মামাতো বোন যখন রোমান্টিক বউ পর্ব-০৬

আমি ধিরে ধিরে সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখলাম মিম আর রাফি মানে মিমের বয়ফ্রেন্ড রাফি

একটা চেয়ারে বসে দুজনের মুখ একদিকে করে, তারা ঠোটোর মধ্যে ঠোট লাগিয়ে কথা বলতেছে।

এই দৃশ্য টা দেখে তো আমি থ হয়ে গেলাম

কারন আমি কখনেই ভাবতে পারি নাই যে মিম এরকম ধরণের কিছু

কাজ করবে! আমি দুর থেকে দাড়িয়ে আমার পকেট থেকে ফোন

টা বের করে ওদের দুজনের কিছু অশ্লিল দৃশ্য ভিটিও করে রাখলাম।

ভিটিও করার সময় আমি লক্ষ করি নাই যে নেহা আমার পিছনে এসে দাড়িয়ে আছে।

আমি পিছনে ঘুরেই দেখি নেহা দাড়িয়ে। তাকে দেখে আমি বললাম

আমি: তু তু তুমি এখানে

নেহা: কেন আসতে পারি না আমি

আমি: পারো কিন্তু আমি এই যায়গায় তুমি কিভাবে জানলে?

নেহা: তোমার দেরি হইতেছে, দেখি আমি জয়াকে ফোন দিয়েছিলাম। সে বললো তুমি এখানে আছো তাই আমি চলে আসলাম

আমি: আচ্ছা চলে আসছো ভালো করছো চলো এখন চলে যাই।

নেহা: কি ভিটিও করলা

আমি: দেখতেই তো পারলা

নেহা: কেন ভিটিও করলা ওসব

আমি: কাজে লাগতে পারে

নেহা:আচ্ছা চলো এখন চলে যাই

বলেই নেহা আমাকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসলো। রাতে খেয়ে দেয়ে

আমি ভাবতেছি মানুষ এত খারাপ হয় কি ভাবে?

যদি মিম কে ওই ছেলেটা বিয়ে না করে তাহলে কি হবে ওর

এসব কিছু ভাবতে ভাবতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ছি যানি না আমি

সকাল বেলা আন্টির ডাকে আমার ঘুম ভাঙ্গলো

ঘুম থেকে উঠে নেহা সহ নাস্তা করে কলেজ এর উদ্যেশে রওনা দিলাম

কলেজ এ এসে দেখে সবাই মিলে বসে গল্প করতেছে । পাশে মিম ও

বসে আছে কিন্তু ওর মনটা কেন যেন খুব খারাপ

তাই আমি মিম কে উদ্যেশ করে বললাম

আমি: জয়া তোমার ফ্রেন্ড মিম এর মন খারাপ কেন

জয়া: সেটা আমি কি জানি। তুমি ওকে প্রশ্ন করো

আমি: ও,তো বড়লোক, আমার সাথে কথা বলবে না। তুমি সেটা জানো না

জয়া: সেটাও ঠিক আছে!

পাশ থেকে হঠাৎ করেই মিম বলে উঠলো

মিম: আমাকে নিয়ে এভাবে কেউ হাসাহাসি করবা না

নেহা: আচ্ছা আপু তোমার কি হয়েছে বলবা

মিম: না কিছু হয় নাই

জয়া: আরে বলো না কি হয়েছে তোমার এত মন খারাপ কেন

মিম: বললাম তো কিছু হয় নাই আমার ( কান্না করতে করতে)

আমি সমস্ত রাগ অভিমান ভুলে মিম কে নিজেই প্রশ্ন করলাম

আমি: মিম বলবা কি না( আমি মিমের মন খারাপ দেখতে পারিনা। কেন যানি আমার খুব কষ্ট হয়)

মিম জয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বললো

মিম: ও আমাকে কালকে ছেড়ে চলে গেছে

জয়া: কে

মিম: রাফি

জয়া: কেন ছেড়ে গেলো তোমাকে।

মিম: কালকে দেখা করার পর আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে আমাকে থাপ্পর দিয়ে চলে গেছে

আমি: এত ভালোবাসা কই গেলো

মিম: নিশ্চুপ

জয়া: আরে চুপ করো না এমনি তেই মেয়েটা কষ্টে আছে

আমি: আচ্ছা চলো তো দেখি কোথায় রাফি

মিম: ওই যে ওই খানে দাড়িয়ে

আমি: আচ্ছা চলো তো

বলেই আমি মিমের হাত ধরে টান দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে রাফির সামনে গিয়ে বললাম

আমি: মি: রাফি ব্যপার টা কি

রাফি: কিসের ব্যাপার জানতে চান আপনি

আমি: মিমের সাথে কি হয়েছে আপনার

রাফি: দেখ ওর সাথে আমার চলে না। বলতে মিলে না ওর সাথে আমার যায় না তাই ওকে আমার সাথে মিশতে মানা করছি

আমি: এতো দিন যেটা ছিলো তাহলে সেটা কি ছিলো

রাফি: তখন ভালো লাগছিলো এখন আর আমাকে ভালো লাগে না তাই এই বিষয় নিয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না

আমি: প্লিজ রাফি মিমের সাথে এত বড় বেইমানি করো না

রাফি: আপনি যাবেন এখান থেকে

আমি: রাফির হাত টা ধরে প্লিজ ও খুব কষ্ট পাবে

রাফি আমার হাত টা ছাড়িয়ে নিয়ে বললো

রাফি: ঠাসস ঠাসস ঠাসস,,, তোকে না বললাম ওর হয়ে দালালি করবি না

মিম: চুপ করো রাফি আর বলতে হবে না অনেক বড় হয়ে গেছো তুমি

আমি: আবার ওর হাতটা ধরে বললাম প্লিজ রাফি বোঝার চেষ্টা করো

আমার হাতটা রাফির হাতে পড়ার সাথে সাথে ও হাতটা ছড়িয়ে নিয়ে আমার গালে জোড় করে একটা থাপ্পর দিতে ধরলো

এমনি মিম রাফির হাতটা ধরে জোড় করে রাফির গালে একটা

থাপ্পর বসিয়ে দিলো আমি মিমের কান্ড দেখে হা হয়ে গেলাম কারন মিমকে

কখনো এরকম রাগ করতে দেখি নাই। মিম ওকে থাপ্পর মারার পড় বললো

মিম: তোর মত ছোট লোক কে ভালোবাসাটাই আমার ভুল হয়েছে। তোর মত শত শত ছেলে আমার পিছনে পড়ে আছে আর তুই কোথায় ফকিন্নির বাচ্ছা

এই কথা বলেই মিম আমার হাতটা ধরে টানতে টানতে নিয়ে আসলো

আমি মনে মনে ভাবতেছি মিম এত সহজেই সব টা মেনে নিলো কিভাবে

এসব ভাবতে ভাবতে আমরা আমাদের ফ্রেন্ড দের কাছে চলে আসলাম

চলে আসতেই সবার সামনে দাড়িয়ে মিম বললো

মিম: চলো আজকে সবাই কে ট্রিট দিবো

সবাই: কি বললি তুই

মিম: ট্রিট দিবো

সবাই: মাথা তোর ঠিক আছে তো

মিম: হুম ঠিক আছে। ও চলে গেছে তাতে কি ওর থেকে ভালো পাবো চলো তো এখন

মিমের কথা শুনে আমরা সবাই হা হয়ে গেলাম এই মেয়ে বলে কি নতুন নাকি পাবে আবার ওর চেয়ে ভালো

আমরা সবাই মিলে হোটেল এ নাস্তা করে সবাই সবার বাসায় চলে আসলাম

আমি আসার সময় আমাকে মিম ডাকছিলো ওদের বাসায় যাওয়ার জন্য কিন্তু নেহা আমাকে যেতে দেই নাই

বাসায় এসে রাতে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়লাম

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আমি বাসার ছাদে গেলাম

আর ছাদে গিয়ে সামনে তাকাতেই তো অবাক হয়ে গেলাম.

চলবে

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *