বোরকাওয়ালি মেয়ে যখন বউ পর্ব-০৫


কলিং বেল বাজানোর কিছুক্ষণ পর দরজ খুলে দিতেই শালা আমার তো পেন্ট নষ্ট হওয়ার অবস্থা,,
আম্মু দেখি হাতে ঝাড়ু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,আর ব্যঙের মতো,, ধুর সাপের মতো ফুঁসছে,,
আমি তো ভয়ে কাবু হয়ে‌‌ গেলাম,, মুয় তো কিছুই হরিনাই,,,
আমি–ওগো আম্মু তুমি এইভাবে খারাই আছেন কিল্লাই,অনুর,
আম্মু–আসেন নবাবের বেটা,, আপনার অপেক্ষা করতেছি,,
আমি–তো হাতে ঝাড়ু কেন,?
আম্মু–সেটা কিছুক্ষণ পর টের পাইবেন,,,আসেন বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবেন নাকি,,
আমি–ওমা এত সম্মান কয় রা
রাকুম,,আজ ঝাড়ু থেরাপি খেতে হবে,,অবস্থা বেশি ভালো না,
আম্মু–কিরে কি ভাবিস,,,
আমি–ভাবতেছি,,তুমি আমাকে আজ যেভাবে সম্মান দিয়ে কথা বলছ,,এত সম্মান আমার শ্রদ্ধা ভাজন ডেডি কে করছ‌ কিনা সন্দেহ,,
আম্মু–কি কি বল্লি,,এই বলে,, আমার কান‌ টেনে ধরে বাসার ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল,,
আম্মু–এইবার বল কোন মেয়ের সাথে এত লুতু পুতু করতেছস,,
এইরে আম্মা কেমনে জানল,,
আমি–কি সব আজে বাজে কইতেছ, তুমার শরীর ঠিক আছে,,?
এই বলে কপালে হাত দিতে যাবো তখনি—–
আম্মু দিল একটা হাঁটু বরাবর,,
আম্মু–বল মেয়েটা কে,,?
আমি–আই কেনে জেন্নুম,,, আমার তো মেয়ে মানুষ দেখলেই কেমন কেমন মানি করে,,
আম্মু–কি করে,,?
আমি-সরম করে,, আমি মেয়েদের থেকে ২ হাত দূরে দূরে থাকি,,আর তুমি বলছ,, আমি নাকি,,ছি আমার কইতেই লজ্জা করতেছে,,
আম্মু–তুর লজ্জার গুষ্টি কিলায়,,বল এসব কতদিন ধরে চলছে,,?
আমি–আচ্ছা আগে বল,,কোন হারামি আমার নামে এত বড় অপবাদ দিচ্ছে,,
আম্মু–সেটা তুর জানতে হবেনা,,ঝাড়ু থেরাপি দিব নাকি,, সত্যি টা বলবি,,
আমি হাজার বললেও বিশ্বাস করবেনা,,যে আম্মুর কানে এই বিষ টা সে ডোজ ভালো করেই দিছে,,
আমি একটা বুদ্ধি করে,,
আরে মিম যে,, কখন এলে,,
আমি এটা বলতেই আম্মু পিছনে ফিরে,,এর ভিতর আমি উদাও,, মানে এক দৌড়ে রুমে,,
আম্মু পিছনে ফিরে কাউকে না দেখে আবার সামনে ফিরতেই দেখে আমি নাই,,
আম্মূ–দূখি আজ তুকে খাবার কে দেয়,,
আমি ঐ দিকে রুমের দরজা বন্ধ করে দিছি,,
যেভাবে খেপেছে মনে হয়না ধরতে পারলে আস্ত রাখবে,,
আম্মু তো মুখে যা আসছে তাই বলছে,,
আমি কানে হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগলাম,,
আর রুম থেকে বের হয়নি,,,,,

ওপপ পেটের ভিতর হাডুডু খেলা চলছে,,,
ঐ দিকে আম্মুর ভয়,, এইদিকে পেটের আর্তনাদ,,
কি করা যায়,,বুকে ১০০ গ্ৰাম সাহস নিয়ে ডাইনিং টেবিলে গেলাম,, দেখি খাবার রাখা আছে,,
আমি গিয়ে থালায় খাবার নিয়ে যখনি মুখে খাবার তুলছি তখনি কে যেন খাবারের থালা টান‌ দিল,,
ওমা এতে দেখি আমার দয়ালু মাম্মি,,
আম্মু–কি নবাব জাদা চুপি চুপি এসে খাওয়া হচ্ছে,,,আজকে আপনার খাবার বন্ধ,,
আমি–ওগ মা,,,আগে খাইতে দাও,, তারপর যা শাস্তি দিও,,
মা–না এটাই তুর শাস্তি,,,
আমি–যাও খাব না,,এই বলে যখন চলে আসতে যাব,,
তখনি,,
আম্মু–আমিও কিন্তু এখনো খাইনি,,,
আমি সাথে সাথে দাঁড়িয়ে গেলাম,,
আমি–কি বলছ,, তুমি এতক্ষণ না খেয়ে বসে আছ কেন,,?

আম্মু–আমার ছেলে যে না খেয়ে আছে,, আমি কেমনে খায়,,

___আমি সাথে সাথে গিয়ে আম্মু কে জড়িয়ে ধরলাম,, দুফোঁটা চোখের জল গড়িয়ে পড়ল আমার অজান্তেই,, আমি তাড়াতাড়ি চোখ মুছে স্বভাবিক হয়ে,,
আমি–তাড়াতাড়ি খেতে বস,, আমি তোমাকে খাইয়ে দিল,,
আম্মু–কিছু না বলে,, খেতে বসল,,
আমি আম্মুকে খাইয়ে দিতে লাগলাম,,আর আম্মু আমাকে,,
(((.. আসলে মায়ের ভালোবাসা এমনি,,যতয় রাগ থাকুক তবুও সন্তান এর প্রতি এক বিন্দু ভালবাসাও কমবে না,,মায়ের ভালোবাসা নিঃস্বার্থ
ভালোবাসা..)))

এইভাবে খাওয়া শেষ করে,,, আম্মু তার আঁচল দিয়ে আমার মুখ মুছে দিল,,
আমি–আহা আজ অনেক তৃপ্তি করে খেলাম,,
আম্মু–হয়েছে যা এবার রুমে গিয়ে ঘুমা,,(কপালে চুমু খেয়ে)
আমি–ওকে মম,,
আমি রুমে এসে চিন্তা করতে লাগলাম,,
কে আম্মু কে এমন একটা মারাত্বক খবর দিল,,
যে হোক তাকে একবার হাতের কাছে পাই,, আচ্ছামত,,পচা পানিতে চুবাব,,
তারপর ঘুমের দেশে পাড়ি জমালাম,,
যখনি ঘুম থেকে উঠি,, তখন ঘরির দিকে তাকাতেই আমি অবাক,,,,

দুঃখিত এই পর্ব টা ছোট করে দেওয়ার জন্য, আজকে বাসায় মেহমান ছিল তাই পর্ব টা ছোট করে লিখলাম কিছু মনে করবেন না,,,,,,,,

লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,,,,,,,

————চলবে নাকি দৌড়াবে————

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *