আজ ফ্রি ছিলাম তাই এই পার্ট দিলাম রোজ 1করে দেই আজ 2 টা আর তোমরা যারা যার আমার গল্প পড়ো কমেন্ট এ বলে যাবে কেমন হচ্ছে তোমাদের সাপট চাই….তোমাদের সাপট পাইলে গল্প লেখার আগ্রহ বারে
….
যখনি ঘুম থেকে উঠি
আমি তো ঘরির দিকে তাকাতেই অবাক,,৪ .৩০ বেজে গেল আর আমি গাঁদার মত ঘুমাচ্ছি,,
ভেড়ামের বাসায় পড়তে যায় ৪টা এখন ৩০ মিনিট লেট,,,
মেডাম যে রাগি,,যানি না কি করে,,
ধুর আজকে কার দেখে ঘুম থেকে উঠেছিলাম কে জানে,,
আমি তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে বই নিয়ে তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেলাম,,
কিছুক্ষণ পর মেডামের বাসার সামনে এসে গেলাম,,
কলিং বাজিয়ে যাচ্ছি,, কিন্তু দরজা খুলার নাম নাই,,
আমার তো ইচ্ছে করছে দরজাটা ভেঙ্গে ফেলি,,
অনেক্ষণ পর দরজা খুলে দিল,,
দেখি মিম দরজা খুলে দিছে,,,আর মুখ টিপে হাসতেছে,,
আমি–কি হল হাসেন কেন,,
আজকে থেরাপি কেমন খেলে চান্দু,,(মিম মনে মনে ভাবছে)
মিম–না কিছূনা এই বলে চলে গেল,,
আমি আর কিছু না বলে ভিতরে চলে গেলাম,,
গিয়ে দেখি শ্রদ্ধেয় শিক্ষিকা বসে আছেন,,
আমি–আসসালা মু আলাইকুম
মেম–ওআলায়কুমুস সালাম,,(রাগে কটমট করতে করতে)
মেম–এতক্ষন দেরি হল কেন,,?
আমি–আসলে,,,
মেম–কি বলবি সুজাসুজি বল,,ধমক দিয়ে,,
আমি–মেম এত ধমক দেন কেন,,বলছি তো,,
আসলে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে,,
মেম–সামনে তুর পরিক্ষা আর তু্র পড়ার প্রতি কোন খেয়াল নেই,,দেখ এখন থেকে সব পাইজলামি বাদ দিয়ে পড়াশোনা কর,,
আমি–মেম আমাকে কি আপনার এরকম মনে হয়,, আর মত ভালা পোয়া,এই এলাহাত আর ন পেবে,,(একটু লজ্জা মাখা কন্ঠে)
মেম–হয়ছে বই বের কর,,
আমি–হুম
বই বের কর বসে আছি,,
মেম–বাড়ির কাজ করছস,,
আমি–হুম এই মাত্র করে এলাম,,
মেম–কয় দেখিতো,,
আমি–সেকি মেম,, এইখানে কেমন করে দেখবেন,,
মেম–মানে,,?
আমি–মানে বাড়ির কাজ,,তো বাড়িতে করে আসছি,,যদি দেখতে চান,,তাহলে আমার সাথে বাড়িতে চলেন,,কাজ ও দেখবেন,,চা নাস্তাও করে আসবেন,,
মেম–এই মিম বেত টা আনত,,,
আমি–মেম বেত দিয়ে কি করবেন,,,
মেম–একটা গাধাকে পিটার জন্য,,
আমি–এইখানে তো কোন গাধা দেখতে পাচ্ছি না,,
মেম–সেটা একটু পর দেখতে পাবি,,,
মিম–এই নাও তুমার বেত,,
মেম ওর হাত থেকে বেত টা নিয়ে,,
মেম–হাত পাত,,
আমি–টাকা দিবেন বুঝি,,না না আমি নিতে পারব না,, আম্মু বলেছে কেউ কিছু দিলে না নিতে,,
_______মেম তো রেগে বুম কোন সময় ফাটবে, আল্লাহ জানেন,,
মেম–তুই হাত পাতবি নাকি,,?
ওই দিকে দেখতেছি মিম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসতেছে,,
আমি–এই মেয়ে তুমি এইখানে কি করছ,,দেখে না,,বড়রা কথা বলতেছে,, বড়দের কথা শুনা ভালো না যে তুমি জান না বুঝি,,,
মিম–কি বল্লি তুই,,তুই বড় হাহা,,
আমি–মেম অকে এইখান থেকে চলে যেতে বলেন,,
মেম–না ও যাবেনা,,তুকে ওর সামনে পিটাবো,,
আমি–
মেম–হাত পাত,,আমাকে যদি চেয়ার থেকে উঠতে হয় তাহলে তুর খবর আছে,,
আমি–ওকে আমি হাত পাতছি,,, কিন্তু ওর সামনে মাইগ্রেন না,, আমার একটা ২কেজি ওজনের সম্মান আছে তো,,
মেম–না এটাই তুর শাস্তি,,,তুর মত বাঁদরের আবার সম্মান,,,,,
আমি একটু দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি দরজা খোলা আছে,,যাক বুদ্ধিটা কাজে লাগায়,,।
আমি–ওকে হাত পাতছি,,,
((আমি মনে মনে একটা ঝাক্কাস প্লেন করছি,,সেটা একটু পর টের পাবেন))
মেম যখনি,,, আমাকে মারতে যাবে ঠিক তখনই মেডাম কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমি আমার হাত সরিয়ে মিমের হাত টেনে জায়গা বরাবর বসায় দিলাম,,
ওমনি আআআআআ
মানে মাইর জায়াগা বরাবর পড়ছে,,
মাইর আমার হাতে পড়ে নাই,,মাইর পড়ছে মিমের হাতে,,,,
মিম আর মেডাম দুজনেই অবাক,,
আমি এইটা করব কখনো ভাবতে পারেনাই,,
মিম হাত ধরে কান্না করে দিল,,
মেম এর হাতে জোর আছে বলতে,,
ওইদিকে মেম তো রাগে ফায়ার,,,
চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে,,
___মেম যখনি চেয়ার থেকে উঠে আমার দিকে তেড়ে আসতে যাবে তখনি,আমি বই খাতা নিয়ে দিলাম দৌড়,,
এক দৌড়ে বাসায়,,
আমি। হাপাচ্ছি,,
আম্মু–কিরে তুই এইভাবে হাপাচ্ছিস কেন,,?
আমি–রাস্তায় কুকুরে তাড়াতাড়ি করছে,,(মিথ্যে বললাম)
মা–তো কিছুক্ষন আগে গেলি,,এত তাড়াতাড়ি চলে এলি যে,,
আমি–এমনি,,এই বলে রুমে চলে গেলাম,,
____রুমে এসে শুয়ে শুয়ে ভাবছি,,ইসস মিমের খুব লেগেছে মনে হয়,,,ওর চোখের পানি দেখে আমার কেমন যেন লাগছে,, আমার জন্য ওকে মাইর টা খেতে হল,, আমি নাহয় মাইর টা খেয়ে নিতাম,,একটু মজা করতে গিয়ে ওকে কষ্ট দিয়ে ফেললাম,,না কাল ওকে সরিয়ে বলে দিব,,,,,,
কিন্তু আমি ওখানে যাব কেমনে,,মেম যেভাবে রেগে আছে,,,মনে হয়না আস্ত রাখবে,,
পরদিন,,,,,
___আমি রাস্তায় সেই কখন থেকে বসে আছি,, কিন্তু বোরকাওয়ালির কোন খবর নেই,,
এইদিকে স্কুলের টাইম হয়ে গেল,,
মনে হয় আজ আর আসবেনা
আমি হতাশ হয়ে স্কুলে চলে এলাম,,
ক্লাস এ বসে আছি আর বারবার দরজার দিকে তাকাচ্ছি,,
রাফি–কিরে এইভাবে ছটপট করস কেন,,
আমি–কিছুনা,,
কিছুক্ষণ পর দেখি মেম ক্লাস এ প্রবেশ করল,,
আমি তো ভয়ে কাঁপতে ছি,,
যদি যানতাম আজ মেম এর ক্লাস আছে,, তাহলে আজ স্কুলে আসতাম না,,,,,,
___আজকে আমার উপর মনে হয় বুলবুল বয়ে যাবে,,আমি ঘুর্নিঝড়ের কথা বলতেছি,,
সবাই একসাথে,,–good morning mam,,
মেম–morning sit down..
সবাই বসে পড়লাম,,
আমি মেম না দেখে মত বসলাম,,
মেম পড়ানো শুরু করল,,
কিন্তু আমার মনোযোগ বোরকাওয়ালির দিকে,,
আমি জানালার দিকে তাকিয়ে আছি
তখনি
মেম–এই নাঈম দাঁড়া,,
যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়,,
আমি কিছু না বলে দাড়িয়ে গেলাম,,
মেডামের চোখে স্পষ্ট রাগের ছাপ বুঝা যাচ্ছে,,
আমি তো ভয়ে কাচুমাচু হয়ে গেছি,,আর মনে মনে দোয়া দরুদ পাঠ করছি,,
মেম–এতক্ষন আমি কি পড়ালাম বল,,
আমি–মাথা নিচু করে আছি,,
মেম—কি হল বল,,হূংকার দিয়ে,,
আমি–সরি মেম,,মাথা নিচু করে
মেম: তুই এইদিকে আই,,
আমি কিছু না বলে সামনে চলে গেলাম,,
__মেম দাড়া আমি আসি,,তুই এইখান থেকে নড়বি না এই বলে মেম চলে গেল,,কিছুক্ষণ পর ফিরে এলে,
আমিতো—
লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,,,,,,,
————চলবে নাকি দৌড়াবে————