অফিসের বস যখন রোমান্টিক বউ পর্ব-১৪


আমি আবারো হেসেহেসে….
আমি- এই তুমি এতো সুন্দর কেন?
রিদি:- কেন ক্ষতি আছে নাকি?
আমি- উহু ক্ষতি নেই তবে ভয় হয় যে
রিদি:- কেন?
আমি- তোমায় যদি লাক্স কোম্পানীর লোকরা ক্যাটরিনা কাইফ ভেবে এড দেওয়ার জন্য তুলে নিয়ে চলে যায় তাহলে কি হবে শুনি?
রিদি:- তাই।

_রিদি আর কিছু বলতে পারছে না, আমি এবার ওর বামহাতটা ধরতেই রিদি আরো লজ্জা পেয়ে গেলো….
রিদি:- এই করছোটা কি?
আমি- কিছু করছিনা শুধু আমার মনের ফিলিংস গুলো তোমার মনে শেয়ার করছি,,,,,,,,

_ভাইরে রিদি তো পুরাই লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।

রিদি আর লজ্জায় না থাকতে পেরে গাড়িতে উঠে পড়লো, ও সিটে বসে আছে আর আমি গেটে হাত দিয়ে ওর দিকে ঝুঁকে….
আমি- কি হলো?
ও মাথা আর তুলছে না, আমি এবার ওর মুখে হাত দিয়ে ওর মুখটা তুলতেই ভাইরে পুরাই গাল গুলো লাল হয়ে গেছে লজ্জায়, আমার দিকে তাকাতে পারছে না।
আমি আবারো…..
আমি- মাঝে মাঝে মনে হয়
রিদি:- কি মনে হয় শুনি?
আমি- চাঁদের পাশে তারা থাকার মতো আমি তোমার পাশে আছি, সত্যিই আমি কতোটা লাকি।
রিদি:- হিহিহি তাই।
আমি- আচ্ছা তোমার হৃদয় কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত খোলা গো?
রিদি:- মানে….
আমি- না মানে হলো কিছু শপিং করতাম কি?
রিদি:- কি কি করতা শুনি?
আমি- অনেক কিছুই তো করতাম আগে বলো ভালোবাসা পাওয়া যাবে।

ভাইরে রিদি পুরাই ইম্প্রেশ, ও এবার ঘাড় নেড়ে….
রিদি:- হুম পাওয়া যাবে।
আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে
আমি- তা ট্যাক্স লাগবে নাকি এতো সুন্দর মহিলার থেকে ভালোবাসা নিতে।
রিদি এবার চোখ রাঙিয়ে……
রিদি:- এইইই চুপ করো না, আর কতো লজ্জা দিবা।
আবারো হেসে ফেললো।
(এই গল্পের মধ্যে ফারিয়া নামের কেউ নাই, এইটা গল্প লেখার সময় ভুলে নামটা উঠে গেছে, ফারিয়া নামের জায়গায় রিদি হবে)
আমি এবার ওর হাসি মুখের দিকে হাতটা মুঠো করে নিয়ে গিয়ে আবারও বুকের বামপাশে ফিরিয়ে আনলাম, ও দেখছে বাট বুঝতে পারছে না ঠিক।
রিদি:- এই কি করলা এটা?
আমি- তোমার হাসিটা আমার বুকের কার্নিশে যত্ন করে তুলে রাখলাম যদি কেউ চুরি করে নেয়।
রিদি:- হাহাহাহাহা তাই।
আমি- জ্বি।

__ভাবছি ওকে প্রোপজটা করেই দেবো।
বাট ভয় লাগছে খুব
তবুও….
আমি- ওই একটু বাইরে বেরিয়ে আসো তো।
রিদি বের হতেই আমি ওর সামনে হাঁটু মুড়ে বসে ওর দিকে হাতটা এগোলাম শালা খুব ভয় লাগছে রে, বুকটা কেমন দূর দূর করছে
আমি চোখ বন্ধ করলাম এবার, রিদি খুশি হয়েছে আমাকে এভাবে দেখে।
ও বলছে…..
রিদি:- কি হলো বলো না কি বলবা, ওই ওই ওই।
আমি ভয়ের চোটে নিজের অজান্তেই…
আমি- বলছি বসের মেয়ে আমার স্যালারি বাড়িয়ে দিলে ভালো হতো।

__এটা বলেই আমি চোখ খুললাম। চোখ খুলতেই দেখি রিদি সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করছে,,,,,,,
রিদি:- কুত্তা হারামী

এটা বলেই গাড়িতে চেপে গেলো। আর গাড়ি থেকে চিৎকার করে…
রিদি: কুত্তার বাচ্ছা ফ্লাট তো বেশ ভালো করেই করতে পারিস, আমি গেলাম।

__হায় হায় রিদিত আমায় একা ফেলে চলে গেলো।
আচ্ছা ভাইয়ারা আপনারাই বলেন আমি কি করবো। ভয় তো সবারই হয় প্রপোজ করার সময়।

_পরেরদিন আমি অফিসে গিয়ে প্রথমে রিদির কেবিনে ঢুকলাম, আমাকে দেখতেই ও আগুন হয়ে গেলো এবং আমার দিকে এগিয়ে এসে……
রিদি:- কি চাই কুত্তা, যা দূর হো আমার চোখের সামনে থেকে, যা বলছি।
আরো বলেই যাচ্ছে,,,,,,,,,

__আমি হঠাৎ করে ওর মুখটা আমার মুখের ঠোঁটের কাছে টেনে এনে ওর ঠোঁট আমার উপর চাপিয়ে দিয়ে ওর ঠোঁড়ে কামড় বসিয়ে দিলাম। রিদি আমার চুলগুলো টেনে ধরে আছে রেগে। ও আমার দুটো পায়ের উপর ওর দুটো পা রাখলো এবার।
আমি ওকে জড়িয়ে নিলাম, তাতে ও আরো রেগে গেলো।
অবশেষে আমি ওকে ছেড়ে দিলাম, ও আমার দিকে তাকিয়ে সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করছে রাগে।
মনে হচ্ছে আমার থাপ্পড় খাওয়ার পালা এসেছেরে।
আমার সামনে এসে হাতটা তুলতেই আমি দুটো গালে হাত দিয়ে….
আমি- সরি প্লিজ মারবে না, আমার লাগবে।
ও দেখি আমার গালে না হাত তুলে ওর ঠোঁটে হাত দিয়ে…..
রিদি:- বেশ মিষ্টি ছিলো তো। আর বলছিলে না স্যালারি বাড়ানো লাগবে বাড়িয়ে দেবো তবে এই মিষ্টি আমায় প্রতিদিন খাওয়াতে হবে।

__ভাইরে আমি এবার নিজেই লজ্জা পেয়ে গেলাম, আমি মেয়েদের মতো ছুটে আমার কেবিনে চলে এলাম। আর নিজেই নিজের আনমনে হাসতে লাগলাম।

_আমি কেবিনে বসে খুব হাসছি,
আমার হাসি শুনে রিদির আব্বু আমার সামনে এসে…
রিদির আব্বু- কি ব্যাপার এতো হাসি কেন? কাজে মন দিয়ে।
এটা রিদির আব্বু বলে আমি বুঝতে পারলাম তাই নিজের অজান্তেই মাথা অ করে খুব হাসতে হাসতে…..
আমি- আরে মশাই কেউ যদি ওমন করে চুমু খায় কার না লজ্জা করবে বলুন,,,,,,,,

এবার রিদির আব্বুর টেবিলে একটা ঘা মার‍তেই আমি মাথা তুললাম। দেখলি যাহহহহ সব চলে গেলো, আমার জবটাও যাবে বলে মনে হচ্ছে।
রিদির আব্বু আমার দিকে রাগী লুক দিয়ে….
রিদির আব্বু- এটা কোনো চুমু খাওয়ার জায়গা নয় এটা হলো কাজের জায়গা,,,,,,

আমি মাথা নিচু করে…..
আমি- আমি কি করলাম, কেউ যদি জোর করে আমায় ওভাবে চুমু খায় তাহলে আমার কি দোষ,,,,,

রিদির আব্বুর এবার আরও রেগে গিয়ে……
রিদির আব্বু- লাস্ট টাইম ওয়ার্নিং দিচ্ছি। আর আমার তেল কোথায়?
আমি- তেল মানে?
রিদির আব্বু- জ্বি জনাব যেটার জন্য আপনি সেদিন আমার থেকে তিন হাজার টাকা নিলেন।
আমি- ওহো, হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ মনে পড়েছে।

আমি রিদির সামনে হাবভাব করছি যেন সত্যিই আমি ভুলে গিয়েছি।
রিদির আব্বু- তো কোথায় আমার তেল?
আমি- জাপানে।
রিদির আব্বু– জাপান থেকে আমার জন্য তেল আসবে। 😱

_ভাইরে রিদির আব্বুর মুখটা পুরাই খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে এসেছে,,,,,,

রিদির আব্বু– জ্বি স্যার, আপনি হলেন এতো ভালো একটা মানুষ তাহলে আপনাকে কিভাবে লোকাল তেল মাখাতে পারি বলুন, তারজন্য আপনার চুল গজানোর তেল জাপান থেকে।
এবার রিদির আব্বু আমার কাঁধ চাপড়াতে চাঁপড়তে….
রিদির আব্বু- ওয়েল ডান, এটাই তো আমি চাই। টাকা পয়সা লাগলে বলো কিন্তু।
আরে শালা এতো মেঘ চাইতে না চাইতেই জল।
আমি- জ্বি জ্বি স্যার টাকা লাগবে তো।
রিদির আব্বু- আচ্ছা। কিছুক্ষন পর আমার অফিসে আসো টাকা নিয়ে যাবে। আর হ্যাঁ নাঈম কাজ যেন হয়।
আমি- আরে স্যার একদম পানীর মতো কাজ হবে, চুল গজাবে না ওর বাপ দাদা সব এসে আপনার মাথায় জুড়ে বসবে। দেখতে হবে তো জাপান থেকে আনাচ্ছি।

ভাইরে রিদির আব্বু দেখছি পামে পুরো ফুলে যাচ্ছে। বুকটা উঁচু করে….
রিদির আব্বু- জ্বি আমি জাপানী তেল চুলে লাগাবো।

_তখনই একটা মেয়ে এমপ্লয়েড আমার কেবিনে আসছিলো আমাদের কথা শুনে দাঁড়িয়ে গেলো।
রিদির আব্বু বুঝলো যে শুনেই ফেলেছে ওই মেয়েটা। তাই মেয়েটাকে ডাকলো…..
রিদির আব্বু- নিলু এদিকে শোনো?

মেয়েটা লজ্জা পেয়ে স্যারের সামনে এসে….
মেয়েটা- জ্বি স্যার বলুন…
রিদির আব্বু- বলছি সবটা যখন শুনেই ফেলেছো কাউকে আবার বলো না আমি জাপানী তেল আনাচ্ছি বলে।

ভাইরে মেয়ে লজ্জা পেয়ে সোজা রুমের বাইরে চলে গেলো।
এটা দেখে রিদির আব্বু….
রিদির আব্বু- নাঈম নিলু ওভাবে আমার কথা শুনে দৌড়ে বাইরে চলে গেলো কেন?
(পাঠক-পাঠকীরা আপনাদের উদ্দেশ্য করে একটা কথা বলি, আপনাদের সবার জন্য একটা মেসেঞ্জার গ্রুপ খোলা হয়েছে, এই গ্রুপে শুধু আমার নতুন কোনো গল্প এর লিংক বের হলে, ওই গ্রুপে লিংক দেওয়া হবে তাহলে আপনাদের জন্য সুবিধা হবে, সো জারা জারা এই গ্রুপে এড হতে চান তারা আমাকে ইনবক্সে নক করুন অথবা কমেন্ট করুন, গ্রুপ নাম: NR Story)
ভাইরে আমি কান্ডখানা দেখে মনে মনে এতোটাই হাসছি যে আমার কোনো মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না,
আমি- জ্বি জ্বি জ্বি জ্বি…
রিদির আব্বু- কি জ্বি জ্বি জ্বি করছো?
আমি- না মানে, আরে স্যার আপনি যেতে ওই তেলটা আনাচ্ছেন সেটা শুনে জ্বলছে তো। তাই।
রিদির আব্বু দেখি বুকটা আরো দু ইঞ্চি ফুলে গেলো।

————–চলবে না দৌড়াবে————–

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *