অফিসের বস যখন রোমান্টিক বউ পর্ব-০৪


রিদির আব্বু: বর মানে,,,,,,,অফিসের বস যখন রোমান্টিক বউ
আমি: কিছু না।
রিদির আব্বু: আঅফিসের বস যখন রোমান্টিক বউচ্ছা যাইহোক ঐ তেলটা কবে পাবো,,,,,
আমি; কাল পাবো?
রিদির আব্বু: ওহ আচ্ছা,,,,,
এবার ওর মেয়ে রিদি বেরিয়ে আসতেই আমার দিকে তাকিয়ে…..
রিদির আব্বু: চুপ চুপ চুপ, এই কথা আমি আর তুমি ছাড়া কেউ না জানে,,,,,
আমি: আরে কি বলেন যাতা, ঘুষ দিলে কি কেউ কিছু বলে নাকি (একটা এলাচি হাসি মেরে)

_শ্বশুর বুঝতে পেরে গেছে আমার টাকা চাই, সাথে সাথে কিছু টাকা দিয়ে আমার দিকে স্মাইল দিলো।
রিদি এবার গাড়িতে উঠলো এবং আমরা কফিশপে গেলাম, কারন খুব ঠান্ডা লাগছিলো আর ওদিকে সন্ধাও হয়ে গেছে,,,,,,

__রিদি কফির কাপে চুমুক দিচ্ছে আর আমিও নিচ্ছি ওর দিকে মাঝে মাঝে তাকাচ্ছি আর দেখছি কেমন জানি কাঁপছে, মেয়েরা ফ্যাশানের জন্য শীতের বস্ত্রটা পড়তেও ভুলে যায়, আমি এবার আমার জ্যাকেটটা খুলে ওর দিকে এগিয়ে দিয়ে….
আমি: ম্যাম যদি কিছু না মনে করেন জ্যাকেটটা পড়ে নেন।
রিদি আমার দিকে তাকিয়ে হাল্কা হেসে….
রিদি: না আপনার তো ঠান্ডা লাগবে,,,,,,
আমি: না আমার ঠান্ডা লাগবে না, আপনি এখন অনেক কাঁপাচ্ছেন প্লিজ পড়ে নিন।
রিদি: হাহাহা না না আপনিই পড়ে নিন,,,,,

_আমি এবার উঠে জোর করে রিদিকে পড়িয়ে দিলাম। আমি ভেবেছিলাম আমায় হয়তো থাপ্পড় মারবে বাট আমার দিকে একভাবে তাকিয়ে ছিলো। আমি হাল্কা হেসে ওর হুঁশ ফিরিয়ে দিলাম।

রিদি: আপনি সত্যিই অনেক ভালো মানুষ (হাল্কা হেসে)
আমি: সবই আপনাদের মতো মেয়েদের কৃপা,,,,,
রিদি: এই সব মেয়েদের মানে? আপনি আরো মেয়ের সাথে কথা বলেন নাকি (হালকা রেগে গিয়ে বলল)
আমি: বলতে তো চেষ্টা করি বাট কেউ রিপ্লাইইই দেয় না,,,,,

সাথে সাথে রিদি হোহো করে হেসে উঠে….
রিদি: হাহাহাহা।
আমি: ওই আপনি কি জানেন?
রিদি: কি?
আমি: বেশির ভাগ মেয়েরা রাতে ওটা করে ঘুমাতে পারে না।
রিদি: কি?
আমি: আরে বাব্বা ওটা (একটু লজ্জা পেয়ে)
রিদি: কি ওটা?
আমি: আরে বাব্বাহ ওটা ওটা, যেটা করে ঢুকিয়ে, লজ্জা লাগছে পুরোটা বলতে পারবো না।
রিদি লজ্জা পেয়ে……..
রিদি: কিহহহহহহহ )রেগে গিয়ে বলল)
আমি: আরে বাবা ব্রাশ (শালা ডাইরেক্ট পল্টি মারছি)
রিদি: হাহাহা, আমি তো অন্যকিছু মিন করে ছিলাম।
আমি: অন্যকিছু মানে,,,,
রিদি: না কিছু না, চলুন উঠি,,,,,

_এবার বিল পে করে আমায় বাসায় ড্রপ করে দিয়ে চলে গেলো।
রাতে আমি PUBG খেলছি এখন বাজে প্রায় ১২.৩০, হঠাৎ দেখি একটা আননোন নাম্বার থেকে কল এলো, আমি তো দেখে অবাক আননোন নাম্বার থেকে কল আসা, মানে নিশ্চয় কোম্পানী। আমি ফোন কেটে দিলাম আবারো ফোন এলো আমি এবার ফোন রিসিভ করে….
আমি: হ্যালো কে?
রিদি: ফোন কাটলেন কেন?
আমি: কে আপনি?
রিদি: আমি রিদি।
আমি: ওহ আচ্ছা জ্বি বলুন….
রিদি: কিছু না।
আমি: ওহ আচ্ছা। আচ্ছা রাখুন আমি একটু বিজি আছি।
রিদি এবার রাগ দেখিয়ে……
রিদি: দশ মিনিটের মধ্যে আমার বাসায় হাজির হন আপনি, নাহলে আপনার খবর আছে,,,,,,,

__হায় হায় আমি স্বপ্ন দেখছি না তো, তারমানে রিদি এতোরাতে ডাকছে মানে কিছু তো একটা হবে, বেশি না ওকে শুধু জড়িয়ে হয়ে ওর নাকে নাক ঘষবো। উফ আল্লাহ আমার বুকের ভেতরটা যেন কি হচ্ছে না এখন,,,,,,,

আমিও তবুও একটু গম্ভীর হয়ে,,,,,,
আমি: কেন?
রিদি: আমার আইসক্রিম খেতে খুব ইচ্ছা করছে?
এটা শোনার সাথে সাথে আমার মনটা ভেঙে গেলো,
শালা আমি কি ভাবলাম, আর কি হলো। ধুর ভালো লাগে না,,,,,
আমি: তো আমি করবো আমি পারবো না এতো শীতে বাইরে বের হতে।
রিদি: যদি না আসেন চাকরি থাকবে না।
এরকম চাকরি ভাই, রাত দুপুরে হুমকি দেওয়া হচ্ছে আমায়।

_আমি এবার রিদিদের বাসার সামনে হাজির হলাম ওর আইসক্রিম নিয়ে,,,,,,

আমি ফারিয়ার বাসার সামনে বাইক পার্ক করে কলিং বেল টিপতেই রিদি দরজা খুলে দিলো, আমি থরথর করে কাঁপছি আর রিদি আমায় দেখে হাসছে।
রিদি: ভেতরে আসুন (হালকা হেসে)
আমি: জ্বি,,,,,
আমি এবার ভেতরে গেলাম ওর হাতে আইসক্রিম দিলাম আর ও কিচেনে গিয়ে ফ্রিজে রেখে এসে,,,,,
রিদি: আপনি সত্যিই আসবেন বলে আমার জানা ছিলো না,,,,,

আমি হাল্কা হেসে কাঁপতে কাঁপতে….
আমি: চাকরি রক্ষা করতে আমি সব কাজই করতে পারি আর আপনার রক্ষার্থে আমি আমার জীবনটাও বাজি রাখতে পারি,,,,,
রিদি: তাই
আমি: চলুন গিয়ে বসি।
রিদি: ওকে চলুন।
এবার আমরা দুইজন বসলাম একে অপরের চোখে চোখ রেখে।
রিদি: তা বলুন কি নিবেন,,,,,,,
রিদি: নেওয়ার তো অনেক কিছুই আছে এই বাসা থেকে তবে এই বাসার সবথেকে মূল্যবান সম্পত্তিটা আগে চাই।

রিদি এদিক ওদিক তাকিয়ে….
রিদি: তেমন তো সামনাসামনি কোনো মূল্যবান জিনিস নেই।
আমি: আপনি হয়তো দেখতে পাচ্ছেন না, তবে এই বাসায় একটা চাঁদ আছে যেটার উপর আমি ভাগ বসাতে চাই,,,,,
ফারিয়া হাল্কা হেসে….
রিদি: চাঁদ তো ওই দূর নীল আকাশের মেঘের মাঝে আছে।
আমি: তাতে কি, সব চাঁদ আকাশে থাকে না কিছু চাঁদ চোখের সামনেও থাকে,,,,,,

__এটা বলতেই রিদি লজ্জা পেয়ে মুখের সামনে ঝুলে পড়া চুল গুলো কানের উপর টেনে নিলো। হায় আমি তো ক্রাশ খেলাম।
রিদি: তাই। তা কে চাঁদ শুনি?
আমি: আমার চোখের সামনে এখন যে বসে আছে সে চাঁদ।
রিদি: হাহাহা তাই, আমার তো বফ আছে,,,,,,

_কথাটা শুনে কিছুটা ঘাবড়ে গেলাম, তারপরেই ভাবলাম মেয়েটা তো এই কথাটা মুখে সর্বদা রাখে, বাট অন্যকিছুও তো হতে পারে, সিংগেল নাকি সেটা আমার এখন নিঞ্জা টেকনিক দিয়ে জানা লাগবে দেখছি,,,,,,

আমি: ওহ আচ্ছা, তাহলে আপনার বফকে ডাকতে পারতেন এই লেট নাইটে আমার কেন ঘুম নষ্ট করলেন শুনি,,,,,
রিদি: হিহিহি বফ এখন ঘুমাচ্ছে।
আমি: ওমাগো, নিশ্চয় আপনি ঘুম পাড়িয়েছেন কিছুক্ষন আগে।
রিদি: জ্বি।
আমি এবার হাল্কা হেসেহেসে….
আমি: হুম বুঝলাম। তো ওনাকে একবার কল করুন তো দেখি আপনাকে কতো ভালোবাসে।
রিদি: ও আমায় অনেক ভালোবাসে।
আমি: ওমাগো টুরু লাভ,,,,,
রিদি: জ্বি।
আমি: তো বলুন ১৪ ফেব্রুয়ারি কোথায় যাওয়ার প্লান আছে।
সাথে সাথে ফারিয়া মাথায় হাত দিয়ে….
রিদি: বফই নাই তো যাবো কই,,,,,
আমি হাল্কা হেসে….
আমি: এই তো বললেন আপনার বফ আছে, আবার এখনই না,,,,,,
রিদি: জ্বি জ্বি জ্বি হ্যাঁ হ্যাঁ আছে তো। তাকে নিয়েই যাবো।
আমি: তাই।

হিহিহি আমি পুরাই বুঝতে পারছি এখন রিদি সিঙ্গেল, চলেন একটু মেয়েটারে পটানোর ট্রাই করি।
আমি: আচ্ছা ম্যাম একটা কথা বলবেন….
রিদি: জ্বি….
আমি: আপনার এই রূপের রহস্য কি জাতি জানতে চায়?

ভাইরে মেয়ে তো পুরাই লজ্জায় রাঙা হয়ে গেছে,,,,,,
রিদি: জানিনা…
আমি: তাহলে আমি বলি…
রিদি: হু….
আমি: সবই ময়দা আর ক্রিমের খেলা,,,,,
রিদি এবার রেগে….
রিদি: ওই ময়দা মানে
আমি: ওই যে মেকাপ
রিদি: এই মার খাবেন কিন্তু
আমি: আপনার ওই মায়াবীর শরীরের নরম তালুর মার খেতে খুব ভালো লাগবে
রিদি: ওই আপনি এমন কেন?
আমি: কেমন শুনি?
রিদি: কথায় কথায় রাগান…
আমি: রাগাতে যে আপনাকে ভালো লাগে, আর থেকেও বেশি ভালো লাগে আপনার ওই রাগান্বিত ফেসটাকে দেখে।
রিদি: আমাকে পটানোর ট্রাই করছেন বুঝি….
আমি: উহু, একেবারে বিয়ে করে আমার বাসার বৌ করে তুলতে চাইছি,,,,,
রিদি: সাহস তো আপনার কম না আমার বাসায় এসে আমার সামনে এসব বলছেন,,,,,
আমি: আপনার মতো বৌ পেতে গেলে একবুক সাহস নয়, এক বুক ভালোবাসা চাই, যেটা আমার অনেক আছে,,,,

রিদি এবার মাথাটা তুলে হাসছে।

আমি ওর দিকে তাকিয়ে……
আমি: এভাবে হাসবেন প্লিজ….
রিদি: কেন?
আমি: আমি কিন্তু থানায় ডায়েরি করতে বাধ্য হবো।
রিদি: কি জন্য করবেন শুনি?
আমি: আপনার হাসিতে এতোটা মিষ্টি আছে যে আমার ডায়াবেটিস হয়ে যেতে পারে, আমার বেশি মিষ্টি সহ্য হয় না,,,,,,,
রিদি: হাহাহা তাই নাকি..
রিদি এবার কিচেন থেকে কফি নিয়ে এসে আমায় দিলো। আমি কফির কাপে চুমুক লাগাতেই বাপরে, শালা এটা কফি নাকি অন্যকিছু। ইশ, আম্মু গো তোমার ফিউচার বৌমা মনে হয় কিছুই পারে না তোমায় সবটা ম্যানেজ করতে হবে,,,,,,,,

————–চলবে না দৌড়াবে————–

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *