অফিসের বস যখন রোমান্টিক বউ পর্ব-১৭


এবার শুনতে পাচ্ছি আব্বু ডাক দিচ্ছে মধুর কোকিল ডাকে, আহা শুনে পুরো দিল খুশ হয়ে যাচ্ছে
আব্বু:- নাঈম বেটা তাড়াতাড়ি আয়, আর কত লেট করবি?

_আমি শালা কান্না করবো না হাসবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিনা। আমি কোনোরকম ফ্রেশ না হয়েই আমি বাইরে বেরিয়ে এলাম।

__শালা এ বিয়ে আমি যেভাবে হোক ভাঙবো। কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ বিয়ের প্রস্তাব
আমি হাসিমুখে সবাইকে সালাম দিলাম।
এবার পাত্রী পক্ষের বাবা….
পাত্রী পক্ষের বাবা- বাবা তুমি কি করো?
আমি- তেমন কিছু না মেয়েদের সাথে ফ্লাট করি।

এবার হেসেহেসে পাত্রী পক্ষের বাবা আমার আব্বুর দিকে তাকিয়ে..
পাত্রী পক্ষের বাবা- হাহহাহাহা আপনার ছেলে দেখি খুব মজা করতে পারে।
আমি- জ্বি না আঙ্কেল আমি ফ্লাটই করি মেয়েদেরকে, কোনো মজা করছি। আর হ্যাঁ আমি নেশাও করি, বিড়ি গাঁজা মদ সিগারেট আফিম সব করি। এবার বলুন আপনাদের পছন্দ আমার মতো একটা নেশাখোর ছেলেকে।
সাথে সাথে আব্বু হেসেহেসে….
আব্বু- ভাই সাহেব আমার ছেলেটা একটু বেশিই মজা করে, ও কোনোরকম নেশা টেশা করে না। আমি বলছি ওর হয়ে আর হ্যাঁ বিয়ে পাক্কা আপনি ধরে নিতে পারেন। (আব্বু)
আমি আব্বুর দিকে রাগী লুক দিয়ে,,,,,,,,
আমি- আব্বু ঠিক হচ্ছে না কিন্তু….
আব্বু আমার দিকে তাকিয়ে কোনোরকম রিয়েক্ট না করে…
আব্বু- আপনারা যদি বলেন এই মাসেই বিয়েটা সেরে নিতে পারি।
আমি আম্মুর কাছে গিয়ে……
আমি- আম্মু এটা কি হচ্ছে জোরাজুরি বিয়ে কেন?
আম্মু- তো কি করবো তোর তো বয়স হচ্ছে তোর তো এবার বিয়ে দেওয়া দরকার?
আমি- আমার পছন্দের অপছন্দের ব্যাপারটাও তো আছে নাকি।
আম্মু- মেয়ে খুব দেখতে সুন্দর।
আমি- আম্মু সেটা না। আমি একজনকে খুব ভালোবাসি।

এটা বলতেই আম্মু আমার দিকে ফিরে তাকালো…..
আম্মু- সত্যি, তোর পছন্দ আছে নাকি মেয়ে।
আমি- জ্বি আম্মু।

আমি মাথা নামিয়ে বললাম কথাটা।
আম্মু- আগে বলবি তো গরু একটা।
আমি- তোমরা কি জানো না নাকি এই বয়সে ছেলে মেয়েদের পছন্দসই একটা মানু্ষ থাকে।
আম্মু- ওহ আচ্ছা, আমি দেখছি দাঁড়া কি করা যায়?

এবার আব্বুকে ডেকে কি যেন বলে ওদের বিদায় দিলো।
আমি ফ্রেশ না হয়েই আব্বুর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে শীতলের দোকানে চলে এলাম চা খেতে। রাগও লাগছে খুব আর হাসিও পাচ্ছে খুব, শালা একটা অচেনা মেয়ে আমার পাশে ঘুমাবে কিভাবে? তার কি লজ্জাসরম নাই, তার থেকে একটা চেনা মেয়ে পাশে ঘুমালে কোনো প্রব্লেম হবে না,,,,,,,,
(পাঠক-পাঠকীরা আপনাদের উদ্দেশ্য করে একটা কথা বলি, আপনাদের সবার জন্য একটা মেসেঞ্জার গ্রুপ খোলা হয়েছে, এই গ্রুপে শুধু আমার নতুন কোনো গল্প এর লিংক বের হলে, ওই গ্রুপে লিংক দেওয়া হবে তাহলে আপনাদের জন্য সুবিধা হবে, সো জারা জারা এই গ্রুপে এড হতে চান তারা আমাকে ইনবক্সে নক করুন অথবা কমেন্ট করুন, গ্রুপ নাম: NR Story)
_মাচায় বসে বসে পা দুলাচ্ছি, খুব খুদাও লাগছে বসে বসে চার পাঁচটা পাউরুটি খেয়েছি তবুও খুদা লাগছে। তাই আমি বাসায় গেলাম। আসতেই আব্বুর ভাষন শুরু হয়ে গেলো, শালা এমন ভাষন আমি জীবনেও শুনিনি।
শুনুন তাহলে আপনারাও….
আব্বু- নাঈমের আম্মু ওকে বলে দাও আমার ডিসিশনেই ওকে বিয়ে করতে হবে? না জানি কোন মেয়ে যে এর পাল্লায় পড়েছে। নাঈমের আম্মুর তার কি কোনো কান্ডজ্ঞান নেই নাকি, আমি তো ভাবছি এই ছেলেটাকে কে পছন্দ করলো। তার কি এতোটাই পছন্দ খারাপ।

__সাথে সাথে আম্মু এবার রেগে গেলো, আমার পছন্দের নিয়ে কথা এলে আম্মু রেগে যায়।
আম্মু চোখ রাঙিয়ে…….
আম্মু- এই শোনো তুমিও কি শারুখ খান নাকি, তাহলে তোমাকেও আমার পছন্দ করা তখন ঠিক হয়নি। আর হ্যাঁ খবরদার আমার ছেলের নামে কিছু বলবে তো।

আব্বু এবার আমতাআমতা করে…..
আব্বু- জ্বি জ্বি জ্বি সেটাই তো, তোমরা মা ছেলে মিলে এক হয়ে গেছো এবার তো আমায় ডুবাবে তোমরা।

আমি ওদের ভাষন শুনছি একজায়গায় দাঁড়িয়ে এবার আব্বু আমাকে দেখতেই……
আব্বু- এই যে এসে গেছে অন্ন ধ্বংস করার মালিক।
আমি আব্বুর দিকে আড়চোখে তাকিয়ে…..
আমি- আমিও এখন অন্ন কামায় করে আনি। মানে পয়সা।
আমি- এই দেখেছো তোমার ছেলে টাকা কামিয়ে আনে তারজন্য আবার আমায় বলছে।
আম্মু এবার চিৎকার করে………
আম্মু- আহহহহহহহহ, তোমরা চুপ করবা, তোমাদের বাপ বেটার জ্বালায় দেখি আমার শান্তি নেই।

__আমি আর আব্বু কোনো কিছু না বলে যে যার রুমে চলে এলাম।
একটু পরে আম্মু আমার রুমে খাবার দিয়ে গেলো। আমি খাবার খাচ্ছি এখন আর মোবাইল টিপছি। হঠাৎ কে যেনো কাশি দিয়ে…
— উহুহুহুহু…
আমি এবার মাথা তুলতেই অবাক
ফারিয়া, রিদি এখানে কি করে
ও আল্লাহ গো।
আমি- এই তুমি এখানে কি করো?
রিদি:- বাহ রে আমার শ্বশুরঘর আর আমি এখানে কি করি মানে?
আমি- নাহ নাহ নাহ মানে আম্মু আব্বু তোমায় বাসাতে ঢোকার পারমিশন দিলো কিভাবে শুনি?
রিদি এবার হেসেহেসে….
রিদি:- আমি তো তাদের বৌমা তাই হয়তো দিয়েছে।
আমি সাথে সাথে দরজায় লক দিয়ে….
আমি- বাবু তুমি প্লিজ এখনই চলে যাও, নয়ত আমার হিটলার আব্বু দেখে নিলে মুশকিল হয়ে যাবে।

রিদি সাথে সাথে চিৎকার করে…….
রিদি:- আঙ্কেল আঙ্কেল।

এইরে আমায় কেলানি খাইয়ে ছাড়বে দেখছি,,,,,,,
আমি সাথে সাথে ওর মুখ টিপে ধরতেই ও আমার আঙুল কামড়ে দিলো।
আঊ- উফ বাবাগো। কামড়ে দিলো গো।
সাথে সাথে রিদি হিহিহি করে হেসে উঠলো।
আমি ভয়ে ভয়ে……
আমি- বাবু তুমি প্লিজ চলে যাও, আব্বু দেখে নিলে মুশকিল হয়ে যাবে।

রিদি এবার হেসেহেসে….
রিদি:- হলে হবে।

এটা বলেই থালা থেকে এক টুকরো রুটি আমার মুখে তুলে দিলো।

আমি পুরোটা মুখের ভেতরে ঢুকাতে যাবো ঠিক তখনই ওই রুটির টুকরো রিদিও কামড় দিয়ে ধরল। ওরে ভাই রে আমার ঠোঁটের সাথে ওর ঠোঁটের কিছু দূরত্ব ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে একভাবে আর আমিও।
আমিও এবার রুটিটা কামড়াতে কামড়াতে একপর্যায়ে ওর ঠোঁটের স্পর্শে এলাম, সাথে সাথে ও চোখ বন্ধ করে দিলো। আর শ্বাস ফেলছে খুব জোরে জোরে।

___আমি জামাতেই হাতটা মুছে ফেললাম, লাকি ড্রয়ের কুপন ভাই ছাড়া যাবে না। আমি এবার ওর মুখটা ধরে ওর ঠোঁটের ভেতরে আমার ঠোঁট ঢুকিয়ে দিলাম আর রুটিটা ওর মুখ থেকে আমার মুখে নিয়ে এসে চিবাচ্ছি।

রিদি লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।
আমার উপরে এবার চেপে চুলগুলো এক সাইডে করে আমার কপালে আমার গালে আমার চিবুকে কিস করতে লাগলো। আমার মাথাটা ধরে আমার দিকে তাকিয়ে……
রিদি: আমার শুধু তুমি।

_এটা বলেই ওর বুকের বাম সাইডে আমার মাথা রাখলো। আমি ওর বুকের মাঝে একটা চুমু খেতেই ভাইরে মেয়ে তো পুরাই,,,,,,

_রিদি লজ্জা পেয়ে এবার আমার উপর থেকে নেমে গেল। আমি এবার ওকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ওর বাম ডান ঘাড়ে কিস করতে করতে…….
আমি- যদি আমার আব্বু জানতে পারে তাহলে আমায় আজই বাসা থেকে বের করে দেবে।

রিদি চোখ বন্ধ করে…..
রিদি- উহু বের করবে না।
হঠাৎ আম্মু দরজায় নক দিয়ে……..
আম্মু- কি রে তোদের কাজ হলো?

আমি শালা শুনেই পুরাই অবাক, কাজ মানে আম্মু কি সবটা জেনে গেল নাকি,,,,,,,,

রিদি এবার চিৎকার করে…..
রিদি:- জ্বি না আন্টি এখনো বাকি আছে, সব জায়গা গুলাতে সাইন করতে হবে তো।

এটা বলেই আমার নাকে নাক ঘষে…..
রিদি:- তোমার ছেলের তো এখনো সব জায়গাতে কিসই করা হয়নি। (ফিসফিস করে)
আমি লজ্জা পেয়ে…..
আমি- এই রেপ করবা নাকি।
রিদি:- হুম করে নিতেও পারি। তুমি তো এখন আমারই।
আমি- শুনেছি ছেলেরা মেয়েদের রেপ করে বাট এখানে তো পুরাই উলটা।

রিদি এবার হেসে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে……
রিদি:- নাঈম জানো আমি ভাবতে পারিনি যে তোমায় আমি কখনো এতোটা ভালোবেসে ফেলবো। তুমি প্রচুর আমার সাথে ফ্লাট করতে আমি জানতাম তুমি ফ্লাট করতে আমাকে পটানোর জন্য। কিন্তু তুমিই আমায় বেশি হাসাতে সারাদিনে। খুব ভালো লাগতো তোমার সাথে কাটানো সময় গুলো। খুব ভালোবাসি তোমায় আমি। আর হ্যাঁ অন্যজনের সাথে ফ্লাট করলে তোমার খবর আছে, আর যদি কখনো ছেড়ে যাওয়ার কথা আসে তাই কলমের নিব আমি ভেঙে নিবো বলেই দিচ্ছি।
আমি- এই কলমের নিব মানে?

————–চলবে না দৌড়াবে————–

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *