আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে….
আমি: কি খুঁজছেন এতো মনযোগ দিয়ে,,,,,,
__শালা মেয়েটা আমার দিকে এমন লুক দিলো যেন আমি ওর আব্বুর টাকা চুরি করে ধরা খেয়েছি
মেয়েটা: আপনার কি যত্তোসব (রেগে রেগে)
আমি আবারো হেসে….
আমি: জ্বি আমার কিছু না তবে মনে হচ্ছে আপনার হাসিটা আপনি খুঁজছেন।
মেয়েটা: মানে কি (রেগে রেগে)
আমি: না এভাবে আপনার মুখেতে গম্ভীরতা ভালো দেখায় না যদি ওই হাসিটা খুঁজে পান তাহলে ঠোঁটের কোনায় আনুন, আপনাকে বেশ দারুন মায়াবী লাগবে,,,,,,,
ভাইরে মেয়ের রাগী লুক পুরাই দিল্লি কা লাড্ডু হয়ে গেলো, মেয়েটা তবুও নিজের ভাব টিকিয়ে জন্য….
মেয়েটা: সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার,,,,,
আমি: জ্বি জানি, তাহলে নিশ্চয় আপনি বন্ধ রুমেতেই বেশি হাসতে ভালোবাসেন তাই না, আপনার মতো আপনার হাসিটাও হয়তো ব্যক্তিগত। আর এজন্যই ব্যক্তিগত যাতে আপনার হাসিতে কেউ পাগল না হয়ে যায়,,,,,,
মেয়েটা আবারো…..
মেয়েটা: তাতে আপনার কি বলুন তো,,,,
আমি: আমার কিছু না তবে….
মেয়েটা: তবে কি যত্তোসব (রেগে রেগে)
আমি: এই রাগীমুখটার পিছনের কারনটা কি জানতে পারি,,,,,,,
মেয়েটা: না জেনে কি করবেন?
আমি: জেনে হয়তো আপনার হেল্প করতে পারি।
মেয়েটা: তাই, হাসবেন না তো।
আমি: জ্বি না (একটা এলাচি হাসি মেরে)
মেয়েটা এবার চারিদিকে তাকিয়ে আমার মুখের কাছে আস্তে আস্তে করে….
মেয়েটা: আমার মেকাপ বক্সটা আমি খুঁজে পাচ্ছি না।
ভাইরে আমি আর হাসি চেপে রাখতে পারছিনা, শালা মেকাপ বক্সের জন্য কে করে এমন ভাই,,,,,,
আমি: তাই নাকি, আচ্ছা একটা কথা বলবো…
মেয়েটা: জ্বি বলেন…
আমি: আপনার মনে কি ক্লিনার লাগানো আছে নাকি, আপনার কথাগুলো এতো সুন্দর কিভাবে?
_ভাইরে মেয়েতো পুরাই লজ্জায় লাল হয়ে গেছে,মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে হাল্কা হেসে…..
মেয়েটা: জানিনা হতে পারে।
আমি: আচ্ছা ম্যাম আপনার এই সৌন্দর্য এর পিছনের কারনটা কি?
মেয়েটা: উম কি কারন?
আমি: এই যে আপনি সবার সাথে এতো সুন্দর ভাবে কথা বলেন আর তাতে সবাই দোওয়া করেন আপনার জন্য তাই।
মেয়েটা: হাহাহাহা তাই।
__হঠাৎ কে যেন আমার জামার কলারটা পিছন দিক থেকে টেনে ধরলো, যাহ শালা এখানে আবার কে আমার শত্রু, একটু ঘাবড়ে গেলাম,
সামনে বসা মেয়েটা আমার দিকে আশ্চর্য হয়ে…..
মেয়েটা: কে এই মেয়ে,,,,,,,
মেয়ে মানে ,আমি এবার পিছনে ঘুরে দেখতেই, মাইরালা এতো রিদি,
আমার গলায় হাত দিয়ে এবার রিদি,,,,,
রিদি: আমি জানি তুই ঠিক এমনটাই করবি, তোকে আমি কলেজে এসে আমার কাজটা সেরে অফিসে যেতে বলেছিলাম কিন্তু তুই এখানে, কুত্তা মেয়ে পটানো হচ্ছে (পুরা রেগে আগুন হইয়াছে)
রিদি: নিশ্চয় আপনার সাথেও ফ্লাট করছিলো এই পোলা (মেয়েটার দিকে আঙুল তুলে, রেগে রেগে বলল)
মেয়েটা: জ্বি, কেন আপনি কি ওর কেউ হন,,,,,
রিদি আমার দিকে তাকিয়ে….
রিদি: জ্বি ওর বৌ হয় (একটু রেগে গিয়ে বলল)
__ভাইরে আমি শুনে পুরাই অবাক, তারমানে আমার আর গফ খুজার দরকার নেই। আমার মনে হতো লুড্ডু খেলতে মন চাচ্ছে,,,,,,,
মেয়েটা: ইডিয়ট, লোফার (রেগে রেগে)
এটা বলেই চলে গেলো।
রিদি আমার গলায় হাতটা আরো জোরে টিপে….
রিদি: কুত্তা তুই এখানে এসব করতে আসছিস (রেগে রেগে)
আমি: জ্বি জ্বি জ্বি না না না, আমি তো মানে না মানে ওই মেয়েটা…
রিদি: তোকে আমার খুব ভালো করে চেনা আছে।
রিদি: চেনা আছে খুব ভালো, গলাটা ছাড়ুন নয়তো সারাজীবন আমায় আপনার মনে থাকবে আমি মারা গেলে।
_এটা বলার সাথে সাথে ও আমার গলা থেকে হাত সরিয়ে সামনের চেয়ারে বসে গেলো। আমিও রিদির সামনের চেয়ারে বসে ওর দিকে তাকিয়ে হাল্কা হেসে…..
আমি: এই আপনি কি সত্যিই আমার বৌ হবেন নাকি (একটু অবাক হয়ে বললাম)
রিদি: ঘন্টা বৌ হবে তোর, নিজের কোনো ঠিক নেই, মেয়ে দেখলেই উথলে পড়িস তাই না। (হালকা একটু রেগে গিয়ে বলল)
আমি: কি আর করবো বলো, তুমিও তো পটছো না (মন খারাপ করে, যাতে করে ইমোশনাল ভাবে একটু পাঠাতে পারি)
রিদি: আর পটবোও না।
আমি হাল্কা হেসে…
আমি: এই পটে যাও না প্লিজ
রিদি: ভাগ
আমি: প্লিজ পটে যাও (একটু লজ্জা পেয়ে বললাম)
রিদি: নাহ, আমার এসবে বিশ্বাস নেই।
আমি: ওহ আচ্ছা কোনটাতে?
রিদি: প্রেমে
আমি: তাই ভালোবাসাতে নিশ্চয় বিশ্বাস আছে।
রিদি: তাও নেই।
আমি: কেন?
রিদি: জানিনা কেন? তবে ইচ্ছা করে না এসব করতে।
আমি রিদির দিকে তাকিয়ে হাল্কা হেসে….
আমি: ওকে প্রেমিক প্রেমিকা না হয়ে যদি এক বন্ধনে সারাজীবনেত জন্য আবদ্ধ হয় তাতে কি ভুল হবে?
রিদি হাল্কা হেসে…
রিদি: ভুল নয় তবে মানু্ষটা সঠিক হওয়া চাই।
আমি: সঠিক মানুষটা হয়তো কথায় কথায় ভালোবাসি বলবে না তবে তার প্রতিটা কেয়ারে হয়তো বুঝিয়ে দেবে কতোটা সে ভালোবাসে। হয়তো এমন হতে পারে বৌটা রান্না ঘরে রান্না করছে এদিকে বর তার ছুটির দিনে বৌ এর সাথে একটু হেল্পের হাত বাড়াবে। হলিডের দিনে বৌকে নিয়ে একটু সিনেমা কিংবা পার্কে নিয়ে যাবে। সারাদিনের ক্লান্ত মুখটা নিয়ে যখন অফিস থেকে ফিরে বাসার সামনে দরজায় দাঁড়িয়ে বলবে, ওগো শুনছো দরজাটা খুলো, দরজার খুলতেই বৌ এর মাথায় বেলিফুলের মালাটা খোঁপায় লাগিয়ে দিয়ে বলবে ইশ কি সুন্দর লাগছে তোমায় আজ। বৌ বরকে বলবে রাগ দেখিয়ে, এই বেশি ঢং করো না তো। যাও ফ্রেশ হয়ে খেতে আসো আজ তোমার প্রিয় চিংড়িমাছ রান্না করেছি। বৌ এর হাতের স্পর্শে রান্নাটা খেয়ে বৌ এর চোখের দিকে তাকিয়ে আহ আজ বেশ রান্নাটা হয়েছে। বৌ তখন মুচকি হাসি দিয়ে বলবে হয়সে খাও জলদি।
রিদি আমার দিকে তাকিয়েই আছে।
আমি রিদির দিকে তাকিয়ে,,,,,,,,,
দুঃখিত এই পর্ব টা ছোট করে দেওয়ার জন্য, আজকে বাসায় মেহমান ছিল তাই পর্ব টা ছোট করে লিখলাম কিছু মনে করবেন না,,,,,,,,
লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,,,,,,,
শুধু নেক্স নেক্স করবেন না,,,,বলবেন গল্পটা কেমন হয়েছে,,,,সময় হলে নেক্স পর্ব এমনি পোস্ট করব
————–চলবে না দৌড়াবে————–