আপুর ননদ যখন রোমান্টিক বউ পর্ব_১০

নিধীর চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে, আমি নিধীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি,,আবার মাঝে মাঝে কপালে চোখে চুমি দিচ্ছি।। এইভাবে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়লাম।। বিকালে আমাদের ঘুম ভাঙলো।

সন্ধ্যার দিকে ভাইয়া আর আপু আসলো,, রাতে আমরা সবাই একসাথে ডিনার করে অনেক আড্ডা দিলাম। আমি আর নিধী রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম,, সকালে উঠে রেডি হয়ে, আমি আর নিধী নিচে চলে আসলাম ভাইয়া আর আপু আমাদের সাথে এয়ারপোর্টে যাবে,, নিধী আর আমি আম্মু আব্বুকে ছালাম করে বেড়িয়ে পরলাম।।।

আমরা এয়ারপোর্টে চলে গেলাম ভাইয়া আর আপুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমার বিমানে চলে আসলাম। আমার আর নিধীর সিট টা পাশাপাশি।
বিমান আকাশের দিকে উড়তে লাগলো। নিধীর দিকে তাকিয়ে দেখি ভয়ে চোখ বন্ধ হয়ে আছে।।
আমি নিধীর হাতটা শক্ত করে দরে ফেললাম।।

আমিঃ ভয় পাচ্ছ?
নিধীঃ এতোখন পেয়েছি এখন না।

এরপর আমরা গল্প করতে লাগলাম,, প্রায় দুই ঘন্টা পরে চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টে ফ্লাইট লান্ড করলো।।।
আমরা ওইখান থেকে গাড়ি করে রেসোটে চলে গেলাম। রেসোটে আমাদের জন্য রোম ঠিক করাই আছে,,। এটা আব্বুর ফ্রেন্ড দের রেসোট। আমরা রিসিপশনে চলে গেলাম, ওইখান থেকে ম্যনেজারের কাছ থেকে চাবি নিয়ে। আমরা রুমে চলে গেলাম রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।। ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে দেখি আমাদের জন্য দুপুরের খাবার রেখে গেছে।।। আব্বু আম্মু কে কল করে জানিয়ে দিলাম আমরা বাসা থেকে এসে পড়েছি।

আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিলাম,
বিকাল হয়ে গেলো,,

নিধীঃ চলো বিচের পারে যাবো।
আমিঃ ওকে রেডি হয়ে নাও।
নিধীঃ শাড়ি পরব নাকি লেহেঙ্গা,
আমিঃ শাড়ি।

এরপর নিধী ব্যগ থেকে শাড়ি বের করলো ব্লাক কালারের আমার জন্য ম্যচিং করা পান্জাবী।
নিধী শাড়ি পড়তে লাগলো,, আমাকে ডাক দিলো।

আমিঃ হ্য বলো।
নিধীঃ পড়িয়ে দাও।
আমিঃ এতো বড় হয়েছো বাট শাড়ি পড়তে পারো
না।
নিধীঃ না পারি না।

এরপর আমি নিধীকে শাড়ি পড়িয়ে দিতে লাগলাম।

আমিঃ কুচিটা দরো।
নিধীঃ ওকে।

এরপর কুচি ঠিক ভাবে করে নিধীর পেটে গুজে দিলাম।। নিধী কেপে উঠলো,, আমাকে অনেক শক্ত করে জড়িয়ে দরলো।

নিধীঃ তোমার হাত যখন আমার শরীলে পড়ে
তখন আমি কেমন শিউরে উঠি।
আমিঃ এটাই ভালোবাসর ছোঁয়া ।

নিধীকে আয়নার সামনে নিয়ে দাড় করালাম। গুড়ে গুড়ে নিজেকে দেখতে লাগলো নিধী।। মনে মনে ভাবছে আমার বর টা ত অনেক সুন্দর শাড়ি পড়াতে পারে।।

নিধীঃ আচ্ছা এতোদিন শাড়ি পড়াতে পারো জাননতাম না ত।
আমিঃ এখন ত জানলে।
নিধীঃ এখন থেকে সবসময় তুমি শাড়ি পড়িয়ে দিবে।
আমিঃ আচ্ছা।।
নিধীঃ আচ্ছা তুমি শাড়ি পরাতে শিখলে কি করে?
আমিঃ ইউটিউব থেকে।
নিধীঃ ওহ আচ্ছা ওয়েট ওয়েট তারমানে তুমি ওই মেয়েটার পেট দেখছো।
আমিঃ হ্য দেখছি।
নিধীঃ কুত্তা তুই ওই মেয়েটার পেট দেখছিস আবার বড়ো গলায় বলছিস,, আজকে তর একদিন কি আর আমার যে কদিন লাগে।।।

এই বলে আমাকে মারতে শুরু করলো,, বুঝতেছি না মারতেছে নাকি আদর করতেছে। নরম হাতের মাইর এরকম সারাজীবন মারলেও কিছু হবে না।
আমি নিধীর হাত দরে ফেললাম।

