আমার কথা শুনে নিধীর মুখ টা কালো হয়ে গেলো।
আমি ওরা খাবারের একটুও প্রসংসা করলাম না এটা ভেবে ও কষ্ট পাচ্ছে৷।।
আমি খেয়ে রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে খাটে বসে আছি,, নিধীর জন্য ওয়েট করতেছি,, এখনো আসে না কেন , দুর কেমন ডা লাগে।।।।
একটু পড়ে রুমে নিধী আসলো ওর মনটা এখন ও খারাপ।। আমি একটু চেচিয়ে বললাম আজকের রান্না টা খোব ভালো লাগছে। প্রতিদিন ই এই হাতের রান্না খেতে চাই।
এই কথা বলাতেই নিধী দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে দরলো। আমি বসে ছিলাম খাটে আমি পড়ে গেলাম নিধী আমার উপরে পড়লো। নিধীর চোখে পানি,, আমি নিধীর চোখের পানি মুছে দিলাম।
আমিঃ কি হয়েছে বাবু কাঁদতেছো কেন?
নিধীঃ আমি এতো কষ্ট করে রান্না করলাম তোমার জন্য। বাট কেমন হয়েছে তুমি বললা না, জানো আমার কতোটা খারাপ লেগেছে।।।
আমিঃ আম্মু আব্বুর সামনে বলতে লজ্জা করলো।
নিধীঃ কি এক লজ্জাবতী জামাই পাইছি। সব কিছু করার সময় ত লজ্জা করে না।
আমিঃ তখন লজ্জা পালিয়ে যায়।।
নিধীঃ হ্য বুঝতে পারছি।
আমার ফোনের রিংটোন টা বেজে উঠলো,, তাকিয়ে দেখি নানু ফোন দিছে।।
আমিঃ কেমন আছো নানু?
নানুঃ ভালো, তুই?
আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ।
নানুঃ বিয়ে করে ত বুড়ী টাকে ভুলেই গেছিস।
আমিঃ নিজেকে আমি ভুলতে পারি তোমাকে যাবে মা ভুলা।
নানুঃ হয়ছে চাপা কম মার। আমাদের বাসায় আসবি কবে?
আমিঃ কালকে ত কক্সবাজার যাবো হানিমুনে,, কক্সবাজার থেকে এসে।
নানুঃ ওকে তাহলে রাখি
আমিঃ ওকে বাই।
ফোন টা কেটে দিলাম,,
আমিঃ রেডি হয়ে নাও শপিং এ যেতে হবে।
নিধীঃ আমার কিছু লাগবে না ত এখন।
আমিঃ যা বলছি তাই করো।
নিধীঃ ওকে ওকে।
এরপর নিধী রেডি হয়ে আসলো,, আমি আর নিধী নিচে চলে গেলাম,, নিচে গিয়ে দেখি আম্মু নেই,,
এরপর আম্মুর রুমে চলে গেলাম। দেখি আম্মু শুয়ে আছে।।
আমিঃ আম্মু
আম্মুঃ আয় বাবা বস।
আমিঃ আম্মু একটু শপিং এ যেতে চেয়েছিলাম।
আম্মুঃ ওকে যা সাবধানে যাবি।
আমিঃ আচ্ছা।
এরপর আমি আর নিধী মেন দরজার বাহিরে আসলাম। নিধী বললো বাইকে যাবে,, তাই আমি বাইকে বের করলাম। নিধী আমার পাসে বসলো,
বিয়ের আগেই যে ভাবে জড়িয়ে দরে বসতো,,
তাহলে বুঝেন এখন কিভাবে দরেছে।।।।
আমরা শপিংমলে চলে গেলাম,, শপিংমল থেকে যাই কিনলাম সব ম্যচিং করা। শপিং শেষে বাসায় চলে আসলাম,, বাসায় এসে আমি আমার রুমে চলে আসলাম।।
আমিঃ সব কিছু গুছিয়ে নাও,।
নিধীঃ ওকে।
আমিঃ একটু বাহিরে যাবো আমি,
নিধীঃ কেনো?
আমিঃ ফ্রেন্ড দের সাথে দেখা করতে।
নিধীঃ তারাতারি বাসায় ফিরবে কিন্তুু।
আমিঃ যাবো আর আসব সোনা।।।।।।
নিধীঃ ওকে।
এরপর আমি নিধীর কপালে একটা চুমু দিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম। গাড়ি নিয়ে বের হলাম আমি কলেজে যাবো ,, এই টাইমে ওরা সবাই কলেজেই থাকবে। আমি কলেজে পৌছে গেলাম, বাসা থেকে কলেজ তেমন একটা দুরে না।।। আমি কলেজে চলে গেলাম, ওরা আমাদের আড্ডা খানায় ই বসে আছে।।।।
জয়ঃ বাহ তুই কলেজে?
আমিঃ হ্য আসলাম,, কালকে আমি আর নিধী কক্সবাজার যাচ্ছি।।
হিয়াঃ সাবধানে যাবি। হ্যপি জার্নি।
আমিঃ ধন্যবাদ৷
এরপর অদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে আসলাম,, বাসায় আসতে আসতে দুইটার উপড়ে বেজে গেলো,, আমি এসে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।। ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে রুমে চলে আসলাম । আমি বিছানায় বসে পড়লাম। নিধী আসলো রুমে।
নিধীঃ এতো লেট হলো কেনো?
আমিঃ একটু আড্ডা দিয়ে আসলাম।
নিধীঃ শাওয়ার নিছো?
আমিঃ হ্য
নিধীঃ আমাকে রেখে ফ্রেশ হলে কেন??
আমিঃ স্যরি কালকে থেকে একসাথে হবে।
নিধীঃ না আমার সাথে আবার ও শাওয়ার নিতে হবে।
আমিঃ এখন মাত্র ওয়াশরুম থেকে বের হলাম।
নিধীঃ আমি জানি না কিছু আমাকে ছারা ফ্রেশ হয়েছো এটাই তোমার শাস্তি।।।
আমিঃ আর কি করার চলো।
এরপর আমরা ফ্রেশ হতে চলে গেলাম,, দুজনে দুষ্টমি করতে করতে আমার শাওয়ার নেওয়া শেষ হলো।।। আমরা রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে ড্রেস চেইঞ্জ করে, নিচে চলে গেলাম, লাঞ্চ করতে।
লাঞ্চ করে আবার ও রুমে চলে আসলাম। আমি রুমে এসে শুয়ে আছি, একটু পড়ে নিধী ও আসলো এসেই আমার বোকে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে।।।
নিধীঃ আমি না কখনো বিমানে উঠিনি?
আমিঃ ত।
নিধীঃ বাসে গেলে ভালো হতো না।
আমিঃ কেন?
নিধীঃ আমার ভয় করে।।।
আমিঃ আমি থাকতেও ভয় পাবা।
নিধীঃ না বাট কখনো ফ্লাইটে উঠি নি ত।
আমিঃ আমি আছি ত, চিন্তা করো না এখন একটু ঘুমিয়ে নাও।।।।
নিধীঃ আচ্ছা।
নিধীর চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে, আমি নিধীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি,,আবার মাঝে মাঝে কপালে চোখে চুমি দিচ্ছি।। এইভাবে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়লাম।। বিকালে আমাদের ঘুম ভাঙলো।
সন্ধ্যার দিকে ভাইয়া আর আপু আসলো,, রাতে আমরা সবাই একসাথে ডিনার করে অনেক আড্ডা দিলাম। আমি আর নিধী রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম,, সকালে উঠে রেডি হয়ে, আমি আর নিধী নিচে চলে আসলাম ভাইয়া আর আপু আমাদের সাথে এয়ারপোর্টে যাবে,, নিধী আর আমি আম্মু আব্বুকে ছালাম করে বেড়িয়ে পরলাম।।।
আমরা এয়ারপোর্টে চলে গেলাম ভাইয়া আর আপুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমার বিমানে চলে আসলাম। আমার আর নিধীর সিট টা পাশাপাশি।
বিমান আকাশের দিকে উঠতে লাগলো,,
তখনি নিধীর দিকে তাকিয়ে দেখি,,