.
.
🖤🥀 !!……পর্ব-4……!!🖤🥀
.
.
লেখক: আরফান চৌধুরী ❤🌸
.
যখনি আমার দিকে তেড়ে আসতে যাবে,,
তখনি দরজার সাথে হোচট খেয়ে সুজা আমার উপর,,
আমি সামলে উঠার আগেই নিচে পড়ে গেলাম,,
আমি নিচে ও উপরে,,
কেউ কিছু বলছি না,, একজনের দিকে একজন তাকিয়ে আছি,,, কেমন মানি আমার খুব ভালো লাগছে,,,
__এতক্ষণ ধরে আম্মু দারিয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের কান্ড দেখছে,,আর চোখ গুলো হাঁসের ডিমের মত করে ফেলেছে,,
আমি–আমাকে মেরে ফেলবেন নাকি,উফ এক্কেরে আটার বস্তা,,সরেন আমার উপর থেকে,,
তারপর ও তড়িঘড়ি করে উঠে দাড়িয়ে গেলো,,,,,
মিম–এই কি বল্লা,, আমি আটার বস্তা তাই না,,(চোখ দুটো লাল করে)
আমি–তা নয়ত কী,, আটার বস্তা না পানির বস্তা,,(মজা করে)
আম্মূ–এই তোরা থামবি,, কতদিন পর মেয়েটি এল,,আর তুই ওর সাথে জগরা করতেছিস, মা তোমার কোথাও লাগেনি তো,,
মিম–না আন্টি আমি ঠিক আছি,,
আমি–ইহ আদিক্ষেতা দেখে আর বাঁচি না,,
এই বলে আমি আমার রুমে চলে গেলাম,,
এসে ফ্রেস হয়ে নিচে গেলাম,,,
গিয়ে দেখি ও মায়ের সাথে বসে গল্প করছে,,
আমি গিয়ে ওদের সাথে গল্প করতে লাগলাম,,
এভাবে গল্প করতে করতে ডিনারের টাইম হলে আম্মু খেতে ডাকে,,,,,
__আমি একটা চেয়ার টেনে বসে পরলাম,,
মিম আমার সামনাসামনি বসেছে,,
আম্মু খাবার দিলে খাওয়া শুরু করলাম,,
হঠাৎ পায়ে কিসের যেন স্পস অনুভব করলাম,,
নিচে তাকিয়ে দেখি মিম পা দিয়ে সুরসুরি দিচ্ছে,,,
আমি ওর দিকে তাকিয়ে দেখি ও মিটিমিটি হাসছে,,
আমি আবার খাওয়া শুরু করলাম,,,
খাওয়া শেষ করে যখনি উঠতে যাব তখনি,,,,,
মিম– নাঈম আমাকে একটু বাসায় দিয়ে আসো,,
আম্মু–সে কি মা,, এতদিন পর এলে,,না আজ এইখানে থাক কাল সকালে যেও,,,,
মিম–না আন্টি অন্য একদিন আসব,,আজ আসি,, নাঈম চল,,
আমি–আমি পারব না,,
মিম–কেন,,
আমি–আমার ভয় করতেছে,,এত রাতে বাড়ির বাইরে যেতে,, আমি পারবো না বাবা,,
মিম–তাহলে আমি একলা যাব,,
আম্মু–তুর ভয়ের গুষ্টি কিলায়,,ও মেয়ে মানুষ একা একা যাবে কেমন করে,,(চোখ গরম করে)
আমি তো ভয়ে, না থাক বল্লাম না,, আবার আমার কষ্টে গড়া মান সম্মান এর দাগ পড়বে,
আমি–আমার মত শিশুর দিকে এইভাবে ধমকাচ্ছ কেন, আমি যাচ্ছি তো,
মিম–এইতো গুড বয়,,
আমি–গুড না বেড সেটা পরে জানতে পারবি,, শাকচুন্নী কোথাকার (মনে মনে)
আমি–, চলেন,,
আম্মু–আবার আসবে কিন্তু,,
মিম–হুম এখন আসি তাহলে,,চল (আমাকে উদ্দেশ্য করে)
আমি–হুম,,,,,
__তারপর দুজনে বেরিয়ে গেলাম,,
নির্জন রাস্তায় দুজনে পাশাপাশি হাটতেছি,,কেউ কিছু বলছি না,,
হঠাৎ মিম আমার হাত ধরে ফেলল,,
আমার গায়ে একটা কম্পন দিয়ে উঠল,,আসলে এর আগে কোন মেয়ের হাত ধরিনি তো তাই,,
আমি–এই আপনি আমার হাত ধরলেন কেন,, ছাড়েন বলছি,,
মিম– আমার না খুব ভয় করছে,,এর আগে কোনদিন এত রাতে রাস্তায় নামিনায় তো,,(করুন ভাবে বলল)
আমি–ওকে,,তবে আমার কিন্তু লাগছে,,
মিম –কি লাগছে..?
আমি–সুরসুরি লাগছে,,,
বলার সাথে সাথে ও হেসে দিল,,,
মিম–পাগল ছেলে,,
আমি–হয়ছে এবার চুপ করে হাঁটেন,,
তারপর দুজনে হাত ধরে চুপচাপ হাটতেছি,,
দুজনকে মনে হচ্ছে,, প্রেমিক প্রেমিকা,,,(বাস্তবে কিন্তু খাটি সিংগেল) আমার অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে,, আপনাদের ধরতে ইচ্ছে হচ্ছে বুঝি,,,,,
হাঁটতে ওদের বাসায় এসে গেলাম,,
কলিং বেল বাজানোর কিছুক্ষণ পর ভেডাম দরজা খুলে দিল,,
আমি–মিমকে দিতে এলাম,, আমি এখন যাই,,
মেম–যেতে পারবে তো,,নাহয় এখানে থেকে যাও,,
আমি–না মেম,,পারব ,, আমি তাহলে যাই,,
মেম–আচ্ছা সাবধানে যেও,,,,,
আমি আর কিছু না বলে হাঁটা ধরলাম,, কিছুক্ষণ পর বাসায় চলে আসলাম,,
এসে রুমে গিয়ে শুয়েই ঘুমিয়ে গেলাম,,
সকালে,,,,,
___আম্মুর ডাকে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা শেষ করে স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে গেলাম,,
রাস্তায় হাটতেছি,,,,,
_এমা আবার দেখি কালকের সেই বোরকাওয়ালি,, দাঁড়ায় আছে,,
আমি–হায়,,কারো জন্য অপেক্ষা করছেন বুঝি,,?
নুসরাত–না আপনাকে আসতে দেখে দাড়ায়ছি,, একসাথে যাওয়ার জন্য,,
আমি–ওও তাহলে চলেন,,
দুজনে হাটতেছি,,
আমি–আচ্ছা,, আপনার বাসা কোনটা,,? এলাকায় নতুন আসছেন মনে হয়,,
নুসরাত–হ্যা,,
আমি–আপনার বাসা কোনটা,,?
নুসরাত–তোমার মে, (বলে আটকে গেল এইরে কি বলে ফেলছিলাম,,আরেকটু হলেই তো ধরা খাইলাম,,)
আমি –কি?
নুসরাত–কালকে আপনাকে যেখান থেকে বিদায় দিচ্চিলাম, ওখান থেকে একটু ডানে গীয়ে আবার বামে,,
আমি আর কিছু বললাম না,,নিরবে হাঁটছি,,,
নিরবতা ভেঙ্গে
আমি–আচ্ছা আমরা কি আগাইতে পারি,,
নুসরাত–মানে,,
আমি–মানে,, তুমি করে বলতে পারি,,
নুসরাত–হুম,,,,,
ওর সাথে কথা বলতে বলতে স্কুলে চলে এলাম,,
আমি ওর আগে ক্লাসে চলে গেলাম,,, ক্লাস শেষ হলে,,
আবার দুজনে,, একসাথে বাসার দিকে রওনা দিলাম,,
ওর বাসার সামনে এসে পড়লে ওকে বিদায় দিয়ে আমি ও আমার বাসায় চলে আসলাম,,
কলিং বেল বাজানোর কিছুক্ষণ পর দরজা খুলতেই?
————চলবে নাকি দৌড়াবে————