আমিঃ আরে ওটা ত পুতুল ছিলো।
নিধীঃ তাহলে বললে কেন মেয়ে ছিলো?
আমিঃ তোমার রাগি লুক টা দেখতে চেয়েছিলাম।।
নিধীঃ আমাকে রাগাতে তর ভালো লাগে কুত্তা,,
আমিঃ তোমাকে রাগাতে ভালো লাগে না,, বাট তোমার রাগি লুক দেখতে ইচ্ছা করে, এই যে রাগলে তোমার ফরসা গাল দুটো টমেটোর মতো লাল হয়ে যায়,, তখন কি বলব মনে হয় কামর দিয়ে খেয়ে ফেলি।।
নিধীঃ হয়ছে আর বলতে হবে না পান্জাবী টা পরে নাও।
আমিঃ ওকে।।

এরপর আমি পান্জাবী টা পরে নিলাম। দুজনেই রেডি হয়ে বিচের পারে চলে আসলাম।। আমি আর নিধী খালি পায়ে সমুদ্রের তিরে হাটতে লাগলাম। মাঝে মাঝে সমুদ্রের স্রতের পানি আমাদের পায়ে এসে লাগছে।নিধী আমার হাত দরে হাটছে,,ব্যপারটা একটু বেশিই ইন্টারেস্টিং। আমরা সমুদ্রের পাড়ে খোব ভালো একটা সময় কাটালাম,,।

আমিঃ রাত হয়ে গেছে চলো হোটেলে চলে যায়।
নিধীঃ আরেকটু থাকি না।
আমিঃ আবার কালকেও ত আসা যাবে।।
নিধীঃ ওকে চলো।।,,

এরপর আমরা হোটেলে ডুকতে যাবো তখনি এখানকার একটি মেয়ের সাথে দেখা,, মেয়েটি ফটোগ্রাফার,, এর আগেও এই কক্সবাজারে মেয়েটির সাথে আমার তিনবার দেখা হয়েছে।
মেয়েটির বাসা এখানেই।। মেয়েটির নাম মিরা,,

মিরাঃ ভাইয়া আপনি,
আমিঃ কে আপনি?
মিরাঃ চিনতে পারছেন না আমি মিরা এই যে কক্সবাজার এইবার দিয়ে চারবার দেখা হলো আপনার সাথে।
আমিঃ ওহ চিনতে পেড়েছি।
মিরাঃ সাথে কে?
আমিঃ ওয়াইফ
মিরাঃ ওয়াও ভাবি ত দেখতে অনেক মিষ্টি।
আমিঃ হ্য ধন্যবাদ।।

আমি নিধীর দিকে তাকিয়ে দেখি মন খারাপ ,, মিরার সাথে কথা বলছি নিধী হয়তো সয্য করতে পারতেছে না,, আমি মিরাকে বিদায় জানিয়ে রুমে চলে আসলাম।। রুমে এসে আমি আর নিধী ওয়াশরুমে চলে গেলাম,,ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে চলে আসলাম।।।

আমিঃ মন খারাপ
নিধীঃ না
আমিঃ তাহলে কথা বলতেছো না যে
নিধীঃ তুমি ওই মেয়েটার সাথে এতো কথা বললে কেন?
আমিঃ আমি ত কিছু বলি নি ওনিই ত বললো৷।
নিধীঃ ওনি বলছে বলেই বলতে হবে।
আমিঃ স্যরি
নিধীঃ ইট’স ওকে।।।

আমি গিয়ে জানালার পর্দা টা খুলে দিলাম। এখান থেকে প্রাই পুরো বিচ টা-ই দেখা যায়। নিধী আর আমি অনেকক্ষন এখানে বসে থাকলাম।। রাতে খাবার দিয়ে গেলো।। ডিনার করে শুয়ে পড়লাম।

আমিঃ শুয়ে পরো,
নিধীঃ হানিমুনে এসে কেউ ঘুমায়
আমিঃ তাহলে কি করে
নিধীঃ দেখাচ্ছি।

নিধী আমার উপরে শুয়ে পড়লো, শুয়ে আমাকে কিস করতে লাগলো,, রোমান্স শেষ করে আমরা
ঘুমিয়ে পড়লাম।।।

সকালে নিধীর ডাকে আমার ঘুম ভাঙলো ,, আমরা ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম,, নাস্তা করে হোটেল থেকে বের হলাম,, অনেক কাপল একসাথে গোসল করতেছে।।।

নিধীঃ চলো গোসল করব আমরা।
আমিঃ না প্রচুর স্রত।
নিধীঃ চলো না।
আমিঃ ওকে।

তখনি আমার একটা কল আসলো,, আমি নিধীকে বললাম তুমি যাও আমি একটু কথা বলে আসি। আমি ফোনে কথা বলতে লাগলাম নিধী মনের আনন্দে গোসল করতে লাগলো,,, নিধী আমাকে ডাকতে লাগলো, আমি ইসারা দিয়ে বললাম দুই মিনিট।

আমি নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে লাগলাম।
সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে যা দেখলাম তাতে আমার হাত থেকে ফোন পড়ে গেলো,, আমি গামতে শুরু করলাম।

চলবে

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *