মামাতো বোন যখন রোমান্টিক বউ পর্ব-১৫



মিম ধিরে ধিরে আমার মাথা টা উপরে তুলে ওর মুখের সামনে ধরলো

মিমের শ্বাস প্রশ্বাস আমি সম্পর্ন রুপে শুনতে পাইতেছি। মিমের শ্বাস প্রশ্বাস

ধিরে ধিরে বেড়ে যাচ্ছে ও আমার মাথা টা ধিরে ধিরে ওর মুখের কাছে

নিয়ে যাইতেছে। ও ধিরে ধিরে মাথাটা ওর মুখের কাছে নিয়ে যাইতেছে আর

মিম ওর চোখটা ধিরে ধিরে বন্ধ করতেছে। আমি বুঝতে পারলাম মিম

আমার নেশায় পাগল হয়ে গেছে তাই আমি ও মিম এর মাথায় হাত দিয়ে

ওর মুখটা ধিরে ধিরে আমি ও কাছে টানতেছি।দুজনে যখন। প্রায় দুজনের মুখের কাছাকাছি

তখন মিম ওর চোখ দুটো বন্ধ করা অবস্থায় আমার ঠোট এ ওর ঠোট দুটো

লাগিয়ে দিলো। আর যখনি ওর ঠোট আমার ঠোট এ পড়লো তখন আমার সারা শরির

টা কেমন যেন একটা মোচড় দিয়ে উঠলো। আর এই সময় এ আমি ওর

ঠোট দুটো আমার ঠোট দিয়ে আরো জোরে চেপে ধরলাম। মিম ও

কেমন যেন পাগল এর মত করে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।আমি ও ওকে খুব

জোরে জড়িয়ে ধরলাম কিছুক্ষন এভাবে থাকার পর আমি নিজেই মিম কে ডাক দিলাম

আমি: মিম এই মিম

মিম: নিশ্চুপ

আমি: আরে এই পাগলি

মিম; নিশ্চুপ

আমি: আরো এই পাগলি ছাড় এখন

মিম: উহু

আমি: আরে এই পাগলি আমাকে তো চলে যেতে হবে

মিম: না গেলে হয় না

আমি: আরে আর পাগলাম করো না তো ছাড় এখন

মিম আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললো।

মিম: ভাল ভেবে যাইয়ো আর পৌছে ফোন করবা

আমি; ওকে বাই তুমি চলে যাও এখন

মিম: না আগে তুমি যাও তারপর আমি

আমি: না আগে তুমি যাও

মিম: না আগে তুমি যাও

আমি: আচ্ছা ওকে বাই টাটা

তারপর আমি এসে গাড়িতে বসলাম। এবং গাড়ি তার আপন গতিতে চলতে লাগলো

রাস্তার মাঝ পথে আমার ড্রাইভার বলে উঠলো

ড্রাইভার: স্যার উনি কি আপনার বউ

আমি: না

ড্রাইভার: তাহলে

আমি: আমি ওকে ভালবাসি আর ও আমাকে আমার চেয়ে ও বেশি ভালবাসে

ড্রাইভার: তাহলে বিয়ে করতেছেন না কেন

আমি: করবো তো

ড্রাইভার: কখন করবেন

আমি: এবার ফিরেই বিয়ে করবো।

ড্রাইভারর: স্যার দাওয়াত টা যেন আমি পাই

আমি: ওকে মি. পাবেন

ড্রাইভার এর সাথে গল্প করতে করতে ক্যান্টরমেন্ট এ চলে এসেছি আমরা

তারপর দুজনে গাড়ি থেকে নেমে আসলাম। ড্রাইভার আমাকে আমার

রুম দেখিয়ে দিলো আমি আমার রুম এ চলে আসলাম। এসে ফ্রেশ হয়ে

শুয়ে ফোন টা হাতে নিয়ে মিম এর নাম্বারে কল দিলাম। রিং হইতে যে দেরি

কিন্তু রিসিভ করতে আর দেরি হলো না। আমি বুঝতে পরলাম যে ফোন টা ওর হাতেই ছিলো

মিম: ওই কখন পৌছে ছো

আমি: এই মাত্র

মিম: ফ্রেশ হয়েছো

আমি: হুম ফ্রেশ হয়েই তোমাকে ফোন করলাম

মিম: ও তাহলে নেমে আগে আমাকে ফোন করো নি। আগে ফ্রেশ হয়েছো

আমি: হুম তো কেন

মিম: ভালই তো আমার চেয়ে তোমার ফ্রেশ হওয়া টা বেশি দরকার

আমি: আরে স্যরি বাবা আর এ রকম ভুল হবে না

মিম: থাক লাগবে না তোমার স্যরি

আমি: প্লিজ মাপ করো

মিম: করতে পারি এক শর্তে

আমি: বলো কি শর্ত

মিম: আজ সারা রাত আমার সাথে কথা বলতে হবে

আমি: সারা রাত

মিম: হুম সারা রাত বলতে হবে

আমি; তাহলে কি আমরা আজ ঘুমাব না

মিম: না

আমি: আমার যে কাল সকালে অফিস আছে। আমি না ঘুমালে অফিস করবো কিভাবে

মিম: আমি ওসব কিছু জানি না

আমি: শাস্তিটা একটু কমানো যায় না

মিম: না যায় না

আমি: প্লিজ

মিম: ওকে রাত ১২ টা পর্য়ন্ত আমার সাথে কথা বলতে হবে।

আমি: ওকে বলবো। খাইছো তুমি

মিম: না গো তুমি

আমি: না। তবে খাওনি কেন

মিম: তোমার আগে আমি কখনো খাইছি

আমি: না

মিম: তাহলে কিভাবে খাই বলো তোমার আগে

আমি; ওকে যাও তাহলে খাওয়া করে আসো

মিম: ওকে তুমি ও যাও তাহলে

আমি: ওকে বাই সোনা

মিম: ওকে বাই সোনা উম্মা

তারপর আমি ফোন এর লাইনটা কেটে দিয়ে খাইতে গেলাম

খাওয়া শেষ করে এসে মিম কে আবার ফোন দিলাম।। ওর সাথে রাত ১২ টা পর্যন্ত

কথা বলে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকাল ৭ টায় উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে

অফিস এ গেলাম। ওখানে গিয়ে স্যার এর সাথে দেখা করলাম স্যার আমাকে দেখে ডাক দিলো

স্যার:মি. মাসুম,, এসেছেন আপনি

আমি: জি স্যার

স্যার: বসেন

আমি: বসতে বসতে বললাম জি স্যার বলেন এত আর্জেন্ট কেন ডাকা হলো আমাকে

স্যার; মি. মাসুম, আমাদের এখানে সব চেয়ে বুদ্ধি মান অফিসার আপনি। তাই এই কেছ টাকে আপনাকেই সমাধান করতে হবে

আমি: ওকে স্যার আমি এই মামলা টার সমস্ত কাগজ পাতি কি পেতে পারি

স্যার ; অবশ্যাই এই যে নিন

আমি; থ্যাংকস স্যার

স্যার: ওয়েলকাম তবে আমি খুব দূরত্ব মামলা টার সমাধান চাই

আমি: ওকে স্যার আমি চেষ্টা করবো

স্যার: ওকে

তারপর আমি স্যার এর রুম থেকে চলে আসলাম। সেখান থেকে বাহির

হয়ে আমি ফোন টা হাতে নিলাম। আর ফোন এর দিকে তাকাতেই তো

আমি অবাক কারন মিম আমাকে মাত্র ১৫০ বার কল দিছে। আমি মনে মনে

ভাবতেচি আজ আমি শেষ। ও যে কি রেগে আছে সেটাও তো আমি জানি না

আর সকালে মনে ও ছিলো না যে মিমকে ফোন দিবো। তাই আর দেরি

না করে আমি মিম কে ফোন দিলাম ২ বার রিং হওয়ার পর মিম ফোন রিসিভ করতেই আমি শুনতে পেলাম।

…………………………………চলবে………………………..
.

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *