আমি ধিরে ধিরে সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখলাম মিম আর রাফি মানে মিমের বয়ফ্রেন্ড রাফি
।
একটা চেয়ারে বসে দুজনের মুখ একদিকে করে, তারা ঠোটোর মধ্যে ঠোট লাগিয়ে কথা বলতেছে।
।
এই দৃশ্য টা দেখে তো আমি থ হয়ে গেলাম
।
কারন আমি কখনেই ভাবতে পারি নাই যে মিম এরকম ধরণের কিছু
।
কাজ করবে! আমি দুর থেকে দাড়িয়ে আমার পকেট থেকে ফোন
।
টা বের করে ওদের দুজনের কিছু অশ্লিল দৃশ্য ভিটিও করে রাখলাম।
।
ভিটিও করার সময় আমি লক্ষ করি নাই যে নেহা আমার পিছনে এসে দাড়িয়ে আছে।
।
আমি পিছনে ঘুরেই দেখি নেহা দাড়িয়ে। তাকে দেখে আমি বললাম
।
আমি: তু তু তুমি এখানে
।
নেহা: কেন আসতে পারি না আমি
।
আমি: পারো কিন্তু আমি এই যায়গায় তুমি কিভাবে জানলে?
।
নেহা: তোমার দেরি হইতেছে, দেখি আমি জয়াকে ফোন দিয়েছিলাম। সে বললো তুমি এখানে আছো তাই আমি চলে আসলাম
।
আমি: আচ্ছা চলে আসছো ভালো করছো চলো এখন চলে যাই।
।
নেহা: কি ভিটিও করলা
।
আমি: দেখতেই তো পারলা
।
নেহা: কেন ভিটিও করলা ওসব
।
আমি: কাজে লাগতে পারে
।
নেহা:আচ্ছা চলো এখন চলে যাই
।
বলেই নেহা আমাকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসলো। রাতে খেয়ে দেয়ে
।
আমি ভাবতেছি মানুষ এত খারাপ হয় কি ভাবে?
।
যদি মিম কে ওই ছেলেটা বিয়ে না করে তাহলে কি হবে ওর
।
এসব কিছু ভাবতে ভাবতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ছি যানি না আমি
।
সকাল বেলা আন্টির ডাকে আমার ঘুম ভাঙ্গলো
।
ঘুম থেকে উঠে নেহা সহ নাস্তা করে কলেজ এর উদ্যেশে রওনা দিলাম
।
কলেজ এ এসে দেখে সবাই মিলে বসে গল্প করতেছে । পাশে মিম ও
।
বসে আছে কিন্তু ওর মনটা কেন যেন খুব খারাপ
।
তাই আমি মিম কে উদ্যেশ করে বললাম
।
আমি: জয়া তোমার ফ্রেন্ড মিম এর মন খারাপ কেন
।
জয়া: সেটা আমি কি জানি। তুমি ওকে প্রশ্ন করো
।
আমি: ও,তো বড়লোক, আমার সাথে কথা বলবে না। তুমি সেটা জানো না
।
জয়া: সেটাও ঠিক আছে!
।
পাশ থেকে হঠাৎ করেই মিম বলে উঠলো
।
মিম: আমাকে নিয়ে এভাবে কেউ হাসাহাসি করবা না
।
নেহা: আচ্ছা আপু তোমার কি হয়েছে বলবা
।
মিম: না কিছু হয় নাই
।
জয়া: আরে বলো না কি হয়েছে তোমার এত মন খারাপ কেন
।
মিম: বললাম তো কিছু হয় নাই আমার ( কান্না করতে করতে)
।
আমি সমস্ত রাগ অভিমান ভুলে মিম কে নিজেই প্রশ্ন করলাম
।
আমি: মিম বলবা কি না( আমি মিমের মন খারাপ দেখতে পারিনা। কেন যানি আমার খুব কষ্ট হয়)
।
মিম জয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বললো
।
মিম: ও আমাকে কালকে ছেড়ে চলে গেছে
।
জয়া: কে
।
মিম: রাফি
।
জয়া: কেন ছেড়ে গেলো তোমাকে।
।
মিম: কালকে দেখা করার পর আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে আমাকে থাপ্পর দিয়ে চলে গেছে
।
আমি: এত ভালোবাসা কই গেলো
।
মিম: নিশ্চুপ
।
জয়া: আরে চুপ করো না এমনি তেই মেয়েটা কষ্টে আছে
।
আমি: আচ্ছা চলো তো দেখি কোথায় রাফি
।
মিম: ওই যে ওই খানে দাড়িয়ে
।
আমি: আচ্ছা চলো তো
।
বলেই আমি মিমের হাত ধরে টান দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে রাফির সামনে গিয়ে বললাম
।
আমি: মি: রাফি ব্যপার টা কি
।
রাফি: কিসের ব্যাপার জানতে চান আপনি
।
আমি: মিমের সাথে কি হয়েছে আপনার
।
রাফি: দেখ ওর সাথে আমার চলে না। বলতে মিলে না ওর সাথে আমার যায় না তাই ওকে আমার সাথে মিশতে মানা করছি
।
আমি: এতো দিন যেটা ছিলো তাহলে সেটা কি ছিলো
।
রাফি: তখন ভালো লাগছিলো এখন আর আমাকে ভালো লাগে না তাই এই বিষয় নিয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না
।
আমি: প্লিজ রাফি মিমের সাথে এত বড় বেইমানি করো না
।
রাফি: আপনি যাবেন এখান থেকে
।
আমি: রাফির হাত টা ধরে প্লিজ ও খুব কষ্ট পাবে
।
রাফি আমার হাত টা ছাড়িয়ে নিয়ে বললো
।
রাফি: ঠাসস ঠাসস ঠাসস,,, তোকে না বললাম ওর হয়ে দালালি করবি না
।
মিম: চুপ করো রাফি আর বলতে হবে না অনেক বড় হয়ে গেছো তুমি
।
আমি: আবার ওর হাতটা ধরে বললাম প্লিজ রাফি বোঝার চেষ্টা করো
।
আমার হাতটা রাফির হাতে পড়ার সাথে সাথে ও হাতটা ছড়িয়ে নিয়ে আমার গালে জোড় করে একটা থাপ্পর দিতে ধরলো
।
এমনি মিম রাফির হাতটা ধরে জোড় করে রাফির গালে একটা
।
থাপ্পর বসিয়ে দিলো আমি মিমের কান্ড দেখে হা হয়ে গেলাম কারন মিমকে
।
কখনো এরকম রাগ করতে দেখি নাই। মিম ওকে থাপ্পর মারার পড় বললো
।
মিম: তোর মত ছোট লোক কে ভালোবাসাটাই আমার ভুল হয়েছে। তোর মত শত শত ছেলে আমার পিছনে পড়ে আছে আর তুই কোথায় ফকিন্নির বাচ্ছা
।
এই কথা বলেই মিম আমার হাতটা ধরে টানতে টানতে নিয়ে আসলো
।
আমি মনে মনে ভাবতেছি মিম এত সহজেই সব টা মেনে নিলো কিভাবে
।
এসব ভাবতে ভাবতে আমরা আমাদের ফ্রেন্ড দের কাছে চলে আসলাম
।
চলে আসতেই সবার সামনে দাড়িয়ে মিম বললো
।
মিম: চলো আজকে সবাই কে ট্রিট দিবো
।
সবাই: কি বললি তুই
।
মিম: ট্রিট দিবো
।
সবাই: মাথা তোর ঠিক আছে তো
।
মিম: হুম ঠিক আছে। ও চলে গেছে তাতে কি ওর থেকে ভালো পাবো চলো তো এখন
।
মিমের কথা শুনে আমরা সবাই হা হয়ে গেলাম এই মেয়ে বলে কি নতুন নাকি পাবে আবার ওর চেয়ে ভালো
।
আমরা সবাই মিলে হোটেল এ নাস্তা করে সবাই সবার বাসায় চলে আসলাম
।
আমি আসার সময় আমাকে মিম ডাকছিলো ওদের বাসায় যাওয়ার জন্য কিন্তু নেহা আমাকে যেতে দেই নাই
।
বাসায় এসে রাতে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়লাম
।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আমি বাসার ছাদে গেলাম
।
আর ছাদে গিয়ে সামনে তাকাতেই তো অবাক হয়ে গেলাম.