মন্ত্রীর ডেঞ্জারাস মেয়ে যখন বউ পর্ব_০৯

আমি- কারো স্বপ্ন আর স্বপ্নঘোর অনুভব স্বপ্নময় অনুভূতি বোঝতে চাই না আমি শুধু এখন একজনের সব কিছু বোঝতে আর জানতে চাই সে হচ্ছে রিয়া!

ইতি -whaaaaaat তুমি এই সব কি বলছো পাগল হয়ে গেছো নাকি?😠

আমি- জ্বী, হুম আমি একদম ঠিক বলছি আর ঠিকি আছি আর আম্মু আপুকে সাথে নিয়ে যাইতেছি(এই বলে উপরে উঠতে লাগলাম এমনি পিছন থেকে আমার হাত টান দিয়ে সোজা ওর একদম কাছে নিয়ে গেলো,,,আমি কিছু বোঝার আগেই ওর দুই ঠোট গুলা আমার ঠোঁটের সাথে মিশিয়ে দিলো,, কিছুতেই ছুটতে পারছিনা চুল গুলা ও এমন ভাবে আঁকড়িয়ে ধরছে,, ওই দিকে তো ক্রমেই আমার হার্টবিট ভেড়ে চলছে এ যেনো এক অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে,, প্রায় ১০মিনিট পর ছাড়লো ও আমায়😘!

আমি তো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম ও এমন টা করবে আমি ভাবতে ও পারি নাই আর একটু হলে তো ধম বন্ধ হয়ে যেতো!

ইতি – ইস ঠোট টা অনেক টা কেটে গেছে,, তাই তুমি ব্যথাই এই সব বলতাছিলা এখন ব্যথা কমছে বাবু😍নাকি আবার দেওয়া লাগবো?!(আমাকে ছেপে ধরে)!

আমি- ওই তোর কি মেন্টালি সমস্যা আছে পাগল কোথাকার,, ছাড় আমাকে আর আমি কোনো ব্যথা পাই নাই আর যে গুলা বল্লাম সব গুলা সত্যি?!

( মনে মনে ইস শখ কত আবার করতে মন চাই তাই না তোমার ঠোট গুলার ১৩যদি না বাজায় তবে আমার আরমান না)!

ইতি- না ছাড়বোনা কোথাও যাইতে দিবোনে না তোমায় তুমি শুধু আমার?!(আরো চেপে ধরে)!

ঠাসসসসসসসসসসসসসসসসস
আমি- নেক্সট টাইম যদি তুই আমাকে জড়িয়ে ধরিস,, তখন থাপ্পড় গুলা তোর গালেতে পড়বে এই আয়না গুলোতে না (রাগে আইনাই ঘুসি দিছি আর ও সাথে সাথে ছেড়ে দিলো😫)!

ইতি- এই কি তোমার হাত তো অনেক টা কেটে গেছে রক্ত পড়তেছে এমন করো কেন তুমি,,, দেখছো কত রক্ত পড়তেছে হাত থেকে (কান্না করতেছে,,ব্যথা করতাছে আমার,,, আর ফুঁফিয়ে আমার হাত ধরে কান্না করছে ওনি একটা কথা মুই বোঝতে পারতেছিনা ব্যথা করছে আমার রক্ত বাহির হচ্ছে আমার তাইলে ওনি কান্না করে কিল্লাই?!)

আমি- তোর ন্যাকামো কান্না অফ কর তুই তো একটা পাক্কা অভিনেত্রী এটা আমি ভালো করে জানি?!

ইতি – তুমি কি বলছো এই সব তোমার হাত থেকে অনেক রক্ত পড়তাছে দেখো তুমি একমিনিট দাড়াও আমি বেন্ডেজ আর মেডিসিন নিয়ে আসতেছে(ওর উড়না ছিঁড়ে আমার হাতে বেধে দিয়ে কান্না করতে করতে দৌড়ে রুমে গেলো গিয়ে খুঁজতে লাগলো বেন্ডেজ আর মেডিসিন গুলা!!

আমি সোজা আম্মু কাছে চলে গেলাম!গিয়ে দেখি আম্মু বসে আছে!!

আমি- আম্মু আপু কোথায়?!

আম্মু- ওতো অফিসে গেছে ওর নাকি জব টা হয়ছে?!

আমি- ও আচ্ছা তাইলে চলো এখন বাসাতে চলে যাবো?!

আম্মু- কেন ইতি তো বল্লো কিছুদিন থাকার জন্য?!

আমি- হুম, থাকলে তো অনেকদিন আর মানুষের বাসাতে আর কতদিন তা ছাড়া আমাদের বাসা খালি পরে আছে চলো তাড়াতাড়ি?!

আম্মু- আচ্ছা তাইলে ইতির সাথে কথা বলে আসি?!ওকে যাবে কিনা আমাদের সাথে?!

আমি- আমি বলে আসছি ও যাবেনা বল্লো আর কিছুদিন থেকে যাবে,,,তুমি চলো তো?!

আম্মু- তাইলে তোর আপু আর ইতি আসুক ওদের সাথে কথা বলে যাই?!

আমি- আপুকে আমি ফোন করে বলে দিবো আর ইতিকে আমি বলছি তুমি চলো?!

আম্মু- হুম, চল আর তোর হাতে কি হয়ছে এটা?!

আমি- আরে কিছুনা হাল্কা ব্যথা পাইছি ঠিক হয়ে যাবে?!!

আম্মু- তুই কোনো সময় নিজের কেয়ার নিবিনা?!

আমি- আম্মু আসোতো?!

তারপর আম্মুকে নিয়ে বাসাতে চলে আসলাম,,,আম্মু ইতির সাথে কথা বলতে চাইছিলো আমি ম্যানেজ করে ফেললাম ওই টা আর আপুকে ফোন করে বলে দিলাম আমাদের বাসাতে চলে আসতে!

ওই দিকে ইতি সারা বাড়ি খুঁজতে লাগলো কোথাও খুঁজে পেলোনা দারোয়ান ওকে বল্লো যে ওরা চলে গেছে ও কান্না ভেঙে পড়লো ইগো হার্ড করতে গিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে একটু বেশি করে ফেললো আরমানকে!!

ওই দিকে আরমান ক্লান্ত তাই গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো ঘুম ভাঙলো প্রায় রাত ৭টাতে ঘুম থেকে তো উঠে ও অবাক ওর হাতে বেন্ডেজ করা আর অনেক সুন্দর ভাবে!কে করলো এটা আপু নাকি আম্মু যাই গিয়ে জিজ্ঞাসা করি কে করছে তারপর নিচে গেলাম!!

আমি- আম্মু আপু কোথায় দেখতেছিনা?!আর আমার হাতে বেন্ডেজ কে করছে আপু?!

আম্মু- না তো তোর আপু তো মাত্র আসলো?!

আমি- তাইলে কে তুমি করছো?!

আম্মু- আমি কেন করবো?!

আমি- তাইলে কে করলো?!!

আম্মু- কেন করার মানুষ তো আছেই সেই করছে?!

আমি- মানে?!

আম্মু- মানে ইতি করছে?!

আমি- ও তা কখন আসছে ও?!

আম্মু- তুই যখন ঘুমিয়ে ছিলি তখন ওই আসছি আর মেয়েটা রেখে তুই চলে আসলি কাজটা ভালো হয়ছে?!

আমি- তা কোথায় এখন ইতি?!

আম্মু- তোর আপুর রুমে গেছে?!

আমি- ও আচ্ছা!(এই বলে চলে যাচ্ছি)!

আম্মু- কোথায় যাচ্ছিস একেবারে ডিনার করে যা ইতি আর আপু ও আসছে?!

আমি- হুম!

তারপর গিয়ে বসলাম এমনি আপু আর ইতি ও চলে আসলো!

আমি- আপু কেমন কাটলো অফিসে আজ?!

আপু- হুম অনেক ভালো!তাইলে খাওয়া শুরু করি সবাই?!

ইতি- আপ্নারা সবাই খান আপনাদের খাইয়ে তারপর আমি খাবো?!

আম্মু- কেন একদম না তুমি ও বসো টেবিল থেকে সবাই নিজ নিজ ভাবে খেয়ে নিবে?!

ইতি- কিন্তু আম্মু?!

আপু- কোনো কিন্তু নাই বসো আর সবাই এক সাথে বসে খাওয়ার মজাই আলাদা!বসে পরো!?

আমি বাহ মন্ত্রীর মেয়ে বলে কিনা আমাদের খাইয়ে তারপর ওনি খাবান বেপার কি আল্লাহ জানে (মনে মনে বল্লাম)!

তারপর ইতি আমাদের সাথে বসে পড়লো ও আমার সামনের চেয়ারে বসছে খাওয়ার মধ্যে পায়ের মাঝে যে কিছু একটা লড়াছড়া করতাছে ভালো ভাবে বোঝতে পারতেছি ইতি ওর পা গুলা দিয়ে আমার পায়ের মধ্যে খেলা করতেছে আর মিটমিটে হাসতেছে,,
পারতেছি না বলতে এমুনি এমন এক চিমটি দিয়ে বসলো?

আমি- আউউউউউচ্চচ্চচ্চচ্চচ্চ।

আম্মু- কিরে কি হলো?!

আমি- কয় কিছু নাতো?!

আপু- তাইলে চিৎকার করলি কেন?!

আমি- না এমনি?!

আপু- জীবনে ভালো হয়বিনা কিছুদিন পর বাবা হবি এখনো এই অবস্তা?!

ওই দিকে ইতি হাসতেছে মনে হচ্ছে নোবেলজয়ী হয়ছে যত্তসব আমার সময় আসবো তখন বোঝবা!!তারপর খাবার টেবিল থেকে উঠে পরলাম!

আম্মু- এই কি তুই উঠে পরিস কেনো?!

আমি- পেট ভরে গেছে আর খাবোনা?!!

আম্মু- প্লেটের খাবার তো আনামত?!

ওই দিকে ইতির মুখ টা মলিন হয়ে গেছে আমি উঠে পড়লাম দেখে!

আমি- আমার তেমন খিধা নাই তাই?!

তারপর আমি রুমে এসে শুয়ে পড়লাম! এরি মাঝে ইতি রুমে চলে আসলো!

আমি- বাহ মন্ত্রীর মেয়ে কি ভাবে এই ভাঙাচোরা বাড়িতে আসলো?!

ইতি- ওই একদম ভাঙাছোরা বাড়ি বলবানা কত সুন্দর আমার শ্বশুর বাড়ি টা?!

আমি- ও হ্যালো এটা আপনার কোনো শ্বশুর বাড়ি নয় আর এটা হচ্ছে আমার বাড়ি সো আপনি এই ভাঙা বাড়িতে কেন আসছেন চলে যান বলছি?!

ইতি- জীবনেও যাবো না,,, কেন যাবো হুম এটা আমার স্বামীর বাড়ি আমার শ্বশুর তাকে দিয়ে গেছে সো আমার স্বামীর যা কিছু আছে সব কিছু আমার I mean তার পুরো দেহ টা আর আত্বা টা ও শুধু আমার?!☺️

আমি- আপনার স্বামী টাকে?!

ইতি- কে মহারাজ আপনি যানেন না বুঝি আপনি তো আমার সব?!

আমি- আমি কারো কিছু নয় আর কারো স্বামী নয় যে বিয়েটাই একটা মিথ্যা ছিল চিন্তা করবেন না কিছুদিনের ভিতর ডিভোর্স পেপার পেয়ে যাবেন?!

ইতি- নারী নির্যাতন মামলা করবো তোর নামে বেটা আমাকে চিনিশ না,বউ রেখে অন্য চিন্তা?!

আমি- তাই তা এই লুইচ্ছা লুফাংগারে কাছে কি চান আর এই খানে কেন আসলেন লুইচ্ছার কাছে?!!

ইতি- দেখো আমার ভুল হয়ে গেছে আর তুমি আমার কথা টা বুঝো আর একটি বার ভালো ভাবে শুনো?(আমার হাত ধরে)!

আমি- কারো কোনো কথা শুনতে চাই না লুইচ্চা লুফাংগারের কাছে কেন আসলেন হুম যান বাহির হয়ে যান( রেগে ওর হাত গুলা ঝাড়ি দিয়ে ফেলে)!

ইতি- ওই একদম লুইচ্ছা লুফাংগার বলবানা, আমার জান পাখিকে এই কথা বলার অধিকার শুধু আমার আছে,,আর আমার স্বামী কেমন আপনার থেকে জানতে হবে না (আমার কাছে তেড়ে এসে)!

আমি- যা স্বর তোর সাথে কথা বলে অযথা টাইম নষ্ট করতে চাইনা আমি ঘুমাবো?!

তারপর খাটে এসে শুয়ে পড়লাম এমনি ইতি এসে শুয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো?!

আমি- কি হচ্ছে ছাড়েন বল্লাম আমি ঘুমাবো এখন?!

ইতি- আমি তো ঘুমাবো তোমাকে জড়িয়ে তোমাকে না জড়িয়ে ধরলে আমার ঘুম আসবে না?!!

আমি- দেখেন মেয়ে মানুষদের উপর এতো সহযে হাত তুলি না আমি,,সো বাধ্য করবেন না আবার?!

ইতি- ওই আমাকে তুমি আপনি করে বলতাছো কেন তুমি করে বলো মানুষে শুনলে কি ভাব্বে বলোতো?!আর এতো কথা বলোনা আমার ও খুব ঘুম পাচ্ছে ঘুমিয়ে পড়ো?!

আমি- ওই তুই ছাড়বি আর বিছানা থেকে নাম বলছি,,,নয়তো দেখবি বেন্ডেজ গুলা খুলে আবার বেশি করে রক্ত বাহির করতেছি?!

ইতি- কি বলছো তুমি এই গুলা এমনিতে অনেক রক্ত গেছে?!

আমি- তাইলে যদি আর রক্ত না যাইতে চাস তাইলে ছাড় আর বিছানা থেকে নেমে চলে যা?!

ইতি- তাইলে আমি কোথায় থাকবো?
আমি- কি জানি চাইলে নিচে থাকতে পারিস বা অন্য রুমে আপু আম্মু সাথে গিয়ে?!

ইতি- প্লীজ আরমান তুমি আমার কথা টা শুনো দেখো সত্যি আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি?!

আমি- আমি তোকে ভালবাসি না তুই যেমন ভাবে নাটক করছিলি,,আমি তোর সাথে ভালবাসার কথা বলে নাটক করতে ছাইছিলাম?!

ইতি- আমি জানি তো তুমি আমাকে কত টুকু ভালবাসো আমার কথা টা তুমি একবার শুনো?!

আমি- তুই নামবি কিনা বল(বেন্ডেজের উপর হাত দিয়ে)!

ইতি- হুম নামতেছি প্লীজ কিছু করোনা?!

আমি- হুম!

তারপর ইতি নেমে গেলো আমি শুয়ে পড়লাম,,আর ইতি কি ভেবে যেনো নিচেতে শুয়ে পড়লো, হয়তো আম্মুর আপুর রুমে গেলে প্রশ্ন করবে তখন কি উত্তর দিবে তাই ভেবে!তারপর আমি ঘুমিয়ে পড়লাম!কিন্তু তেমন ঘুম আসছেনা মাঝ রাতে জেগে উঠলাম নিচের দিকে চেয়ে দেখি
ইতি ঘুঁটিসুটি খুনসুটি ভাবে শুয়ে আছে,, বাচ্চাদের মতো করে ওর যে শীত করছে আমি তা বোঝতেই পারছি ওতো কষ্টো সহ্য
করতে পারবেনা,, পারবেনা এই খানে থাকতে কারণ ওতো কষ্ট করে নায়,,, সব সময় ভালো ভাবে আর ভাল জায়গাতে থাকছে,, তাই ওকে গিয়ে আমি কোলে তুলে আমার এক পাশেতে শুয়ে দিলাম ও বাচ্চাদের মতো ঘুমিয়েই আছে,,পাগলি মেয়ে একটা পুরা যা মন চাই তাই করে নির্যাতন মামলা করবে😊!

তারপর আমি ঘুমিয়ে গেলাম সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ও ঘুমিয়ে আছে,, এখনো আর বাতাশে ওর চুল গুলা মুখের উপর উড়তে লাগলো যা দেখে ঘুম থেকে উঠেই ক্রাশ খাইলাম,, তারপর ওর কপালের চুল গুলো সরিয়ে আলতু ভাবে একটা পরশ দিয়ে চলে আসলাম! আর এসে রেডি হয়ে আমি তাড়াতাড়ি কলেজে চলে আসলাম!!

ওই দিকে ইতি ঘুম থেকে তো উঠে অবাক,

ইতি- বিছানাতে আমি তার মানে সারারাত ওর পাশে ছিলাম হুম জানি তো তুমি আমাকে কত টুকু ভালবাসো মুখে যতই বলোনা কেন ভালোবাসো না আমি জানি কত টুকু বাসো,,, আর এটা তোমার মুখ থেকে বাহির করবোই কিন্তু ওতো আমার কথা শুন্তেছেনে তাইলে কি ভাবে করবো আমাকে বোঝার চেষ্টা ও করছে না,,, যাইহোক আজ ইতির মন টা অনেক ভালো😅!!

তারপর উঠে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে গেল গিয়ে ওর দুই চোখ শুধু আরমানকে খুঁজতে লাগলো!

কিন্তু সব জায়গাতে খুজলো কোথাও পেলোনা।

ইতি- আম্মু আরমান কোথায়?!

আম্মু- ওতো নাস্তা করে সেই সকাল বেলাই কলেজে চলে গেছে কি কাজ আছে বলে?!

ইতি- ও আচ্ছা তাইলে আমি যাওয়ার সময় ওর জন্য খাবার নিয়ে যাবোনে?!!

আম্মু- আচ্ছা!

তারপর ইতি ও রেডি হয়ে কলেজে যাইতে লাগলো গিয়ে আরমান কে খুঁজতে লাগলো তারপর দেখে আরমান বসে আছে আরমানের কাছে যাইতে লাগলো আরমান তা দেখলো যে ইতি এই দিকে আসছে!

অপি- জানিশ রিয়া আমার না একটা পাত্রি চাই?!(ইতিকে শুনিয়ে বলতেছে)!

রিয়া- কেন পাত্র কে?!

আমি- পাত্র আমি নিজেই আর বউয়ের কাজ থেকে বেশি কিছু লাগবেনা এই গুলা থাকলেই হবে যেমন আমাকে অনেক ভালবাসবে,, 😍তারপর আমার কেয়ার করবে আর আমার জন্য ভালো রান্না করবে,, যাতে তার হাতের রান্না ছাড়া আমার খাবার হজমই না হয়,,, আর আমি তাকে নিজ হাতে শাড়ি পড়িয়ে দিবো প্রতিদিন সব সময়,,,আর যদি ভুলেও নিজের হাতে পরে তাইলে হাত ভেঙে ফেলবো নিজে,, যাতে এক মাসের আগে যাতে না ভালো না হয়,, আর নিজের হাতে শাড়ি না পড়তে আর না খাইতে পারে,, আমি তাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিবো শপিং করাইবো তাকে আমার বাসাতে রাজ রানী করে নিবো,,, আর রাজ রানী করে রাখবো কারণ সে তো আর চাকরানী নয় তাইনা আর এই সব গুলার অধিকারী হচ্ছিস তুই,,, তাই তোকে আমি বিয়ে করবো তোকে ভালবাসবো কারণ তোর হাতের রান্না যা টেস্ট আহা😅!

রিয়া- তাই তাইলে কখন করবি?!

আমি- এইতো ডিভোর্স লেটার আসুক তারপর?! 😊

ওই দিকে ইতি রাগে আগুন ঝলতাছে এই কথা গুলা শুনে যেনো কাচা খেয়ে ফেলবে!

ইতি- নাও তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসছি?!

আমি- না খাবোনা রিয়া চলো আমরা ঘুরতে যাবো?!!

রিয়া- হুম চলো?!

ইতি- whaaaaaat এই সব কি হচ্ছে তোমরা কোথাও যাবে না?!!

কে শুনে কার কথা রিক্সা নিয়ে আমি আর রিয়া চলে আসলাম ওই দিকে ইতি পিছন পিছন অনেক দূরে আসছিল আর রাগে ভটভট করছে!

যাইহোক রিয়াকে নিয়ে সারাদিন ঘুরে ওকে বাসাতে দিয়ে আমি বাসাতে চলে আসলাম,, তারপর আমার রুমে গেলাম গিয়ে দেখি শুয়ে আছে আর আমাকে দেখে উঠে পরলো!

ইতি- সারাদিন কোথায় ছিলা?!(রাগে)!

আমি- কেন দেখতে পান নাই ঘুরতে গেছিলাম?!

এমনি ইতি একদম আমার কাছে এসে দেয়ালের সাথে আমাকে চাপিয়ে!

ইতি- তোর অনেক সাহস হয়ে গেছে তাইনা কয় আমাকে তো একদিন ও ঘুরতে নিয়ে যাস নাই বিয়ের পর মানলাম বাজে বিহেভ করছি বাট তুই তো একদিন ও বলিস নাই,যে চলো ইতি ঘুরে আসি,, আর একদিন যদি ওই মেয়ের সাথে দেখি তবে?!

আমি- তবে কি?!(ওর ভাঁড়ি নিশ্বাস গুলা প্রতিটা নিশ্বাস আমার মুখে এসে পড়ছে।

ইতি- লজ্জা করে না বাসাতে বউ রেখে অন্য মেয়ের সাথে ঘুরতে,,আর যদি দেখি তবে হাত পা ভেঙে সারাজীবন বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াইবো আর আমার কাছে সারাজীবনের জন্য রেখে দিবো,, যাতে কোথাও না যাইতে পারো?!

আমি- তাই?!

ইতি- জ্বী হুম, গিয়ে দেখোনা ইতিকে এখনো চিনতে পারো নাই?!

আমি- হুম জানি তো তুমি ভাল অভিনেত্রী?!

ইতি- মানে দেখো তুমি আমার কথা টা শুনো?!

আমি- হুম শুনতাছি দেখো তোমার জন্য দারুণ একটা উপহার স্পেশাল উপহার( আমার আরো কাছে নিয়ে এসে)!

ইতি- কি এটা?!

আমি- আগে ছাড়ো তারপর দেখো?!

ইতি- হুম, কি এটা?!

আমি- কেন দেখতে পাচ্ছোনা বিয়ের invitation কার্ড?!

ইতি- হুম তা তো দেখতে পাচ্ছি কিন্তু কার বিয়ে?!

আমি- কার আবার আমার আর রিয়ার বিয়ের কার্ড তুমি স্পেশালিষ্ট তাই তোমাকেই প্রথম দিলাম তারিখ সময় সব ঠিক করা আছে বিয়েতে আসতে কিন্তু ভুলবে না??

ইতি- কি এই সব তুমি কি বলছো প্লীজ এমন করছো কেন আমার সাথে(কান্না করে)!

আমি- কেমন করলাম!☺️

চলবে…………

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *