মিম ধিরে ধিরে আমার মাথা টা উপরে তুলে ওর মুখের সামনে ধরলো
।
মিমের শ্বাস প্রশ্বাস আমি সম্পর্ন রুপে শুনতে পাইতেছি। মিমের শ্বাস প্রশ্বাস
।
ধিরে ধিরে বেড়ে যাচ্ছে ও আমার মাথা টা ধিরে ধিরে ওর মুখের কাছে
।
নিয়ে যাইতেছে। ও ধিরে ধিরে মাথাটা ওর মুখের কাছে নিয়ে যাইতেছে আর
।
মিম ওর চোখটা ধিরে ধিরে বন্ধ করতেছে। আমি বুঝতে পারলাম মিম
।
আমার নেশায় পাগল হয়ে গেছে তাই আমি ও মিম এর মাথায় হাত দিয়ে
।
ওর মুখটা ধিরে ধিরে আমি ও কাছে টানতেছি।দুজনে যখন। প্রায় দুজনের মুখের কাছাকাছি
।
তখন মিম ওর চোখ দুটো বন্ধ করা অবস্থায় আমার ঠোট এ ওর ঠোট দুটো
।
লাগিয়ে দিলো। আর যখনি ওর ঠোট আমার ঠোট এ পড়লো তখন আমার সারা শরির
।
টা কেমন যেন একটা মোচড় দিয়ে উঠলো। আর এই সময় এ আমি ওর
।
ঠোট দুটো আমার ঠোট দিয়ে আরো জোরে চেপে ধরলাম। মিম ও
।
কেমন যেন পাগল এর মত করে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।আমি ও ওকে খুব
।
জোরে জড়িয়ে ধরলাম কিছুক্ষন এভাবে থাকার পর আমি নিজেই মিম কে ডাক দিলাম
।
আমি: মিম এই মিম
।
মিম: নিশ্চুপ
।
আমি: আরে এই পাগলি
।
মিম; নিশ্চুপ
।
আমি: আরো এই পাগলি ছাড় এখন
।
মিম: উহু
।
আমি: আরে এই পাগলি আমাকে তো চলে যেতে হবে
।
মিম: না গেলে হয় না
।
আমি: আরে আর পাগলাম করো না তো ছাড় এখন
।
মিম আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললো।
।
মিম: ভাল ভেবে যাইয়ো আর পৌছে ফোন করবা
।
আমি; ওকে বাই তুমি চলে যাও এখন
।
মিম: না আগে তুমি যাও তারপর আমি
।
আমি: না আগে তুমি যাও
।
মিম: না আগে তুমি যাও
।
আমি: আচ্ছা ওকে বাই টাটা
।
তারপর আমি এসে গাড়িতে বসলাম। এবং গাড়ি তার আপন গতিতে চলতে লাগলো
।
রাস্তার মাঝ পথে আমার ড্রাইভার বলে উঠলো
।
ড্রাইভার: স্যার উনি কি আপনার বউ
।
আমি: না
।
ড্রাইভার: তাহলে
।
আমি: আমি ওকে ভালবাসি আর ও আমাকে আমার চেয়ে ও বেশি ভালবাসে
।
ড্রাইভার: তাহলে বিয়ে করতেছেন না কেন
।
আমি: করবো তো
।
ড্রাইভার: কখন করবেন
।
আমি: এবার ফিরেই বিয়ে করবো।
।
ড্রাইভারর: স্যার দাওয়াত টা যেন আমি পাই
।
আমি: ওকে মি. পাবেন
।
ড্রাইভার এর সাথে গল্প করতে করতে ক্যান্টরমেন্ট এ চলে এসেছি আমরা
।
তারপর দুজনে গাড়ি থেকে নেমে আসলাম। ড্রাইভার আমাকে আমার
।
রুম দেখিয়ে দিলো আমি আমার রুম এ চলে আসলাম। এসে ফ্রেশ হয়ে
।
শুয়ে ফোন টা হাতে নিয়ে মিম এর নাম্বারে কল দিলাম। রিং হইতে যে দেরি
।
কিন্তু রিসিভ করতে আর দেরি হলো না। আমি বুঝতে পরলাম যে ফোন টা ওর হাতেই ছিলো
।
মিম: ওই কখন পৌছে ছো
।
আমি: এই মাত্র
।
মিম: ফ্রেশ হয়েছো
।
আমি: হুম ফ্রেশ হয়েই তোমাকে ফোন করলাম
।
মিম: ও তাহলে নেমে আগে আমাকে ফোন করো নি। আগে ফ্রেশ হয়েছো
।
আমি: হুম তো কেন
।
মিম: ভালই তো আমার চেয়ে তোমার ফ্রেশ হওয়া টা বেশি দরকার
।
আমি: আরে স্যরি বাবা আর এ রকম ভুল হবে না
।
মিম: থাক লাগবে না তোমার স্যরি
।
আমি: প্লিজ মাপ করো
।
মিম: করতে পারি এক শর্তে
।
আমি: বলো কি শর্ত
।
মিম: আজ সারা রাত আমার সাথে কথা বলতে হবে
।
আমি: সারা রাত
।
মিম: হুম সারা রাত বলতে হবে
।
আমি; তাহলে কি আমরা আজ ঘুমাব না
।
মিম: না
।
আমি: আমার যে কাল সকালে অফিস আছে। আমি না ঘুমালে অফিস করবো কিভাবে
।
মিম: আমি ওসব কিছু জানি না
।
আমি: শাস্তিটা একটু কমানো যায় না
।
মিম: না যায় না
।
আমি: প্লিজ
।
মিম: ওকে রাত ১২ টা পর্য়ন্ত আমার সাথে কথা বলতে হবে।
।
আমি: ওকে বলবো। খাইছো তুমি
।
মিম: না গো তুমি
।
আমি: না। তবে খাওনি কেন
।
মিম: তোমার আগে আমি কখনো খাইছি
।
আমি: না
।
মিম: তাহলে কিভাবে খাই বলো তোমার আগে
।
আমি; ওকে যাও তাহলে খাওয়া করে আসো
।
মিম: ওকে তুমি ও যাও তাহলে
।
আমি: ওকে বাই সোনা
।
মিম: ওকে বাই সোনা উম্মা
।
তারপর আমি ফোন এর লাইনটা কেটে দিয়ে খাইতে গেলাম
।
খাওয়া শেষ করে এসে মিম কে আবার ফোন দিলাম।। ওর সাথে রাত ১২ টা পর্যন্ত
।
কথা বলে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকাল ৭ টায় উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে
।
অফিস এ গেলাম। ওখানে গিয়ে স্যার এর সাথে দেখা করলাম স্যার আমাকে দেখে ডাক দিলো
।
স্যার:মি. মাসুম,, এসেছেন আপনি
।
আমি: জি স্যার
।
স্যার: বসেন
।
আমি: বসতে বসতে বললাম জি স্যার বলেন এত আর্জেন্ট কেন ডাকা হলো আমাকে
।
স্যার; মি. মাসুম, আমাদের এখানে সব চেয়ে বুদ্ধি মান অফিসার আপনি। তাই এই কেছ টাকে আপনাকেই সমাধান করতে হবে
।
আমি: ওকে স্যার আমি এই মামলা টার সমস্ত কাগজ পাতি কি পেতে পারি
।
স্যার ; অবশ্যাই এই যে নিন
।
আমি; থ্যাংকস স্যার
।
স্যার: ওয়েলকাম তবে আমি খুব দূরত্ব মামলা টার সমাধান চাই
।
আমি: ওকে স্যার আমি চেষ্টা করবো
।
স্যার: ওকে
।
তারপর আমি স্যার এর রুম থেকে চলে আসলাম। সেখান থেকে বাহির
।
হয়ে আমি ফোন টা হাতে নিলাম। আর ফোন এর দিকে তাকাতেই তো
।
আমি অবাক কারন মিম আমাকে মাত্র ১৫০ বার কল দিছে। আমি মনে মনে
।
ভাবতেচি আজ আমি শেষ। ও যে কি রেগে আছে সেটাও তো আমি জানি না
।
আর সকালে মনে ও ছিলো না যে মিমকে ফোন দিবো। তাই আর দেরি
।
না করে আমি মিম কে ফোন দিলাম ২ বার রিং হওয়ার পর মিম ফোন রিসিভ করতেই আমি শুনতে পেলাম।
…………………………………চলবে………………………..
.