রিদি/ম্যাম: ওহ আচ্ছা, এখন আপনি যেতে পারেন আর হ্যাঁ যখনই আমি ডাকবো তখনই আসতে হবে কিন্তু নইলে,,,,,,
আমি: জ্বি নইলে আমার টিকিট কাটা যাবে,,,,,,
রিদি/ম্যাম: হাহাহা, আপনি না অনেক মজা করতে পারেন।
আমি: জ্বি আজ তাহলে আমি আসি।
রিদি/ম্যাম: ওকে আসুন।
আমি এবার দরজা টানতেই পিছন থেকে রিদি ডাক দিলো…
রিদি/ম্যাম: এই যে,,,,,,
আমি এবার ঘুরে,,,,,
আমি: আমাকে বলছেন..
রিদি/ম্যাম: জ্বি, আপনার ফোন নাম্বারটা দিয়ে যান…
আমি রিদি চোখের দিকে তাকিয়ে লজ্জা পেয়ে….
আমি: আরে যাহ কি যে বলেন না,এখন থেকে ওসব।
রিদি/ম্যাম: ওসব মানে (হালকা রেগে গিয়ে)
আমি: না মানে রাতে ওই ফিসফিস করে আর কি হিহিহি,,,,,,
রিদি/ম্যাম: ও হ্যালো ফাজলামি করলে কিন্তু এই অফিসে আপনার স্থান নাই।
আমি: ওকে তাহলে আপনার বুকের ফ্লাটে আমায় ভাড়াটিয়া হিসাবে নিয়ে নেন কথা দিলাম ভালোবাসা দিয়ে আপনার মাসিক ভাড়া শোধ করে দেবো (হাল্কা হেসে)
ফারিয়া এবার হাল্কা হেসে আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি করে হেসে….
রিদি/ম্যাম: ফাজলামো না করে নাম্বারটা দেন,,,,,
আমি এবার নাম্বারটা দিয়ে চলে এলাম,,,
__বাসায় আসতেই আম্মু আব্বুকে জানালাম তারা বললো আমি নাকি এতোদিনে একটা মানুষের মতো কাজ করেছি, তারমানে এর আগে আমি যতো কাজ করে সব গাধার মতো নাকি, ওই মাই গড তাহলে তো আমি কাজই করতাম না,,,,,,
__বিকাল তিনটা বাজছে আমি বিছানা ছেড়ে এবার শীতলের দোকানে রওনা দিবো, উফ যা ঠান্ডা, গোটা গায়ে গোটা চারেক জামা আর দুটো টুপি পড়ে বাইরে বের হলাম তবুও কেমন জানিনা আরো ঠান্ডা লাগছে,,,,,,
_শীতলের দোকানে মাচায় বসে পা দুলাচ্ছি, পাশেই মেন রোড। হঠাৎ করে একটা কার দাঁড়ালো, আরে ভাই এটা তো রিদির গাড়ি এখানে দাঁড়ালো কেন,এবার গেট খুলে রিদি নেমে আমার দিকে এগিয়ে আসছে, শালা পুরো মহল্লার মানুষজন আমার দিকে তাকিয়ে আছে, পুরাই ইজ্জত চলে গেলো রে,,,,,
আমার কাছে এসে….
রিদি/ম্যাম: এই নাঈম চলেন, একটু মিটিং আছে,,,,,
আমি: ওকে চলুন,,,,,
আমরা এবার গাড়িতে উঠে বসলাম,রিদি/ম্যাম ড্রাইভ করছে। আমি মাঝে মাঝে ওর দিকে আড়চোখে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি। উফ আল্লাহ মুখটা দেখলে যেন পুরো দেহতে একটা শান্তির ছায়া আসে।
আমি হাল্কা হেসে…..
আমি: আমরা কোথায় যাচ্ছি?
রিদি/ম্যাম: বললাম না মিটিং এ।
আমি: ওহ আচ্ছা। ম্যাম আপনাকে একটা কথা বলবো,,,,,,
রিদি/ম্যাম: জ্বি বলুন।
আমি: না যদি আপনি কিছু মনে না করেন তাহলে বলতে পারি?
রিদি/ম্যাম: ওকে কিছু মনে করবো না।
আমি: বলছি যে আপনি না অনেক সুন্দর।
রিদি/ম্যাম: সবাই বলে।
আমি: সবাই যে বলে আপনি তার থেকেও সুন্দর।
রিদি/ম্যাম: এটাও সবাই বলে, অন্য কিছু বলেন।
আমি: আপনার রূপকে তুলনা করার মতো কোনো জিনিসই পাচ্ছিনা আপনার সবটাই অতুলনীয়।
রিদি/ম্যাম: হিহিহি তাই, লাইন মারার ট্রাই করছেন বুঝি (হালকা হেসে)
আমি: ধুর কি যে বলেন আমি তো সার্কেল মারা ট্রাই করছি।
রিদি/ম্যাম: হাহাহা।
আমি: ম্যাম এভাবে হাসবেন না
রিদি/ম্যাম: কেন,,,,,
আমি: আপনার হাসিতে আমার কেমন জানি বুকের ভেতরে গিটার বাজতে শুরু করে দিয়েছে আরো বেশি হাসলে কিন্তু নাচানাচি শুরু করে দেবো,,,,,,,
রিদি/ম্যাম: চুপ, আমার হাসিটা এতোটাও ভালো না হালকা (রেগে গিয়ে)
আমি: আপনার হাসিটা কার কাছে কেমন সেটা আমি জানিনা তবে আমার কাছে আপনার হাসি অনেক মূল্যবান,,,,,
_রিদির দিকে তাকিয়ে কথাটা বললাম, কেন জানিনা মেয়েটার হাসিটা আমার এতো মুদ্ধ করে, মন চাই ও যখন হাসে ওর ওই দুল গালের টোলে হাত দিয়ে ওর নাকে নাক ঘষা দিতে, কিন্তু এটা করলে যে কপালে মাইর ছাড়া আর কিছু নাই, থাক যেখানে আছি সেখানে থাকাই ভালো,,,,,
রিদি/ম্যাম: আমার হাসি আপনার কাছে মূল্যবান হতে যাবে কেন শুনি?
আমি: না না না মানে আমি তো আপনার আসিট্যান্ট তাই আপনি হ্যাপি থাকলে আমিও হ্যাপি থাকবো।
রিদি/ম্যাম: তাই, যাইহোক আপনি ঝগড়ুটে হলেও মানুষটা অনেক ভালো।
আমি: হিহিহি, জ্বি। ঠিক একটা মেয়ের জামাই এর মতো।
রিদি/ম্যাম: হাহাহাহা, আচ্ছা আপনার পড়াশোনা কতোদূর?
আমি: এই ধরেন খবরের কাগজ পর্যন্ত পড়াশূনা এখন এগিয়েছে,,,,,
রিদি/ম্যাম: নাঈমমম, আমি এনিটাইম ফান লাইক করি না (হালকা একটু রেগে গিয়ে)
আমি: ওহ আচ্ছা জুস লাইক করেন বুঝি,,,,
রিদি/ম্যাম: উফ আপনি এমন কেন? আপনাকে কাজে রেখেই আমার ভুল হয়েছে (একটি বিরক্তিকর হয়ে বলল)
আমি: ভুল কেন হবে সঠিকই করেছেন, দেখুন আপনাকে আমার মতো কেউ রাগায় কি না কেউ হাসায়, যদি চান তো বের করে দিতে পারেন কাজ থেকে,,,,,,,
রিদি আর কোনো কথা না বলে ড্রাইভ করতে লাগলো।
মনে হচ্ছে না রিদি ওর সাথে আমায় আর রাখবে, বাট আমার তো ওর সাথে থাকা দরকার। ওকে কাছে পেলে অনেক ভালো লাগে,,,,,,
_এবার আমরা মিটিং স্পটে পৌছে গেলাম, গাড়ি থেকে নামতেই দেখি রিদির আব্বু ওয়েট করছে ওর জন্য,,,,,,
_রিদি ওর আব্বুর কাছে গিয়ে কি যেন বলে চলে গেলো বাট ওর আব্বু গেলো না।
আমি আস্তে আস্তে ওর আব্বুর দিকে এগিয়ে গিয়ে…..
আমি: হ্যালো স্যার,,,,,,
আব্বু আমায় দেখে….
রিদি আব্বু: জ্বি বলো,,,,,
আমি স্যার আপনি বস হয়ে মিটিং এ গেলেন না কেন?
রিদির আব্বু: আমার মেয়েকে সবটা এখন শেখাতে চাইছি, দুদিন পরে তো ওকেই সব দেখতে হবে তাই।
আমি হাল্কা হেসে…
আমি: চিন্তা করবেন না, আমি আর আপনার মেয়ে সবটা দেখে নেবো।
রিদির আব্বু: ধন্যবাদ।
মানুষটা দেখলাম অনেকটাই শান্ত, চলুন
একে একটু হট করা যাক,,,,,
আমি: আচ্ছা স্যার…
রিদির আব্বু: জ্বি।
আমি: আপনার মাথায় চুল নেই কেন?
রিদির আব্বু: বয়স তো বাড়ছে বাবা তার জন্য চুল উঠে যাচ্ছে সব।
আমি: আপনার কষ্ট লাগে না যখন আপনাকে কেউ টাকলু বলে।
রিদির আব্বু: না শুনতে শুনতে অভ্যাস হয়ে গেছে।
আমি: ওহ আচ্ছা, ওই টাকলু,,,,
রিদির আব্বু: টাকলু মানে,,,,,,
আমি: জ্বি আপনাকেই বলছি টাকলু টাকলু টাকলু,,,,,,
এটা বলার সাথে আমার দিকে আঙুল তুলে…..
রিদির আব্বু: তুমি কি জানো আমি তোমায় এখনই কাজ থেকে বের করে দিতে পারি (আমার দিকে আঙুল তুলে)
_শালা এতো দেখছি সিরিয়াস হয়ে গেছে, কিন্তু ভাই আমিও নাঈম, আমিও কিভাবে আব পরস্থিতিকে সামাল দিতে হয় সেটা খুব ভালো করে জানি….
আমি: না আপনি বের করে দিতে পারেন না, কারন আমার কাছে আছে আপনার জন্য আয়ুবৈর্দিক তেল, কলকাতা হারবাল,,,,,
রিদির আব্বু: বুঝলাম না,,,,,
আমি: আরে স্যার আপনাকে দেখেছেন কখনো আয়নাতে, আপনি তো শারুখ খান, শুধু চুলটাই নেই আপনার, আমি কথা দিচ্ছি আপনার চুল বের করে ছাড়বো।
রিদির আব্বু আমার দিকে কেমন জানি তাকিয়ে….
রিদির আব্বু: আমার মনে হচ্ছে তুমি একজন ওষুধ বিক্রেতা,,,,
_শালা এতো আমার ঘোর অপমান করে ছাড়ছে, নাহ ইনি হলেন এখন আমার মাছ একেই টোপ গিলিয়ে নিজের বশে আনতে হবে,,,,,,
আমি: আরে স্যার আপনার জন্য আমি ওষুধ বিক্রেতা কেন সব্জিবালাও হতে পারি আবার আপনার মেয়ে বরও,,,,,,,
তারপরে রিদির আব্বু কি বলছে সেটা জানার জন্য পরের পর্বে জন্য অপেক্ষা করা,,,,,,,
————–চলবে না দৌড়াবে————-