রিদি এবার আমার দুটো গাল টেনে…..
রিদি:- উম ফাজিল একটা।
সাথে সাথে আম্মু বাসা থেকে ছুটে এসে আমাদের দুজনের সামনে কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়ালো আর রিদির দিকে চোখ রাঙিয়ে…
আম্মু- এই মেয়ে ফাইল সাইন করাচ্ছো করাও, বাট আমার ছেলের গাল টানছো কেন শুনি?
_ভাইরে আম্মু তারমানে বাসা থেকে দেখছিলো নাকি। ভাইরে ভাগ্যিস কিস টিস করে ফেলেনি তাহলে সবটাই চলে যেতো।
আমি এবার আম্মুকে ধরে…..
আমি- আম্মু এটা প্রেম করতে হলে হয়।
আম্মু- কি হয় হ্যাঁ আমি প্রেম করিনি। তোর ওমন নরম নরম গাল গুলো টিপলে যে শক্ত হয়ে যাবে
আমি- আম্মু তুমি বাসায় যাও।
আম্মু- না আমার আগে জবাব চাই, এক তো আমার ডাক নাম কেড়ে নিয়েছে বাবু, বাবু করাবো, আবার আমার ছেলের গাল টানা।
রিদি:- জ্বি আম্মু এতদিন তোমার ছেলে ছিলো তাই তুমি বাবু বলে ডাকতেন আর এখন আমার হয়ে গেছে তাই আমার এখন বাবু (হেসে হেসে)
আম্মু- নাঈম এই মেয়েকে আমার আর সহ্য হচ্ছে না। চোখের সামনে থেকে সরিয়ে নিয়ে যা।
__ভাইরে আম্মুর কথা শুনে ফারিয়া এবার সত্যিই রেগে গেছে মনে হচ্ছে। শালা গাল দুটো লাল হয়ে গেছে। আবার মাঝে মাঝে মুচকি হাসছেও আর সেটা দেখে আম্মু আরো রেগে আগুন হয়ে যাচ্ছে,,,,,,,
আমি আম্মুকে ধরে টানতে টানতে বাসায় পৌছে দিয়ে এলাম।
এবার আমি রিদির কাছে আসতেই ও আবার কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়ালো , হায় আল্লাহ, আমি আর কি করবো আপনারাই বলেন শালা কতোদিকে সামলাবো।
রিদি এবার….
রিদি:- ওই তোমার আম্মু কি যেন বলে গেলো আমি তোমার ডাক নাম চুরি করেছি তাই না,,,,,,
আমি: তুমি আম্মুর কথা বাদ দাও না, আম্মু আমায় একটু বেশিই ভালোবাসে তাই অমন করে।
রিদি এবার মুখ বাকিয়ে….
রিদি:- আমি বিয়ের পর আম্মুকেও দেখিয়ে দেবো আমিও পারি ভালোবাসতে।
আমি এবার রিদির কাঁধে হাত রেখে……
আমি: জ্বি দেখিয়ে দিও।
_শালা মেয়েদের সাথে ঝগড়াও কখনোই পেরে ওঠা যাবে না তাই ওদের সাথে কম বকে মিটিয়ে নেওয়াটাই বেটার। আম্মু তক আম্মু আব্বুকে দেখেছি সেই আব্বুর ঘাড়েই দোষটা যাই,,,,,,,,,,
আবার রিদি চোখ দেখিয়ে….
রিদি:- আবার বলে কিনা গাল টিপলে গাল শক্ত হয়ে যাবে,,,,,
আমি এবার রিদিকে একটু হাসানোর জন্য…..
আমি- আচ্ছা একটা জিনিস জানো?
রিদি: কি??
আমি- এমন একটা জিনিস যেটা টিপলে কোনোদিনও শক্ত হয় না বরং দিন দিন বেশি আরো নরম হয়।
রিদি:- কি জিনিস ওটা?
আমি- আরে ওটা।
শালা লিজেন্ডরা আগেই বুঝে নিয়েছে।
রিদি:- কোনটা?
আমি এবার হাল্কা হেসে….
আমি- বুকের মাঝে তোরই……..
সাথে সাথে আমার মুখটা চেপে ধরে……
রিদি:- আহহহহ হচ্ছেটা কি?
আমি- হুম কিছুক্ষন পর তো হবে?
রিদি:- কি হবে শুনি?
আমি- উম ডান্সিং কার,,,,,,,,
রিদি এবার অনেক লজ্জা পেয়ে…..
রিদি: এতো ফাজিল কেন তুমি?
আমি- হিহিহি ফাজিল এই জন্যই যাতে তোমার মুখে হাসি ফোটাতে পারি।
এটা বলেই গাড়িতে উঠলাম।
গাড়ির ভেতরে আমার হাতের উপর হাত রেখে…..
রিদি:- সত্যি নাঈম তুমি অনেক ভালো, আমায় খুব হাসাও আমি কোনোকিছু বললে সবটা মাথা নিচু করে শুনে নাও।
আমি হাসতে হাসতে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে…..
আমি- কবি বলিয়াছেন সুন্দরী মেয়েদের কখনো কষ্ট দিতে নেই তাহলে নিজের হার্টব্রেক হতে পারে।
রিদি মুচকি হেসে…..
রিদি:- উম ফাজিল একটা।
আমি এবার ওর মুখে পড়া চুলটা ঠিক করে ওর মুখে একটা ফুঁ দিলাম আর রিদি….
রিদি:- কি হলো ফুঁ দাও কেন?
আমি- ফুঁ নয় পাগলি এটা, এটা যাতে কারোর নজর না লেগে যায় তার দোওয়া পড়লাম।
ভাইরে রিদি এবার পুরাই লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।
আমি আবারো….
আমি- তোমার লিপস্টিকটা না অনেক সুন্দর।
রিদি:- থ্যাংক্স।
আমি- বলছি একটু টেস্ট করতে দিবা। বেশি না একটু চেটে দেখবো,,,,,
সাথে সাথে রিদি আমার হাতে একটা চিমটি দিয়ে….
রিদি:- উম খুব শখ তাই না।
আমি- জ্বি।
রিদি:- এতোই শখ যদি আমার ব্যাগে লিপস্টিক আছে খাও।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হেসে……
আমি- ওহে পাগলি তোমার লিপস্টিকের স্বাদ যে পৃথিবীর সব স্বাদকে হার মানাবে।
রিদি:- তাই।
আমি- জ্বি।
_গাড়িতে এতোক্ষন বকতে বকতে যাচ্ছি দুজনে। ও এখন আমার কোলে। ও আমার দিকে মুখ ঘুরিয়ে আছে। আর আমি ওর ঘাড়ে মুখটা রেখে গাড়ি চালাচ্ছি।
আমি এবার ওর ঘাড়ে একটা কিস করে…..
আমি- বলছি পজিশন তো ঠিক আছে শুরু করলে হয় না।
ফারিয়া এখনো আমার কোলেই আছে……
আমি- ওই সাইডে গিয়ে বসো।
রিদি:- কেন?😡
আমি- কেউ দেখে নিলে প্রব্লেম আছে।
রিদি:- ও হ্যাঁ বুঝলাম কোনো মেয়ে দেখে নিলে প্রব্লেম হবে তাই না।
আমি- আরে বাবা সেরকম কিছু না।
রাস্তায় পুলিশ ধরলে তখন অসুবিধা হবে।
রিদি:- ওহ আচ্ছা
এটা বলেই ও সাইডের সিটে গিয়ে হাত গুটিয়ে বসে আছে।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে…..
আমি- জান্নাতী মুখে হাসি মানায় এরকম মন খারাপ মানায় না।
(পাঠক-পাঠকীরা আপনাদের উদ্দেশ্য করে একটা কথা বলি, আপনাদের সবার জন্য একটা মেসেঞ্জার গ্রুপ খোলা হয়েছে, এই গ্রুপে শুধু আমার নতুন কোনো গল্প এর লিংক বের হলে, ওই গ্রুপে লিংক দেওয়া হবে তাহলে আপনাদের জন্য সুবিধা হবে, ছেলেদের জন্য একটা গ্রুপ আর মেয়েদের জন্য আর একটা গ্রুপ, আমাদের মেয়েদের গ্রুপে কিছু একটিভ মেম্বার দরকার সো জারা জারা এই গ্রুপে এড হতে চান তারা আমাকে ইনবক্সে নক করুন অথবা কমেন্ট করুন, গ্রুপ নাম: NR Story)
রিদি আরো অভিমান করে বাইরের দিকে মুখ করে বসেই রইলো।
আমি ওকে অনেক হাসানোর ট্রাই করলাম বাট ও মানতেই চাইছে না।
অবশেষে একটা ফাঁকা জায়গায় গাড়ি পার্কিং করে আমি নেমে ওর কাছে গেলাম।
গেট খুলে ওর দিকে ঝুঁকে…..
আমি- কি হয়েছে বলবা তো?
রিদি:- জানিনা বলছি তো।
আমি- ওহ আচ্ছা।
এটা বলেই আমি আবারো ড্রাইভিং সিটে এসে বসতেই ফারিয়া ক্ষেপে আমার উপর চিৎকার করে…..
দুঃখিত এই পর্ব টা ছোট করে দেওয়ার জন্য,,,,,,,
লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,,,,,,,
————–চলবে না দৌড়াবে————–