আমার দিকে তাকিয়ে রিদি হেসে….
রিদি: কেমন হয়েছে কফিটা?
আমি: অনেক ভালো, যেন আমি অমৃত পান করছি।
রিদি: থ্যাংক্স।
আমি কফি শেষ করে….
আমি: আচ্ছা আমি আসি তাহলে আজ।
রিদি: এখনই চলে যাবেন।
আমি: জ্বি, রাত তো অনেক হলো।
রিদি: যদি কিছু না মনে করেন একটা কথা বলি….
আমি: জ্বি সিউর ম্যাম…
রিদি: আপনাকে ডাকার প্রধান উদ্দেশ্যটা হলো আমি আজ বাসায় একা আর আমার খুব ভয় করছে যদি কিছু না মনে করেন আমাদের গেস্টরুমে আপনাকে থাকার ব্যবস্থা করে দিই।
আমি হাল্কা হেসে….
আমি: না ম্যাম এটা সম্ভব না, আর ধরুন আমি না হয় থাকলাম যদি আপনাকে রাতে একা পেয়ে আপনার সুযোগ নিই।
রিদি একগাল হাসি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে…..
রিদি: ভয় করি না ওসবে, তবে মন হয় আপনি মানুষটা ওরকম না। খুব ভালো মনের মানুষ (একটু লাজুক ভাবে বলল)
আমি: এই একদিনে এতোটা কিভাবে চিনলেন আমায় শুনি?
রিদি: আপনার কথাবার্তার টাইপে অনেক কিছু বলে দেয়।
আমি: তাই নাকি, তবুও ম্যাম আমি থাকতে পারবো, বাসায় যদি জানতে পারে আমি মাঝ রাতে বাসার বাইরে বের হয়েছি তাহলে আমায় ছেড়ে কথা বলবে না।
রিদির মনটা খারাপ হয়ে গেলো সাথে সাথে, আমি ওর খুশির জন্য…..
আমি: আচ্ছা আপনার খুশির জন্য আমি আপনার কথা মানলাম। যতোই হোক হবু শ্বশুরের বাসা তো।
রিদি: যা তা বকবেন না (চোখ রাঙিয়ে)
আমি: আরে বাবা কই আমি যা তা বকলাম।
রিদি এবার গেস্টরুমে আমায় নিয়ে গেলো, ভেতরে ঢুকে রিদি হেসে….
রিদি: যদি সমস্যা হয় আমায় আপনি ডাকতে পারেন।
আমি: জ্বি সমস্যা তো হবেই, যদি আপনি পাশে না থাকেন।
রিদি: মানে
আমি: না না কিছু না, আপনি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন আর হ্যাঁ সেজে ঘুমাবেন কিন্তু আপনার স্বপ্নে গিয়ে আমি আপনাকে নিয়ে আজ একটা পার্কে ঘুরাতে নিয়ে যাবো।
রিদি: উফ, অসহ্য
এটা বলেই রিদি চলে গেলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি রিদি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আমার দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে আর মাঝে মাঝে হাসছে। আমি এটা দেখে….
আমি: ওই ওই ওই হাসছেন কেন,,,,,,
আমি এবার আমার চারিদিকটা দেখে নিলাম। এ বাবারে আমি তো পুরাই খালি গায়ে এখন।
আমাকে দেখেই এবার ও মুখ নামিয়ে নিলো লজ্জায়। আমি শার্টটা পড়ে ওর কাছে গিয়ে…..
আমি: আসলাম আমি।
রিদি আমার হাতটা ধরে….
রিদি: ব্রেকফাস্ট করবেন না (হালকা একটু হেসে)
আমি: না আপনাকে ঘুম থেকে উঠার পর পরই আপনার ওই মায়াবী দুটো চোখের দিকে আমার চোখ যেতেই আমার ব্রেকফাস্ট হয়ে গেছে।
রিদি: তাই নাকি (একটা লজ্জা পেয়ে)
আমি: জ্বি,
রিদি: ওকে অফিসে আবার মিট হবে। বাই,,,,,,,,
__এবার আমি বাসায় চলে এলাম।
আমি বাসায় এসে আবার অফিসে গেলাম, রিদি আগে থেকেই চলে এসেছে অফিসে, আমি অফিসরুমে ঢুকতেই….
রিদি: এই নাঈম আপনি এসে গেছেন তো ভালোই হলো।
আমি: কেন কোনো প্রব্লেম?
রিদি: জ্বি, দেখুন না এখনই আমায় একবার কলেজ যেতে হবে।
আমি: মানে কি? আপনি এখনো স্টাডি করেন নাকি।
রিদি: জ্বি পাশাপাশি আব্বু বিজনেস দেখাশোনা করি।
আমি: ওহ আচ্ছা
রিদি: জ্বি, যাইহোক কিছুক্ষন পর আমাদের কোম্পানীতে কিছু লোক আসবে আপনি একটু ডিলটা ঠিকঠাক মতো করে নেবেন প্লিজ (করুন সুরে)
আমি শুনেই পুরাই হাঁ হয়ে গেলাম। আমি আবার ডিল,,,,,,
আমি: ম্যাম আমি তো পারবো না, নতুন আপনাদের অফিসে ঢুকেছি আমি। আপনার আব্বু কোথায়?
রিদি: আব্বু এখন বিজি। প্লিজ অভ্র এটা থেকে আমায় উদ্ধার করো।
আমি: আচ্ছা কলেজে কি কাজ আপনার যদি আমি আপনার হয়ে আমি গিয়ে কাজটা কমপ্লিট করে দিয়ে আসি।
রিদি: এটা তো আমি ভেবে দেখিনি, আচ্ছা আপনি তাহলে কলেজে যান।
আমি: ওকে,,,,,,,,,
__এবার আমায় কলেজের কাজটা বুঝিয়ে দিলো। আমি রিদির বলা কলেজে এলাম। গেটের সামনে দেখি কতো মেয়ে বাপরে বাপ, একটা পুরাই রসগোল্লা, কি দেখতে,,,,,,
_রিদির কাজ সেরে আমি কলেজ ক্যান্টিনে গিয়ে কিছু খাবার কিনে খেতে লাগলাম সামনেই এসে বসলো একখানা পরি, শালা আমাদের মতো সিঙ্গেলদের একটা প্রব্লেম যেখানেই সুন্দরী মেয়ে দেখবো তাকে নিয়েই নতুন স্বপ্ন বুনা শুরু,,,,,,
হঠাৎ আম্মুর ফোন এলো আমি রিসিভ করতেই….
আমি: হ্যাঁ আম্মু বলো,,,
আম্মু: বলছি শোন না আমরা একটু তোর মামার বাসায় যাচ্ছি তোর মামার শরীরটা হঠাৎ খারাপ,,,,,
আমি: কাল যাবা।
আম্মু: না রে বাবা কাল গেলে হবে না, আজই যেতে হবে।
আম্মু: ওকে যাও।
আম্মু: আর হ্যাঁ রাতে একটু রান্না করে খেয়ে নিস।
_ভাইরে এই কথাটা শোনার পরই আমার মাথায় বাজ পড়ে গেলো। শালা আমায় কি না রান্না করতে হবে।
_আম্মু ফোন কেটে দিয়েছে, আমি ক্যান্টিনে মাথাটা নীচু করে বসে আছি আর ভাবছি আজ আমার কিভাবে রাতটা কাটবে। শালা না খেয়েই থাকতে হবে দেখছি। আমার আবার ফাস্টফুড সহ্য হয় না। রাতে ঘুমাতে পারবো না ওগুলো খেয়ে। আর হোটেলের খারাপ ওয়াক থু, শালারা না দেবে নুন না দেবে ঝাল,,,,,,,,,
__হঠাৎ বুঝতে পারলাম একটা মেয়ে আমার সামনের চেয়ারে এসে বসলো, শালা পুরাই ভাগ্য খুলে গেলো দেখছি,,,,,
_আমি মাথা উঁচু করতেই দেখি ভাইরে ভাই, কি মেয়েরে,
মেয়েটা দেখি ব্যাগের মধ্যে কি যে খুঁজছে, জানেন তো আমি কেমন,
মেয়ে পটানোর দুটো ট্রিক,,,,,,,
১. মেয়েদের সাথে কথা বলার সময় আই কনট্রাক করা সব থেকে বেশি জরুরি,,,,,,,,
২. মেয়েদের রূপের প্রশংসা আর মনের প্রশংসা করলে ওরা বেশি খুশি হয়।
তবে সাবধান, যেমন মেয়ে দেখবেন তেমন ফ্লাট করবেন, নাহলে ভাই থাপ্পড় নয়তো ব্লক খাবেন,,,,,,
ইনবক্সে নক দেন যারা ট্রিকের জন্য তাদের জন্য দিয়েই দিলাম আজ।
আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে….
আমি: কি খুঁজছেন এতো মনযোগ দিয়ে,,,,,
__শালা মেয়েটা আমার দিকে এমন লুক দিলো যেন আমি ওর আব্বুর টাকা চুরি করে ধরা খেয়েছি,,,,,,,,,,
তারপর মেয়েটা কি বলল সেটার জন্য পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন🥀🥀💞
————–চলবে না দৌড়াবে————–
আমার দিকে তাকিয়ে রিদি হেসে….
রিদি: কেমন হয়েছে কফিটা?
আমি: অনেক ভালো, যেন আমি অমৃত পান করছি।
রিদি: থ্যাংক্স।
আমি কফি শেষ করে….
আমি: আচ্ছা আমি আসি তাহলে আজ।
রিদি: এখনই চলে যাবেন।
আমি: জ্বি, রাত তো অনেক হলো।
রিদি: যদি কিছু না মনে করেন একটা কথা বলি….
আমি: জ্বি সিউর ম্যাম…
রিদি: আপনাকে ডাকার প্রধান উদ্দেশ্যটা হলো আমি আজ বাসায় একা আর আমার খুব ভয় করছে যদি কিছু না মনে করেন আমাদের গেস্টরুমে আপনাকে থাকার ব্যবস্থা করে দিই।
আমি হাল্কা হেসে….
আমি: না ম্যাম এটা সম্ভব না, আর ধরুন আমি না হয় থাকলাম যদি আপনাকে রাতে একা পেয়ে আপনার সুযোগ নিই।
রিদি একগাল হাসি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে…..
রিদি: ভয় করি না ওসবে, তবে মন হয় আপনি মানুষটা ওরকম না। খুব ভালো মনের মানুষ (একটু লাজুক ভাবে বলল)
আমি: এই একদিনে এতোটা কিভাবে চিনলেন আমায় শুনি?
রিদি: আপনার কথাবার্তার টাইপে অনেক কিছু বলে দেয়।
আমি: তাই নাকি, তবুও ম্যাম আমি থাকতে পারবো, বাসায় যদি জানতে পারে আমি মাঝ রাতে বাসার বাইরে বের হয়েছি তাহলে আমায় ছেড়ে কথা বলবে না।
রিদির মনটা খারাপ হয়ে গেলো সাথে সাথে, আমি ওর খুশির জন্য…..
আমি: আচ্ছা আপনার খুশির জন্য আমি আপনার কথা মানলাম। যতোই হোক হবু শ্বশুরের বাসা তো।
রিদি: যা তা বকবেন না (চোখ রাঙিয়ে)
আমি: আরে বাবা কই আমি যা তা বকলাম।
রিদি এবার গেস্টরুমে আমায় নিয়ে গেলো, ভেতরে ঢুকে রিদি হেসে….
রিদি: যদি সমস্যা হয় আমায় আপনি ডাকতে পারেন।
আমি: জ্বি সমস্যা তো হবেই, যদি আপনি পাশে না থাকেন।
রিদি: মানে
আমি: না না কিছু না, আপনি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন আর হ্যাঁ সেজে ঘুমাবেন কিন্তু আপনার স্বপ্নে গিয়ে আমি আপনাকে নিয়ে আজ একটা পার্কে ঘুরাতে নিয়ে যাবো।
রিদি: উফ, অসহ্য
এটা বলেই রিদি চলে গেলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি রিদি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আমার দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে আর মাঝে মাঝে হাসছে। আমি এটা দেখে….
আমি: ওই ওই ওই হাসছেন কেন,,,,,,
আমি এবার আমার চারিদিকটা দেখে নিলাম। এ বাবারে আমি তো পুরাই খালি গায়ে এখন।
আমাকে দেখেই এবার ও মুখ নামিয়ে নিলো লজ্জায়। আমি শার্টটা পড়ে ওর কাছে গিয়ে…..
আমি: আসলাম আমি।
রিদি আমার হাতটা ধরে….
রিদি: ব্রেকফাস্ট করবেন না (হালকা একটু হেসে)
আমি: না আপনাকে ঘুম থেকে উঠার পর পরই আপনার ওই মায়াবী দুটো চোখের দিকে আমার চোখ যেতেই আমার ব্রেকফাস্ট হয়ে গেছে।
রিদি: তাই নাকি (একটা লজ্জা পেয়ে)
আমি: জ্বি,
রিদি: ওকে অফিসে আবার মিট হবে। বাই,,,,,,,,
__এবার আমি বাসায় চলে এলাম।
আমি বাসায় এসে আবার অফিসে গেলাম, রিদি আগে থেকেই চলে এসেছে অফিসে, আমি অফিসরুমে ঢুকতেই….
রিদি: এই নাঈম আপনি এসে গেছেন তো ভালোই হলো।
আমি: কেন কোনো প্রব্লেম?
রিদি: জ্বি, দেখুন না এখনই আমায় একবার কলেজ যেতে হবে।
আমি: মানে কি? আপনি এখনো স্টাডি করেন নাকি।
রিদি: জ্বি পাশাপাশি আব্বু বিজনেস দেখাশোনা করি।
আমি: ওহ আচ্ছা
রিদি: জ্বি, যাইহোক কিছুক্ষন পর আমাদের কোম্পানীতে কিছু লোক আসবে আপনি একটু ডিলটা ঠিকঠাক মতো করে নেবেন প্লিজ (করুন সুরে)
আমি শুনেই পুরাই হাঁ হয়ে গেলাম। আমি আবার ডিল,,,,,,
আমি: ম্যাম আমি তো পারবো না, নতুন আপনাদের অফিসে ঢুকেছি আমি। আপনার আব্বু কোথায়?
রিদি: আব্বু এখন বিজি। প্লিজ অভ্র এটা থেকে আমায় উদ্ধার করো।
আমি: আচ্ছা কলেজে কি কাজ আপনার যদি আমি আপনার হয়ে আমি গিয়ে কাজটা কমপ্লিট করে দিয়ে আসি।
রিদি: এটা তো আমি ভেবে দেখিনি, আচ্ছা আপনি তাহলে কলেজে যান।
আমি: ওকে,,,,,,,,,
__এবার আমায় কলেজের কাজটা বুঝিয়ে দিলো। আমি রিদির বলা কলেজে এলাম। গেটের সামনে দেখি কতো মেয়ে বাপরে বাপ, একটা পুরাই রসগোল্লা, কি দেখতে,,,,,,
_রিদির কাজ সেরে আমি কলেজ ক্যান্টিনে গিয়ে কিছু খাবার কিনে খেতে লাগলাম সামনেই এসে বসলো একখানা পরি, শালা আমাদের মতো সিঙ্গেলদের একটা প্রব্লেম যেখানেই সুন্দরী মেয়ে দেখবো তাকে নিয়েই নতুন স্বপ্ন বুনা শুরু,,,,,,
হঠাৎ আম্মুর ফোন এলো আমি রিসিভ করতেই….
আমি: হ্যাঁ আম্মু বলো,,,
আম্মু: বলছি শোন না আমরা একটু তোর মামার বাসায় যাচ্ছি তোর মামার শরীরটা হঠাৎ খারাপ,,,,,
আমি: কাল যাবা।
আম্মু: না রে বাবা কাল গেলে হবে না, আজই যেতে হবে।
আম্মু: ওকে যাও।
আম্মু: আর হ্যাঁ রাতে একটু রান্না করে খেয়ে নিস।
_ভাইরে এই কথাটা শোনার পরই আমার মাথায় বাজ পড়ে গেলো। শালা আমায় কি না রান্না করতে হবে।
_আম্মু ফোন কেটে দিয়েছে, আমি ক্যান্টিনে মাথাটা নীচু করে বসে আছি আর ভাবছি আজ আমার কিভাবে রাতটা কাটবে। শালা না খেয়েই থাকতে হবে দেখছি। আমার আবার ফাস্টফুড সহ্য হয় না। রাতে ঘুমাতে পারবো না ওগুলো খেয়ে। আর হোটেলের খারাপ ওয়াক থু, শালারা না দেবে নুন না দেবে ঝাল,,,,,,,,,
__হঠাৎ বুঝতে পারলাম একটা মেয়ে আমার সামনের চেয়ারে এসে বসলো, শালা পুরাই ভাগ্য খুলে গেলো দেখছি,,,,,
_আমি মাথা উঁচু করতেই দেখি ভাইরে ভাই, কি মেয়েরে,
মেয়েটা দেখি ব্যাগের মধ্যে কি যে খুঁজছে, জানেন তো আমি কেমন,
মেয়ে পটানোর দুটো ট্রিক,,,,,,,
১. মেয়েদের সাথে কথা বলার সময় আই কনট্রাক করা সব থেকে বেশি জরুরি,,,,,,,,
২. মেয়েদের রূপের প্রশংসা আর মনের প্রশংসা করলে ওরা বেশি খুশি হয়।
তবে সাবধান, যেমন মেয়ে দেখবেন তেমন ফ্লাট করবেন, নাহলে ভাই থাপ্পড় নয়তো ব্লক খাবেন,,,,,,
ইনবক্সে নক দেন যারা ট্রিকের জন্য তাদের জন্য দিয়েই দিলাম আজ।
আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে….
আমি: কি খুঁজছেন এতো মনযোগ দিয়ে,,,,,
__শালা মেয়েটা আমার দিকে এমন লুক দিলো যেন আমি ওর আব্বুর টাকা চুরি করে ধরা খেয়েছি,,,,,,,,,,
তারপর মেয়েটা কি বলল সেটার জন্য পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন🥀🥀💞
————–চলবে না দৌড়াবে————–
আমার দিকে তাকিয়ে রিদি হেসে….
রিদি: কেমন হয়েছে কফিটা?
আমি: অনেক ভালো, যেন আমি অমৃত পান করছি।
রিদি: থ্যাংক্স।
আমি কফি শেষ করে….
আমি: আচ্ছা আমি আসি তাহলে আজ।
রিদি: এখনই চলে যাবেন।
আমি: জ্বি, রাত তো অনেক হলো।
রিদি: যদি কিছু না মনে করেন একটা কথা বলি….
আমি: জ্বি সিউর ম্যাম…
রিদি: আপনাকে ডাকার প্রধান উদ্দেশ্যটা হলো আমি আজ বাসায় একা আর আমার খুব ভয় করছে যদি কিছু না মনে করেন আমাদের গেস্টরুমে আপনাকে থাকার ব্যবস্থা করে দিই।
আমি হাল্কা হেসে….
আমি: না ম্যাম এটা সম্ভব না, আর ধরুন আমি না হয় থাকলাম যদি আপনাকে রাতে একা পেয়ে আপনার সুযোগ নিই।
রিদি একগাল হাসি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে…..
রিদি: ভয় করি না ওসবে, তবে মন হয় আপনি মানুষটা ওরকম না। খুব ভালো মনের মানুষ (একটু লাজুক ভাবে বলল)
আমি: এই একদিনে এতোটা কিভাবে চিনলেন আমায় শুনি?
রিদি: আপনার কথাবার্তার টাইপে অনেক কিছু বলে দেয়।
আমি: তাই নাকি, তবুও ম্যাম আমি থাকতে পারবো, বাসায় যদি জানতে পারে আমি মাঝ রাতে বাসার বাইরে বের হয়েছি তাহলে আমায় ছেড়ে কথা বলবে না।
রিদির মনটা খারাপ হয়ে গেলো সাথে সাথে, আমি ওর খুশির জন্য…..
আমি: আচ্ছা আপনার খুশির জন্য আমি আপনার কথা মানলাম। যতোই হোক হবু শ্বশুরের বাসা তো।
রিদি: যা তা বকবেন না (চোখ রাঙিয়ে)
আমি: আরে বাবা কই আমি যা তা বকলাম।
রিদি এবার গেস্টরুমে আমায় নিয়ে গেলো, ভেতরে ঢুকে রিদি হেসে….
রিদি: যদি সমস্যা হয় আমায় আপনি ডাকতে পারেন।
আমি: জ্বি সমস্যা তো হবেই, যদি আপনি পাশে না থাকেন।
রিদি: মানে
আমি: না না কিছু না, আপনি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন আর হ্যাঁ সেজে ঘুমাবেন কিন্তু আপনার স্বপ্নে গিয়ে আমি আপনাকে নিয়ে আজ একটা পার্কে ঘুরাতে নিয়ে যাবো।
রিদি: উফ, অসহ্য
এটা বলেই রিদি চলে গেলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি রিদি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আমার দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে আর মাঝে মাঝে হাসছে। আমি এটা দেখে….
আমি: ওই ওই ওই হাসছেন কেন,,,,,,
আমি এবার আমার চারিদিকটা দেখে নিলাম। এ বাবারে আমি তো পুরাই খালি গায়ে এখন।
আমাকে দেখেই এবার ও মুখ নামিয়ে নিলো লজ্জায়। আমি শার্টটা পড়ে ওর কাছে গিয়ে…..
আমি: আসলাম আমি।
রিদি আমার হাতটা ধরে….
রিদি: ব্রেকফাস্ট করবেন না (হালকা একটু হেসে)
আমি: না আপনাকে ঘুম থেকে উঠার পর পরই আপনার ওই মায়াবী দুটো চোখের দিকে আমার চোখ যেতেই আমার ব্রেকফাস্ট হয়ে গেছে।
রিদি: তাই নাকি (একটা লজ্জা পেয়ে)
আমি: জ্বি,
রিদি: ওকে অফিসে আবার মিট হবে। বাই,,,,,,,,
__এবার আমি বাসায় চলে এলাম।
আমি বাসায় এসে আবার অফিসে গেলাম, রিদি আগে থেকেই চলে এসেছে অফিসে, আমি অফিসরুমে ঢুকতেই….
রিদি: এই নাঈম আপনি এসে গেছেন তো ভালোই হলো।
আমি: কেন কোনো প্রব্লেম?
রিদি: জ্বি, দেখুন না এখনই আমায় একবার কলেজ যেতে হবে।
আমি: মানে কি? আপনি এখনো স্টাডি করেন নাকি।
রিদি: জ্বি পাশাপাশি আব্বু বিজনেস দেখাশোনা করি।
আমি: ওহ আচ্ছা
রিদি: জ্বি, যাইহোক কিছুক্ষন পর আমাদের কোম্পানীতে কিছু লোক আসবে আপনি একটু ডিলটা ঠিকঠাক মতো করে নেবেন প্লিজ (করুন সুরে)
আমি শুনেই পুরাই হাঁ হয়ে গেলাম। আমি আবার ডিল,,,,,,
আমি: ম্যাম আমি তো পারবো না, নতুন আপনাদের অফিসে ঢুকেছি আমি। আপনার আব্বু কোথায়?
রিদি: আব্বু এখন বিজি। প্লিজ অভ্র এটা থেকে আমায় উদ্ধার করো।
আমি: আচ্ছা কলেজে কি কাজ আপনার যদি আমি আপনার হয়ে আমি গিয়ে কাজটা কমপ্লিট করে দিয়ে আসি।
রিদি: এটা তো আমি ভেবে দেখিনি, আচ্ছা আপনি তাহলে কলেজে যান।
আমি: ওকে,,,,,,,,,
__এবার আমায় কলেজের কাজটা বুঝিয়ে দিলো। আমি রিদির বলা কলেজে এলাম। গেটের সামনে দেখি কতো মেয়ে বাপরে বাপ, একটা পুরাই রসগোল্লা, কি দেখতে,,,,,,
_রিদির কাজ সেরে আমি কলেজ ক্যান্টিনে গিয়ে কিছু খাবার কিনে খেতে লাগলাম সামনেই এসে বসলো একখানা পরি, শালা আমাদের মতো সিঙ্গেলদের একটা প্রব্লেম যেখানেই সুন্দরী মেয়ে দেখবো তাকে নিয়েই নতুন স্বপ্ন বুনা শুরু,,,,,,
হঠাৎ আম্মুর ফোন এলো আমি রিসিভ করতেই….
আমি: হ্যাঁ আম্মু বলো,,,
আম্মু: বলছি শোন না আমরা একটু তোর মামার বাসায় যাচ্ছি তোর মামার শরীরটা হঠাৎ খারাপ,,,,,
আমি: কাল যাবা।
আম্মু: না রে বাবা কাল গেলে হবে না, আজই যেতে হবে।
আম্মু: ওকে যাও।
আম্মু: আর হ্যাঁ রাতে একটু রান্না করে খেয়ে নিস।
_ভাইরে এই কথাটা শোনার পরই আমার মাথায় বাজ পড়ে গেলো। শালা আমায় কি না রান্না করতে হবে।
_আম্মু ফোন কেটে দিয়েছে, আমি ক্যান্টিনে মাথাটা নীচু করে বসে আছি আর ভাবছি আজ আমার কিভাবে রাতটা কাটবে। শালা না খেয়েই থাকতে হবে দেখছি। আমার আবার ফাস্টফুড সহ্য হয় না। রাতে ঘুমাতে পারবো না ওগুলো খেয়ে। আর হোটেলের খারাপ ওয়াক থু, শালারা না দেবে নুন না দেবে ঝাল,,,,,,,,,
__হঠাৎ বুঝতে পারলাম একটা মেয়ে আমার সামনের চেয়ারে এসে বসলো, শালা পুরাই ভাগ্য খুলে গেলো দেখছি,,,,,
_আমি মাথা উঁচু করতেই দেখি ভাইরে ভাই, কি মেয়েরে,
মেয়েটা দেখি ব্যাগের মধ্যে কি যে খুঁজছে, জানেন তো আমি কেমন,
মেয়ে পটানোর দুটো ট্রিক,,,,,,,
১. মেয়েদের সাথে কথা বলার সময় আই কনট্রাক করা সব থেকে বেশি জরুরি,,,,,,,,
২. মেয়েদের রূপের প্রশংসা আর মনের প্রশংসা করলে ওরা বেশি খুশি হয়।
তবে সাবধান, যেমন মেয়ে দেখবেন তেমন ফ্লাট করবেন, নাহলে ভাই থাপ্পড় নয়তো ব্লক খাবেন,,,,,,
ইনবক্সে নক দেন যারা ট্রিকের জন্য তাদের জন্য দিয়েই দিলাম আজ।
আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে….
আমি: কি খুঁজছেন এতো মনযোগ দিয়ে,,,,,
__শালা মেয়েটা আমার দিকে এমন লুক দিলো যেন আমি ওর আব্বুর টাকা চুরি করে ধরা খেয়েছি,,,,,,,,,,
তারপর মেয়েটা কি বলল সেটার জন্য পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন🥀🥀💞
————–চলবে না দৌড়াবে————–