোকে পাগলের মতো ভালবাসে?!
আমি- জ্ঞান দেওয়া লাগবোনা আমি জাবো না ওকে?!
আম্মু- আমার মাথাই হাত রেখে বল্লাম আজ তোর যাওয়া লাগবো নয়তো?!
আমি- কি ইমোশনাল ব্ল্যাকম্যাল করছো দূর ভাল লাগে না!
যাইহোক উপরে গেলাম গিয়ে দেখি মহারানী শুয়ে শুয়ে কান্না করতেছে!
আমি- হয়ছে আর ন্যাকামো করা লাগবোনা,, রেডি হয়ে তাড়াতাড়ি নিচে আসো আমি অপেক্ষা করছি?!!
ইতি-সত্যি?!(খুশি হয়ে কান্না রেখে)!
আমি- হুম! আমি দেখে নিবো একটু ও ছাড়বোনা)
দেখো কেমন লাগে টাকা দিয়ে ভালবাসা হয় কিনা যদি টাকা দিয়ে সব হতো তাইলে তুমি এখন কান্না করতে না টাকা নিয়ে শপিং করতে চলে যেতে,,, এখন ভালবাসার মানুষ টার কাজ কেনো লাগে কারণ চলতে গেলে বেছে থাকতে হলে সব লাগে)
যাইহোক ওকে নিয়ে মলে গেলাম কি বলবো বেশি বল্লে আপ্নারা আবার আমার বউটার জন্য পাগল হয়ে যাবেন অসম্ভব মায়াবতী আমার বউ টা!
আমি- তুমি অর্থীকে নিয়ে যাও আমি গাড়ি টা পার্কিং করে আসছি ?!
ইতি- হুম!
তারপর গাড়ি রেখে বাহির হচ্ছি এমুনি রিয়া আমার সামনে এসে হাজির!
আমি- আরে মেডাম আপনি কোথায় থেকে আসলেন?!!
রিয়া- কেমন আছিস হারামি তুই(আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে)!
আমি- হুম ভালো আছি তুই কেমন আছিস?!
রিয়া- হুম ভালো আছি তা কোথায় হারিয়ে গেছিলি?!
আমি- কোথাও না তো?!
রিয়া-তুই কেমন হে,, অন্তত একটার যাওয়ার আগে আমাকে বলতি,,,আমার সাথে একটু ও যোগাযোগ করিস নাই জানোস আমি আর ইতি তোকে কত জায়গাতে খুজেছি তা ইতি কয়?!
আমি- ওর সাথে আর সম্পর্ক রাখবোনা ওকে ডিভোর্সি দিয়ে নতুন বিয়ে করবো কিছুদিনের ভিতর ওর মতো যত্তসব ফালতু মেয়ে জীবনে রেখে জীবনে আর কষ্ট পেতে চাইনা?!😜😎
রিয়া- তোর মাথা ঠিক আছে তুই জানিশ ইতি তোকে কত টুকু ভালবাসে,,তুই যখন চলে গেছিলি ওতো পুরা পাগল হয়ে গেছিলো কোনো রকম ওকে ঠিক করতে পারি নাই সব জায়গাতে তোকে খুঁজে বেড়াইছে তোকে,, ও তোকে সত্যি অনেক ভালবাসে?!!
আমি- হুম বাসে কচু বাসে তাইলে ও আমাকে আর তোকে অপমান করতে পারতোনা সায়ান কে বিয়ে করতে পারতোনা?!
রিয়া- আরে পাগল প্রতি টা মেয়ে এমন করতো,কোনো মেয়ে কখনো তার প্রিয় মানুষ টার ভালবাসার ভাগ কাওকে দিতে চাইনা কোনো স্ত্রী তার স্বামী ভাগ কাওকে দিতে চাইনা,, আর কারো সাথে দেখলে সহ্য হয়না আর ওর জায়গাতে থাকলে আমি ও ঠিক তাই করতাম,,,প্রিয় মানুষ টাকে কারো সাথে দেখলে সবাই এমন টাই করবে আর ইতি ও তাই করছে,,, আর ওতো তোকে ছাড়া বাচতে পারবেনা এটা আমি ওই দিন বোঝলাম?!
আমি- মানে?😱
রিয়া- বিয়ের দিন আমি গেছিলাম ওর কাছে তারপর আমার আর তোর বন্ধুত্বর কথা সব খুলে বল্লাম যে তোর আর আমার মধ্যে সেই রকম কিছু নাই,,,তারপর ও আমার কাজ থেকে অনেকবার ক্ষমা চাইছে ওই বিহেভের জন্য তারপর ও সব কিছু খুলে বল্লো,,যে সায়ান ওর খালাতো ভাই আর সায়ান আর অন্য একটা মেয়ের বিয়ে ছিল ওইদিন সায়ানের সাথে,আর ইতিএটা তোকে রাগানোর জন্য বলছিল কিন্তু তার আগে তুই এমন টা করে ফেললি দোস্ত সত্যি মেয়েটা তোকে অনেক ভালবাসে আর কষ্ট পাইছে ওকে আর কষ্ট দিছ না তোর ভালবাসা দিয়ে ভড়িয়ে দে?!সায়ানের সাথে ওর এটা নাটক ছিল আর কিছু না?!!
আমি- হুম বোঝলাম! দোস্ত!
রিয়া- নে পরিচয় হও আমার স্বামী রিয়ান?!
আমি- ওমা তাই নাকি হায় ভাইয়া কেমন আছো?!আমি আরমান?!
রিয়ান- হুম আমি ভালো আছি তোমার কথা অনেক শুনছি রিয়ার মুখে?!
আমি- তাই?!তা তোরা কোথায় আছিস এখন?!
রিয়া- এইতো বিদেশে ওর পরিবারের সবাই ওই খানে সেই হিসাবে আমরা ওই খানে?!
আমি- আচ্ছা ভালো!
রিয়া-আচ্ছা তাইলে যাই কাজ আছে,তোর বাসাতে ওকে নিয়ে আসবোনে?!
আমি- হুম আসবি কিন্তু?!
রিয়া- হুম অবশ্যয় আসবো আন্টি কে দেখতে মনে চাইতেছে?!
আমি- ওকে!
রিয়া- আচ্ছা বাই?!
আমি- হুম!
তারপর ওর কাছে গেলাম!
ইতি- কি গো এতোক্ষন কোথায় ছিলে?!
আমি- একটা কাজ ছিল?!
ইতি- দেখো এই শাড়ি টা কেমন?! তোমার ভাল লাগে?!
আমি- আমি কিছু জানিনা আমাকে শপিং করতে আসতে বলছো আমি আসছি আর কিছু বলতে পারবোনা তোমার যে টা মন চাই কিনো?!(এই কথাটা শুনে ইতির হাসি মুখ মলিন হয়ে গেলো)!
তারপর অর্থীকে নিয়ে আমি অনেক শপিং করলাম ইতি করলো আমার পছন্দ মতো যাইহোক বাসাতে চলে আসলাম এসে ওদের কে নামিয়ে দিলাম!!
আমি- তোমরা যাও আমার একটা কাজ আছে?!
ইতি- ওকে!
তারপর ও বাসাতে গেলো!
আম্মু- কি তোমরা এসে পড়ছো?!আরমান কোথায়?!
ইতি- জ্বী আম্মু!আপনার ছেলের বুঝি কি কাজ আছে তাই কোথায় জানি গেছে?!
আম্মু- আচ্ছা!
কিছুক্ষণ পর বাসাতে আসলাম এসে রুমে গেলাম গিয়ে দেখি ইতি অর্থীকে ঘুম পাড়াচ্ছে!
আমি- এই নাও এটা সাইন করো?!
ইতি- কি এটা?!
আমি- ডিভোর্স পেপার?!!
ইতি- মানে?!
আমি- মানে সাইন করো আমি তোমাকে ডিভোর্স দিচ্ছি কারণ অর্থীর নতুন মা চাই আমি বিয়ে করতে চাই?!
ইতি- কি বলছো তুমি এই সব আমি করবোনা আমি তোমাকে ছাড়া বাঁঁচবোনা প্লীজ এমন করোনা (কান্না করে😭)
আমি- তাতে আমি কি করবো না বাচলে মরে যাও বাট আমি সাইন করে দিছি তুমি ও করে দিবা পেপার টা রেখে যাচ্ছি আমি বাহির থেকে এসে যাতে দেখি সাইন করা,,,সময় নেই আমার হাতে কোর্টে পেপার জমা দেওয়া লাগবে?!(এই বলে আমি বাহির হয়ে আসলাম আর ইতি বসে কান্না করতে লাগলো!!
তারপর ঘন্টা তিনেক পর বাসাতে ফিরলাম আল্লাহ জানে আমার জান পাখি টার কি অবস্তা এখনি কান্না করে নাকি সাইন করে দিছে আল্লাহ জানে!
তারপর রুমে গেলাম গিয়ে দেখি অর্থী ঘুমিয়ে আছে কি বেপার ইতি কোথায় ওকে দেখছিনা অর্থীর হাতের মধ্যে একটা কাগজ রাখা,, কি এটার মধ্যে ওটা নিয়ে খুলে দেখলাম!
ইতি- তুমি হয়তো আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে,,বাট আমি পারবোনা তোমাকে ছাড়া থাকতে তোমাকে না পেলে আমি মরে যাবো আর তুমি পারলে ইতো সহযে ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দিতে না,,,আমার কথা একটু মনে পড়ে নাই কিন্তু আমি পারবোনা করতে তাই তোমার জিবন থেকে চলে যাচ্ছি কিন্তু ডিভোর্স দিয়ে নয় মরতে হলে তোমার বউ হিসাবে থেকে মরবো,,,এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবো তোমার বউ থেকেই,,,যখন আমাকে ভালবাসো না ভালো থেকো পারলে ক্ষমা করে দিও!অর্থীর যত্ন নিয়ো আমার কলিজাটার?!
আমি তো এটা পড়ে আকাশ থেকে পড়লাম হাই আল্লাহ এই বলে কি এই সব রাগের বশে আবার কোনো কিছু করে ফেলে নিতো,, এটা তো ডিভোর্স পেপার ছিলনা আমাদের ভালবাসার বন্ধনের পেপার ছিল পাগলি অন্তত একটি বার খুলে তো দেখবে কি ছিলো?!!
সারা বাড়ি খুঁজতে লাগলাম কোথাও ওকে খুঁজে পেলাম না ওর ফোন ও বন্ধ কি করি এখন?!
আমি- আম্মু ইতি কয়?!
আম্মু- কি জানি আমি বলতে পারবোনা?!
আমি- আপু ইতি কয়?!! তুই জানিশ?!
আপু- নাতো!
ওকে এখন আমি কোথায় খুঁজবো!
তারপর ওর বাড়িতে গিয়ে খুঁজে পেলাম না ও নাকি ওই খানে যাইনাই ও কোথায় যাবে ওকে আমি পাগলের মতো খুঁজতে লাগলাম কোথাও পেলাম না আমার জন্য এমন টা হয়ছে মেয়েটাকে পেয়ে আবার হারিয়ে ফেললাম নাতো অনেক কান্না পাচ্ছে!😭
হঠাত অর্থীর কথা ও মনে পড়লো বাচ্চা মেয়েটা মা কে আর আমাকে না পেয়ে হয়তো কান্না করছে তারপর বাসাতে গেলাম গিয়ে দেখি অর্থী খেলা করছে আম্মুর সাথে আমি সোজা ছাদের মধ্যে গিয়ে বসে কেঁদে দিলাম আর একটা সিগারেট
খাইতে লাগলাম!
এমনি,
ঠাসসসসসসসসস
ইতি- তুমি সিগারেট খাচ্ছো কেন আগে তো খাইতা না,,,আমি কিন্তু পুড়া ঠোঁটে কিস করবোনা বলে দিলাম?তোমার চোখে পানি কেন?
ঠাসসসসসসসসসসসসসসসসস
ঠাসসসসসসসসসসসসসসসস
আমি- কয় ছিলা সারাদিন তুমি জানো কত জায়গাতে খুচ্ছি তোমাকে যদি তোমার কিছু হয়তো তাইলে আমার কি হতো হুম(জড়িয়ে ধরে ওর দুই গালে হাত দিয়ে)!
ইতি- তোমাকে ছাড়া যে আমি মরে গিয়ে ও থাকতে পারবোনা আর তুমি কি ভাবে করলে এমন টা,,,তুমি তো আমাকে ভালবাসো না (কান্না করে)!
আমি- দূর পাগলি তুমি ওইটা খুলে দেখছিলা দেখলে এমন টা বলতে না আর আমি ও তোমাকে অনেক ভালবাসি তোমাকে ছাড়া যে আমি পারবোনা বাছতে?!
ইতি- মানে?!
তারপর ওকে সব কিছু খুলে বল্লাম এমুনি ওর ঠোট গুলা আমার ঠোঁটের সাথে মিশিয়ে দিলো প্রায় ১০মিনিট পর ছাড়লো আর ছেড়েই লজ্জা পেয়ে দৌড় দিলো!😊
কিছুক্ষণ পর আমি রুমে গিয়ে বসে রইলাম এমুনি,
ইতি আসলো বাহ এটা আমি কাকে দেখছি গোলাপি শাড়ি পরে ইতি আসলো ওকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে শাড়িতে এসেই দরজা বন্ধ করে দিলো!
আমি- বাহ মহারানীকে তো আজ অনেক সুন্দর লাগছে আমি তো চোখ ফিরাতে পারছিনা😍(কোমড়ে ধরে টান দিয়ে আমার কাছে নিয়ে এসে)
ইতি- আমার উপর নজর আছে নাকি স্যার,, আপনার জন্য তো আমি সেই কবে থেকে ফিদা😍!
আমি- সেই কবে থেকে তো আমি ফিদা হয়ে আছি আপনার উপর (ওর ভাঁড়ি নিশ্বাস গুলো আমার মুখের উপর এসে পড়ছে আমার হার্টবিট ৪৮০ভোল্টেজ হয়য়ে যাচ্ছে)!
ইতি-তাই না(দরজাটা ভাল করে বন্ধ করে)!
আমি- এই কি দরজা বন্ধ করছো কেন,,অর্থী কোথায়?!(ওর কাছে গিয়ে)
ইতি- আছে কোনো কথা বলবা না আজ তুমি ( এই বলে বিছানাতে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলো আমাকে)!
আমি-কি করছো?!
ইতি- অর্থীর জন্য ওর টুইন ভাই বোনের ব্যবস্তা করতেছি?!😜
আমি- তাই প্লীজ ছেড়ে দাও আমাকে?!নাদান বাচ্চাকে)
ইতি-চুপ তুই নাদান বাচ্চা তাই না এমুনি ওর কোমড়ের দিকে আমার চোখ গেলো বাহ ওর নাভীর নিছে একটা তীল আছে যা আমার চোখে স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাচ্ছি ওই তিল টা আমার হার্টবীট ক্রমের বেড়ে জাচ্ছে,,,আমার চোখ শুধু ওর নাভীর নিচের তিল টার মধ্যে চেয়ে আছে আমার চোখ গুলা কে শিহরণ ভাবে আকর্ষণ করে রাখছে গিয়ে সোজা ওর তিল টার মধ্যে আলতু
পরশ দিয়ে বসলাম আর এমুনি ও কেপে ঊঠলো ওর সারা শরীর,, ওর ঠোটের সাথে আমার ঠোট গুলা এক সাথে মিশিয়ে দিলাম ওর ঠোট গুলাতে কামড় দিয়ে দিলাম!😊
👉👉👉👉👉👉সমাপ্ত,👈👈👈👈👈👈