অফিসের বস যখন রোমান্টিক বউ পর্ব-০২


আমি: এই শ্যাওড়া গাছের পেত্নী
_ভাইরে ভাই এ কথা বলার সাথে সাথে আমার কলার ধরে নিলো আর আমিও রেগে মেয়েটার চুল ধরে নিলাম কারন মেয়েটা আমায় কুত্তার বাচ্ছা বলেছে,,,,,,,
অবশ্য দোষটা আমারই,,,,,,,
আমাদের একে অপরের এমন অবস্থা দেখে পাব্লিক আমাদের দুজনকে ছাড়িয়ে দিলো, তবুও মেয়েটা আমার দিকে কড়া দৃষ্টিতে তাকিয়ে….
মেয়েটা: তোকে আমি ছাড়বো না (প্রচুর রেগে গিয়ে বলল)
আমি: যা যা তোর কাছেই আমি যাবো না, পেত্নিরা অবশ্য কাউকে ধরলে ছাড়ে না,,,,,,,

__এটা বলেই আমি এবার বাইকটার কাছে গেলাম, শালা বাইকের ক্ষতি হয়েছে, ট্যাঙ্কিটা ঘষে গেছে। আব্বু আমায় মেরে তক্তা বানিয়ে দেবে,,,,,,,

আমি এবার ভাবলাম মেয়েটার বড়ো গাড়ি শালি মনে হচ্ছে ধনী ফ্যামিলির মেয়ে। আমি এবার সবার সামনে এসে বললাম……
আমি: দেখুন এখানে পুরোটাই বড়ো গাড়ির দোষ তাই আমার যা ক্ষতি হয়েছে তা আমি ক্ষতিপূরন চাই (অসহায় দৃষ্টিতে বললাম, জানা একটু আশেপাশে লোকেদের মায়া হয়)
মেয়েটা: ক্ষতিপূরন, এই তোর কি ক্ষতি করেছি আমি,,,,,,,

আমি: দেখছেন ভাইয়ারা আপনাদের সামনে কিভাবে আমায় অপমান করা হচ্ছে, নিজে ধাক্কা দিয়ে এখন জিজ্ঞাসা করছে কি ক্ষতি করেছি (পাব্লিকের দিকে তাকিয়ে)

মেয়েটা: কি মিথ্যাবাদী? (মুখে হাত দিয়ে)
আমি: জ্বি এখন তো বলবেনই শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাই না ম্যাম টাকা দেন আমায়,,,,,,,

_এবার পাব্লিক বলতেই মেয়েটা নিরুপায় হয়ে টাকা দিলো,আমি এবার বাইক গ্যারেজে দিয়ে রিক্সায় চড়ে অফিসে গেলাম, একে একে ইন্টার্ভিউ নিচ্ছে। আমারো এবার পালা এলো।
আমি এবার দরজার কাছে গিয়ে মাথা নিচু করে….
আমি: may i coming… (আমি)
আমি এবার মাথা তুলতেই অবাক মাইরালা এতো সেই মেয়ে যে আমার ক্রাশ, যার সাথে আমার রাস্তায় একটু আগে ঝগড়া হয়েছে,,,,,

_ভাগ নাঈম ভাগ নয়তো শালা তোকে কেটে ফেলবে, আমি এবার মুখ ফিরিয়ে পা ফেলতে যাবো….
মেয়েটা: yes coming,,,,,,
বলেই আমার দিকে তাকালো…
মেয়েটা: ভিতরে আসুন।
আমি ভয়ে মাথা ঘুরালাম না।
আমি পিছু পা করেই ম্যামের সামনে গেলাম, শালা এই মেয়ে এখানে কি করে , এই মেয়েই কি এই অফিসের বস নাকি,,,,,,

__সাথে সাথে দেখি কল এলো ম্যামের মানে মেয়েটার, ফোন তুলে…
— জ্বি আব্বু, আমি এসে গেছি। হ্যাঁ আমি তোমার রুমেই আছি। না আর দুজনের বাকি আছে ইন্টার্ভিউ নেওয়া।
এটা বলেই ফোন রেখে দিয়ে…
মেয়েটা: কি ব্যাপার মুখ ওদিকে কেন?

আমি এবার ফাইলটা মুখে রেখে ওর সামনে দাঁড়ালাম…
মেয়েটা: কি এমন করছেন কেন (আবার বলল)
আমি এবার…
আমি: কিছু না ম্যাম আমি আসছি,,,,,

সাথে সাথে মেয়েটা চেয়ার থেকে উঠে….
মেয়েটা: এই আপনার গলাটা আমার খুব চেনা চেনা লাগছে।
এবার আমার দিকে এগিয়ে এসে ফাইলটা কেড়ে নিতেই
মাইরালা,,,,,,,,

মেয়েটা/ম্যাম : তুইইইই,,,,,,
আমি: জ্বি জ্বি জ্বি জ্বি ম্যাম
মেয়েটা/ম্যাম: তোর সাহস তো কম নয় আমার থেকে টাকা নিয়ে আমার অফিসের এসেছিস,,,,,
আমি: সরি অফিসটা আপনার আব্বুর আপনার নয়,,,,,
মেয়েটা/ম্যাম: এইইইইই তুই মানে কি (রেগে রেগে)
আমি: জ্বি জ্বি আমি সত্যবাদী,,,,,

__ভাইরে মেয়েটা রেগে আগুন হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে মুখটা পুরাই লাল হয়ে গেছে। পুরাই মাশাল্লাহ লাগছে। পুরা কিউটের ডিব্বা, উফ কিছু রূপ তোমার, ছুতে চাই না শুধু দেখতে চাই,,,,,
মেয়েটা/ম্যাম: সত্যবাদীর গুষ্টি কিলায়।
আমি হাল্কা হেসে….
আমি: বাই দা রাস্তা আপনার নাম কি মিষ্টি,,,,,,
মেয়েটা/ম্যাম: জ্বি না, আমার নাম রিদি কেন (হালকা রেগে গিয়ে বলল)
আমি: না মানে আপনি এতোটাই অপরূপ মায়াবতী পরির মত দেখতে যে আপনাকে দেখলে কেমন মনে হয় জানটা শান্তি হয়ে আসলো (একটু পাম মেরে বললাম আরকি যাতে একটু দয়া হয়)
সাথে যাথে রিদি হাল্কা হেসে…..
রিদি/ম্যাম: তাই নাকি। বেশ মেয়ে নাম জানার টেকনিক জানেন তো।
আমি: হিহিহি সবই আপনাদের মতো সুন্দরী মেয়েদের কৃপা। সোজাভাবে বললে তো আপনারা বলবেন না তাই আর কি?
রিদি আবার হাল্কা হেসে আবারো রাগী মুড নিয়ে…..
রিদি/ম্যাম: এখনই বেরো তুই এখান থেকে,

_শালা বের যে হয়ে যাবো আব্বু বলেই দিয়েছে আজ যদি না জব না নিয়ে ঢুকতে পারি আমার পেটে ভাত পড়বে না।
আমি সাথে সাথে….
আমি: না ম্যাম আমায় প্লিজ বের করবেন না।
রিদি/ম্যাম: কেন করবো না, তুই কি আমার রিলেটিভ লাগিস নাকি?
আমি ঘাড়ে হাত দিয়ে….
আমি: যদি চান বানিয়ে নিতে পারেন,,,,,
রিদি/ম্যাম: এই তোর সাহস তো কম না,বেরিয়ে যা।

_আমাকে এবার ঘাড় ধাক্কা দিয়ে অফিস রুম থেকে বের দিলো আমি অসহায় হয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে আছি, শালা আজ সকালে যে কার মুখ দেখে উঠেছিলাম, মনে পড়েছে পাশের বাসার ভাবীর, কিন্তু ভাবীর মুখটা অনেক তো সুন্দর তাহলে খারাপ হচ্ছে কেন কাজে বাধা পড়ছে কেন,,,,,

__কি আর করবো ফাইলটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি বাইরে, মনটাও খারাপ হয়ে গেলো। কিছুক্ষন পর দেখি কে যেন একটা লোক আমার দিকে এগিয়ে এসে….
ভদ্র লোক: কি আপনার ইন্টার্ভিউ নেওয়া হয়নি,,,,

—– আমি লোকটার দিকে তাকিয়ে যাহ শালা এটা আবার কে?
আমি: আপনি কে?
ভদ্র লোক: আমার অফিসে এসে আমাকেইঞ জিজ্ঞাসা করছেন আমি কে?
আমি সাথে সাথে….
আমি; সরি সরি স্যার।

_লোকটা অনেকটা গম্ভীর, এবার অফিসে ঢুকে গেলো। আমি বাইরেই দাঁড়িয়ে আছি আবার লোকটা বাইরে বেরিয়ে গেলো। আমি কিছু বলতে যাবো আমায় কোনো কথা না বলতে দিয়েই হাত দিয়ে না করে চলে গেলো,,,,,,

__আমি আবারো অফিসরুমের দিকে উঁকি মারলাম,এবার আমার পরের ক্যান্ডিডেটটা বেরিয়ে আসতেই আমি অফিস রুমে ঢুকে গিয়ে ছলছল নয়নে রিদির দিকে তাকিয়ে….
আমি: আপনি আমার ইন্টার্ভিউ না নিয়ে আমার বের করে দিতে পারলেন (একটু কেঁদে কেঁদে ভাব নিয়ে বললাম)

__অনেক কষ্টে চোখে পানী আনলাম,,,,

রিদি আমার চোখে পানী দেখে আশ্চর্য হয়ে….
রিদি: আপনি কান্না করছেন কেন (অবাক হয়ে)
আমি: কি আর বলবো আপনাকে, আপনি হয়তো জানেন না আমি কতো বড়ো ফ্যাসাসে ফেঁসে আছি। আপনি আমায় জবটা দিলে অনেক খুশি হবো আমি, আর আপনাকেও রাখবো, অনেক হাসাবো আপনাকে,,,,,,
রিদি: আপনি জোকার নাকি?

__শালা এতো বড়ো অপমান,,,,,,

আমি: আমি জোকার নয়, গেলাম আমি,,,,,,
আমি এবার উঠে যেতেই রিদি মুখে পেন রেখে…..
রিদি: আচ্ছা আপনাকে আমি কাজে রাখতে পারি তবে আপনার জন্য কিছু শর্ত আছে।
আমি: জ্বি বলুন আপনার কি শর্ত,,,,,,
রিদি/বস: আমি যা বলবো তাই করতে হবে আপনাকে যদি কোনো এদিক ওদিক করেন তাহলে কিন্তু আমি বের করে দেবো,,,,,,,,
সাথে সাথে মুখ ফস্কে…
আমি: চিন্তা করবেন না বর্ষায় ছাতার মতো আর শীতে কাঁথার মতো আপনার পাশে থাকবো তবে যদি আপনি আমায় আপনার আসিট্যান্ট বানান,,,,,,
রিদি: আচ্ছা, কাল থেকে আপনার জয়েন,,,,,
আমি: কাল থেকে কেন আপনার মতো পরীর সাথে কাজ করতে এখন থেকেই তো মন চাইছে,,,,,

_শালা মেয়েটা মনে হচ্ছে বুঝে গেছে আমি ওকে ভাটাচ্ছি মানে ফ্লাট করছি।
রিদি: এই এই পরী মানে?
আমি: পরী মানে ডাইনীদের রানী।
রিদি: ও হ্যালো পরী মানে আমি জানি ওকে, শুধু শুধু যেটা জানেন না সেটা বলবেন না।
আমি: যাহ বাব্বাহ আপনি তো পরী মানে জিজ্ঞাসা করলেন। জানেন তবুও কেন জিজ্ঞাসা করেন?

রিদি: এই আপনি এতো ঝগড়ুটে কেন (আমার দিকে তাকিয়ে হাল্কা হেসে)
আমি: হিহিহি ঝগড়া করলে যে ভালো বন্ধুত্ব হয়, আর বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা।
রিদি সাথে সাথে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে….
রিদি ভালোবাসা মানে (রেগে রেগে)
আমি: আরে বাবা বন্ধুদের মাঝে যে ভালোবাসার আদানপ্রদান,,,,,,,,

তারপর কি বলল জানতে চাইলে পরের পর্বের জন্য ওয়েট করুন,,,,,,,

————–চলবে না দৌড়াবে————–

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *