ইতি- কি এই সব তুমি কি বলছো এমন কেনো করছো আমার সাথে?!
আমি- কেমন করছি তোমার সাথে?!!
ইতি- তোর বিয়ে করার অনেক শখ তাই না আমি তোর বিয়ে করা বাহির করতাছি (এই বলে কান্না করতেছে আর কি যেনো খুজতেছে)!
আমি-মানে তুমি কি খুজতাছো এই ভাবে😟?!
ইতি- তোর বিয়ের জন্য গিফট খুঁজতেছি তোর বিয়ে করার অনেক শখ তাই না ( এই বলে দরজা অফ করতে গেলো)!
আমি- এই কি দরজা বন্ধ করতেছো কেন?!
ইতি- তোর বিয়ে করার শখ মিটানোর জন্য দূর কাজের সময় ডিস্টার্ব করবানা তো,কোথায় যে লাঠি টা রাখলাম সকালে?!
আমি- মানে কি ( ও কি আমাকে মাইর দিবে নাকি আল্লাহ বউয়ের হাতে মাইর খাইলে তো সমাজে মুখ দেখাইতে পারবোনা)!
ইতি- কথায় যখন আমার শুনবানা তাইলে আর মানে দিয়া কি করবা আজ যদি হাত পা না ভাঙছি তাইলে আমার নাম ইতি এই তো পেয়ে গেছি হাতিয়ার টা(এই বলে আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো সত্যি কি মারবে নাকি!
যখনি আমার একদম কাছে চলে আসছে তখনি আমি টান দিয়ে সোজা ওর দুই ঠোঁটের সাথে আমার ঠোট গুলা মিশিয়ে দিলাম আমার ঠোঁটের পরশ পাওয়া মাত্রয় একদম বাচ্চাদের মতো সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো হাত থেকে লাঠি ফেলে দিয়ে!!প্রায় ৫মিনিট পর ছাড়লাম!!😘
ইতি- তুমি আমাকে কিস করলা কেন হুম ,, ওই শাঁকচুন্নির কাছে যাও,,কিস করার সময় আমি আর বিয়ে ভালবাসার জন্য ওই শাঁকচুন্নি ( কান্না করে)!
আমি- দূর পাগলি সত্যি তুমি একটা পাগল ! ( হেসে)
ইতি- হুম সে তো তোমার জন্যয় তুমি কি বোঝো(অভিমানে)!
আমি- এতো ভালবাসো আমাকে জান পাখি( কাছে টেনে নিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে)!
ইতি- হুম কেনো তুমি জানোনা সেই প্রথম দিন থেকেই তো তোমার উপর আমি ফিদা হয়ে আছি?!
আমি- তাই তাইলে এতোদিন হার্ড করলা কেন?!
ইতি- তার জন্যয় তো বলতাছি তুমি আমার কথা শুনো একবার?!
আমি- না জান পাখি আমি তোমার কথা টা আগে শুনি নায় এখন ও শুনবোনা মেম ?!
ইতি- আমি তোমাকে আমার নিজের থেকে বেশি ভালবাসি অনেক অনেক😍
!
আমি- তাই বুঝি মেডাম (আরো কাছে টেনে এনে ওর নিশ্বাস গুলা মুখে এসে পড়ছে)
ইতি- কেন বিশ্বাস হয়না বুঝি?!
আমি- তা মেএএএএ! বলার আগেই ইতি আমার ঠোট গুলা কে ওর ঠোঁটের সাথে মিশিয়ে দিলো (আমার মাথা চেপে ধরে ক্রমেই আমার হার্টবিটের পাওয়ার ৪৮০ভোল্টেজের মতো ভেড়েই চল্লো বালিকার ঠোট গুলা অনেক মিষ্টি প্রায় ৭মিনিট পরে ছাড়লো, ছেরে হাপিয়ে গেলো ও!!
আমি- বালিকা তোমার ঠোট গুলা এতো মিষ্টি কেন?!
ইতি – যাও তুমি ও না( বালিকা লজ্জাই আমার বুকের মধ্যে লুকিয়ে ফেল্লো তার মুখ টা?!
আমি- ইস আমার বউটার দেখি অনেক লজ্জাবতী,, লজ্জাই একদম লাল হয়ে গেছে মুখ টা( হেসে)
ইতি- আচ্ছা তুমি তাইলে এই কার্ড কিসের জন্য তৈরী করলা?!(রাগে)!
আমি- এইতো আমার মহারানী টা কে রাগানোর জন্য এমনি করছি?!
ইতি- কি তবেরে দেখাইতাছি আমি তোমারে?!
আমি- সেই কপাল হয়নাই কবে বিয়ে করলাম এখনো বউকে কাছেই পেলাম আর দেখবো কি(ভ্রু কুঁচকে)!
ইতি- ওমা তাই,আমার ১০টা না.২০টানা এক মাত্র স্বামী তার দেখার ইচ্ছা,,আমি অপূরর্ণ রাখতে পারি (এই বলে ও আমার উপর ঝাপিয়ে পড়লো,, আবার ওর ঠোট গুলা আমার ঠোঁটের সাথে মিশিয়ে দিলো,, আমি ও আলতু করে ওর ঘাড়েতে চুমু দিলাম তারপর ২জন হারিয়ে গেলো ভালবাসার এক অজানা মধুর সুখের সাগরের মধ্যে!! 😘!
সকাল বেলা একটু দেড়িতেই ইতির ঘুম ভাঙলো ও চেয়ে দেখে আরমান ওকে এখনো জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে ও রাতের কথা ভেবে লজ্জা পেতে লাগলো, তারপর ইতি আলতু করে ওর কপালে একটা পরশ দিয়ে দিলো,, তারপর আস্তে আস্তে করে ওর থেকে ছাড়িয়ে বিছানা থেকে নামতে যাবে এমুনি আরমান ওর হাত ধরে টান দিয়ে আবার ওর কাছেতে নিয়ে গেলো!
ইতি- কি করছো ছাড়ো অনেক বেলা গেছে তো?!
আমি- কোথায় কয়টা ভাজে আসো তোমাকে জড়িয়ে আর একটু ঘুমিয়ে থাকি নয়তো ঘুম আসবে না?!!
ইতি- জ্বী না মহারাজ আপনি ঘুমান ওই দিকে আপু আম্মু অনেক আগেই মনে হয় ঘুম থেকে জেগে গেছে?!!
আমি- তো কি হয়ছে তুমি শুয়ে থাকোনা?!
ইতি- দূর পাগল আমি গেলাম দেখো আম্মু আপু কি ভাব্বে অনেক বেলা হয়ে গেছে?!(ওর হাত টা আমার হাত থেকে ছাড়িয়ে)!
আমি- কি ভাব্বে হুম যেয়োনা তো?!!
ইতি- আমি গেলাম বাই বাই টাটা!( মুখে লাজুক একভর্তি হাসি নিয়ে চলে গেলো!😊
আমি – হুম সময় আমার ও আসবে তখন দেখবো!!
কে শুনে কার কথা চলে গেলো আমি আর কি করবো শুয়ে রইলাম ঘুম ও আসছে না ফ্রেশ হয়ে কলেজের জন্য রেডি হয়ে যাই!!
ওই দিকে,
ইতি- আম্মু দেন আমি রান্না করি?!
আম্মু- না মা তুমি পারবেনা তুমি গিয়ে বসো আমি করছি তো?!
ইতি- আম্মু আমাকে প্লীজ আপনার মতো রান্না করা শিখাইয়া দেন আমি শিখতে চাই প্লীজ প্লীজ?!
আম্মু- আচ্ছা ঠিক আছে মা আই?!
তারপর ও কষ্টো করে রান্না শিখতে লাগলো আরমানের যত পছন্দের রান্না আছে সব!!!
ওই দিকে আরমান রেডি হতে লাগলো এমুনি ইতি রুমে আসলো!
ইতি- এই তুমি কি কোথাও যাচ্ছো?!
আমি- হুম কেনো?!!
ইতি- না এমনি নাস্তা করতে আসো?!!(মুখ টা মলিন করে)!
আমি- কি বেপার মেডাম মুখ টা মলিন হয়ে আছে কেন কিছু বলবা?!!(ওকে জড়িয়ে ধরে)!
ইতি- চলোনা আজ আমরা কোথাও থেকে ঘুরে আসি প্লীজ প্লীজ?! (বাচ্চাদের মতো আবদার করে)!
আমি- আচ্ছা চলো তোমার কথা ফেলতে পারি বলো?!!
ইতি- হুম জানি তো আমার লক্ষী বর একটা( টাক টেনে দিয়ে)!
আমি- হুম হয়ছে!
ইতি- ঘুরার পরার শপিং করবো সবার জন্য?!
আমি- (এইরে মেরে ফেলছে) না শপিং অন্যদিন?!
ইতি- দূর তুমি ভেবোনা তো ওই সব বোঝলেন স্যার আমি আছি তো?!!
আমি- জ্বী!মেম
তারপর ওকে নিয়ে কিছুক্ষণ পর ঘুরতে গেলাম ওকে দেখে তো আমি ক্রাশ খেলাম আবার নতুন ভাবে কালো চুড়ি কালো টিপ কালো শাড়ি বাহ ওকে কালো জিনিশে অনেক টা ম্যাচিং করে!😍
ইতি- কি দেখছো এই ভাবে?!
আমি- তোমাকে দেখছি, যতবার দেখি ততবার ওই তোমার প্রেমে তে হাবুডুবু খাই?!
ইতি- যাও তুমি ও না (লজ্জা পেয়ে)!
যাইহোক ওকে নিয়ে পার্কে গেলাম,, একটা বেঞ্চে গিয়ে বসলাম ও আমার ঘাড়ে ওর মাথা রেখে আমার ২টা হাত চেপে ধরে বসলো,,আমি ওর হাত গুলাকে আমার ১০আঙগুলির মধ্যে আবধ্য করে রাখলাম !!
ইতি- তোমার এই দুই হাত কে আমার সারাজীবনের জন্য এই ভাবে গুছিয়ে আগলিয়ে রাখার জন্য পাশে চাই কখনো ছাড়বেনা তো আমার হাত গুলা?!!
আমি- জ্বী না মেডাম মরার আগ অব্ধি শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত এই ভাবে ধরে রাখবো?!
ইতি- হুম দেখা যাবে যখন এই হাত গুলা থাকবেনা তখন আমি ও থাকবোনা?!
আমি-চুপ এই কথা আর কখনো মুখে আনবে না(ওর মুখ ছেপে ধরে)!
এমনি ও আমার হাত গুলাকে কামড় মারলো!
আমি- আউচ্চ!
ইতি- জান পাখি ব্যথা পাইছো?(হেসে,বাহ কি মায়াবী হাসি ওর)!!
আমি- তোমার ওই হাসি দেখার জন্য আমি এই ব্যথা সারাজীবন পেতে চাই,তোমার ওই মায়াবী হাসি যে আমার ব্যথার কিছুই না!
ইতি- উম্মাহ, ওই দিকে চলো ফুচকা খাই?!
আমি- হুম, চলো!
তারপর গেলাম গিয়ে ফুচকা অর্ডার দিলাম ২টা কিন্তু ইতি বল্লো একটা!
আমি- একটা কেন?!
ইতি- একটা ২জনে মিলে খাবো?!
আমি- আচ্ছা, তারপর ফুচকা দিয়ে গেলো,, আমি একটা খাইতে লাগলাম!
আমি- কি হচ্ছে তুমি খাচ্ছোনা কেন?!
ইতি- তুমি খাইয়ে দাও?!
আমি- কি এতো মানুষের সামনে কি ভাব্বে ওরা?!
ইতি- কি ভাবার আছে হুম আমি তো আমার স্বামীর হাতে খাইবো অন্য কারো হাতে তো নয়, আর কে কি ভাব্বো তাতে আমার কিছু যাই আসে না?!
আমি- কিন্তু?!
ইতি- কোনো কিন্তু না নয়তো আমি খাবোনা তাইলে?(অভিমান করে ওই দিকে মুখ ঘুড়িয়ে)!
আমি- হুম নাও হা করো?!
ইতি- হুম!ওকে আমি খাইয়ে দিতে লাগলাম ও আমাকে খাইয়ে দিতে লাগলো! ঘুরতে ঘুরতে রাত হয়ে গেলো।
নিশি রাতের চাঁদের জ্যোৎস্নাময় আলোতে ২জন ২জনের হাত ধরে হাটতে লাগলাম আর চাঁদ টা কে তার আলো অনুভব করতে লাগলাম আর ২জন মনে মনে বলতে লাগলাম এই ভাবে যেনো প্রতিটা মুহূর্ত তো প্রতিটা সেকেন্ড ২জন এক সাথে কাটাইতে পারি আজীবন😍
যাইহোক তারপর মলে গিয়ে শপিং করে বাসাতে ফিরলাম ইতি সবার জন্য কাপড় কিনলো আমার জন্য একটা পাঞ্জাবী কিনলো ওর পছন্দ মতো,, ইতি আমার পছন্দের সব গুলা শাড়ি কিনলো!
বাসাতে এসে!
ইতি- আম্মু এই গুলা আপনার জন্য?!আর আপু এই গুলার আপনার জন্য?!
ওরা- এই সবের কি দরকার ছিল?!
ইতি- প্লীজ আম্মু আপু আমার অনেক পছন্দ হয়ছে আর তাছাড়া আম্মুর সব কাপড় গুলা পুরান হয়ে গেছে নতুন নিয়ে আসলাম পছন্দ হয়ছে আপনাদের?!! (খুশি হয়ে)!!
আম্মু আপু – হুম অনেক!
আমি রুমে চলে আসলাম এসে ক্লান্ত তাই শুয়ে পড়লাম ইতি আম্মু আর আপুর সাথে গল্প করে তার এসে ঘুমিয়ে পড়লো!
সকালে ফোন আসাতে আমার ঘুম ভাঙলো উঠে দেখি রিয়া ফোন দিছে!রিসিভ করলাম!
আমি- হ্যালো বল?!
রিয়া- তোর সাথে কথা আছে কলেজে একটু তাড়াতাড়ি আসতে পারবি আসলে একটু ভালো হতো?!!
আমি- আচ্ছা wait কর আসতেছি?!
রিয়া- আচ্ছা রাখি?!!
তারপর উঠে ফ্রেশ হতে গেলাম এসে দেখি ইতি এখনো ঘুমিয়ে আছে,, তাই ওরে আর ডাক না দিয়ে ওর কপালে একটা চুমু দিয়ে আম্মুকে বলে চলে গেলাম!
ওই দিকে কিছুক্ষণ পর ইতি ঘুম থেকে জেগে আরমান বিছানাতে না পেয়ে খুঁজতে লাগলো কোথাও না পেয়ে আম্মু কে জিজ্ঞাসা করলো!
ইতি- আম্মু আপনার ছেলে কয় দেখছিনা যে?!
আম্মু- বল্লো নাকি ওর কলেজে কি কাজ আছে তাই তাড়াতাড়ি চলে গেছে,, তুমি ঘুমিয়ে ছিল তাই আর ডাক দেয় নাই?!
ইতি- ও আচ্ছা ও ব্রেকফাস্ট করে গেছে?!
আম্মু- না?!
ইতি- আচ্ছা!
তারপর ইতি নিজের হাতে রান্না করে আরমআনে সব পছন্দের খাবার গুলা সাথে নিয়ে কলেজে গেছে,, আরমানের সাথে বসে কেন্টিনেতে এক সাথে ব্রেকফাস্ট করবে তাই,, ও না খেয়ে চলে গেলো!আজ সে তার আরমানের জন্য সব কিছু নিজের হাতে রান্না করছে!
ওই দিকে রিয়ার একটা সমস্যা আরমানকে বলতে লাগলো আর হঠাত করে রিয়ার চোখের মধ্যে কি যেনো একটা পড়লো ও ব্যথা আর ঝালে কাৎরাচ্ছে আরমান ওর চোখ দেখতে লাগলো আর ফুঁ দিতে লাগলো,, আস্তে আস্তে করে আর ফুঁ দেওয়ার কারণে রিয়ার একদম কাছে চলে গেলো। আর ইতি এসে পিছন থেকে এই সব দেখে রাগে কান্না করতে করতে চলে গেলো,, ইতি ভাবতে লাগলো আরমান রিয়াকে কিস করছে কারণ আরমানের পিছনে দিকে ইতি ছিল, আর রিয়ার সামনের দিকে,, যার কারনে অনেক টা মনে হচ্ছে কিস করার মতো এই দেখে ইতি কান্না করতে করতে চলে গেলো,,, আরমান দেখার আগেই ওই দিকে ইতি বাসাতে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বাথরুমের মধ্যে বসে বুক ফাটিয়ে কান্না করতেছে ইতি,,, কারণ নিজের আপন জন কে কারো সাথে এই ভাবে দেখলে সবার কষ্টে বুক ফেটে যাওয়ার কথা তাই ইতির ও তাই হচ্ছে,,ইতি ভাবছে তাইলে কি আরমান ওকে ধোকা দিছে মিথ্যা অভিনয় করছে,,!!
আর ওই দিকে আরমান ভাবতেছে ইতিকে কেনো এখনো কলেজ আসছে না,, তাই ইতিকে বাড়ে বাড়ে ফোন দিতে আছে আর চিন্তা করতাছে কেনো ফোন ধরছে না,, ইতি কেনো ফোন ধরে না,, ইতির তো ফোন না ধরার কথা না!
👇
চলবে……….